শুক্রবার ● ১২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » স্বাধীনতার ঘোষণার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আরেকটি গণজাগরণ ঘটাতে হবে : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভায় সাইফুল হক
স্বাধীনতার ঘোষণার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আরেকটি গণজাগরণ ঘটাতে হবে : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভায় সাইফুল হক
ঢাকা :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন এই জনপদের মানুষের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রা, মহান মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল এদেশের আপামর জনগণের হার না মানা এক জনযুদ্ধ। স্বাধীনতার ঘোষণা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দিশা-চলার পথ ঠিক করে দিয়েছিল। কিন্তু এদেশের শাসকগোষ্ঠি ও সরকারসমূহের ব্যর্থতা আর প্রতারণার কারণে মুক্তিকামী জনগণের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে; মানুষের আকাঙ্খার সাথে বেঈমানী করা হয়েছে। দেশকে স্বাীধনতার ঘোষণার বিপরীতে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানী জমানার মত এক দেশে দুই সমাজ দুই অর্থনীতি কায়েম করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষনেও ভোটাধিকারসহ মানুষের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকার রুদ্ধ করে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালু করা হয়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকাকে অনিশ্চিত করে তোলা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠি মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র চেতনাকে রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে। বিভেদ-বিভাজন ও হিংসা-বিদ্বেষের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে গভীর অনিশ্চয়তায় ঠেলে দেয়া হয়েছে। তিনি এই অবস্থার পরিবর্তনে অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় জনগণের আরেটি জাগরণের আহ্বান জানান। এই লক্ষে তিনি গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথের কার্যকরি ঐক্য গড়ে তোলারও ডাক দেন।
আজ শুক্রবার বিকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি উপরোক্ত আহ্বান জানান।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুর নুর, বিপ্লবী শ্রমিক নেতা এড. রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইফতেখার আহমেদ বাবু, এ্যাপোলো জামালী, খায়রুল বাসার হিরন, আজিজ টিপু, শ্রমিক নেতা মাহমুদ হোসেন, নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, শহীদুল আলম নান্নু, খেতমজুর নেতা আকবর খান, কৃষক নেতা আনছার আলী দুলাল, ছাত্রনেতা বিপ্লব হোসেন খান, উমর ফারুক হারুন প্রমুখ।
সভায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উজ্জাপন পরিষদ গঠন করা হয় এবং সুবর্ণজয়ন্তী উজ্জাপনের বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সভায় করা হয়।
সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ ও এসময়কালে করোনা মহামারীসহ অসুস্থ্যতায় প্রাণ হারানো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দলীয়করণের প্রচেষ্টার সমালোচনা করেন এবং বলেন এই ধরনের তৎপরতায় কেবল মুক্তিযুদ্ধের গৌরবই ছোট হয়। তারা এ ধরনের তৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানান।