শুক্রবার ● ১২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে নদীতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
সুন্দরবনে নদীতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্ব ঐতিহ্য একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন পূর্ব সুন্দরবনে শুশুক প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য চার ফুট এবং প্রস্ত দুই ফুট ১০ ইঞ্চি।
দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর চর থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সুন্দরবনে নদীতে ভেসে এলো মৃত ডলফিনদুপুর ২টার দিকে ফেরদৌস মোল্লা নামে এক ট্রলারচালক ভোলা নদীর চরে ডলফিনটি মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখে বন বিভাগকে খবর দেন। পরে বনরক্ষী ও শরণখোলা ডলফিন সংরক্ষণ দলের সদস্যরা শুক প্রজাতির ওই ডলফিনটি উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, বিকেলে নমুনা সংগ্রহ করে ডলফিনটি রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। ডলফিনটির গায়ে কোনো ক্ষতচিহ্ন ছিল না। সংগ্রহকৃত নমুনা পরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাগেরহাটে চিতলমারীতে খাল খননে সড়কে ভাঙ্গন, অপরিকল্পিত মাটিতে দূর্ভোগ এলাকাবাসীর
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে হক ক্যানেল (কাটা খাল)খননের ফলে নালুয়া-ভোলা সড়কের কয়েকশ ফুট ধ্বসে গেছে। খননকৃত মাটিতে খাল ও সড়কের পাশে বসবাসরত অনেকের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। মাটির নিচেও পরেছে কয়েক জনের ঘর।সড়ক ধ্বসের ফলে স্বাভাবিক চলাচলও ব্যহত হচ্ছে স্থানীয়দের। এক ধরণের অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে শতাধিক পরিবার।স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও খননকারী কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও কোন প্রতিকার পায়নি হতদরিদ্র মানুষগুলো। এদিকে খননকারী কর্তৃপক্ষ বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য ভারতে থাকায় অধিনস্ত কেউ এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে স্থানীয়দের ক্ষতি করে কোন উন্নয়ন কাজ হতে পারে না।
৪ কিলোমিটারের নালুয়া-ভোলা সড়কটির পাশে রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ ফুট চওড়া হক ক্যানেল (কাটাখাল)। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খালটি খননের ফলে সড়কটির একাধিক স্থানে কয়েকশ ফুট ধ্বসে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। স্কেভেটর দিয়ে ফেলা খননকৃত মাটিতে অনেকের ঘর ভেঙ্গে গেছে।কারও ঘর আাবার মাটির নিচে চলে গেছে। একটা চরম দতূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ১১টি
ঘরের বেশিরভাগ অংশ মাটির নিচে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
খননকৃত মাটির নিচে থাকা বাড়ির মালিক আকুব্বর শেখ, আনোয়ার সরদার, আমিনুর শেখ, সামাদ ব্যাপরিসহ কয়েকজন বলেন, খাল খননের আগে আমাদেরকে কোন সময় দেয়নি কন্ট্রাক্টর। আমরা বলে ছিলাম এভাবে মাটি রাখলে আমরা কোথায় থাকব। আমাদের কোন কথা না শুনে ইচ্ছেমত মাটি ফেলে গেছে। এখন আমরা এক প্রকার অবরুদ্ধ রয়েছি। মাটির নিচে আমাদের কয়েক জনের ঘর ও মূল্যবান আসবাবপত্রও চলে গেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে গেছি তারাও কোন প্রতিকার দিতে পারেন নি। যারা খনন কাজে নিয়োজিত তারা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর অন্যায় করছেন।
স্থানীয় রোজিনা বেগম ও রাহেলা বেগম বলেন, রাস্তার পাশেই আমাদের ছোট টিনসেড বিল্ডিং। খাল খননের মাটিতে যাতে আমাদের ভবনের খতি না হয় এ জন্য কন্ট্রাক্টরের লোক উজ্জলকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ছিলাম। তারপরও মাটি দিয়ে আমাদের বিল্ডিংয়ের ক্ষতি করেছে।
স্থানীয় পারুল বেগম বলেন, খালের মাটি এমন ভাবে রেখেছে যে আমাদের ঘরের একটা অংশ মাটির নিচে চলে গেছে। পরে প্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যয় করে ঘরের মাটি সরিয়েছি। কিন্তু মাটি সরালেও ঘরটি অনেক খানি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে ধ্বসে যাওয়ার ফলে চিতলমারী উপজেলা বাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নালুয়া-ভোলা সড়কে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। মারাত্মকদূর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয়রা। ভ্যান ও সাইকেল ছাড়া অন্যকিছুও চলাচল করতে পারছে না ওই সড়ক দিয়ে।
রবিউল ইসলাম, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন ভ্যান চালক বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে এই রাস্তা ধ্বসে গেছে। আমাদের ভ্যান চালানোও বন্ধ। আসলে রাস্তা ধ্বস ও মানুষের বাড়ি ঘরে মাটি ফেলায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা বর্ণনা করা যায় না। খাল খনন করবে তো আমাদের উপকারের জন্য। কিন্তু এখন দেখছি এভাবে থাকলে আমাদের এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া রাস্তা মেরামত করে এলাকার মানুষের দূর্ভোগ নিরসনের দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থী আসিকুর ফকির ও ময়না খানম বলেন, মাটি ফেলার ফলে আমাদের চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। মাটিতে আমাদের ঘর বাড়িও ভেঙ্গেছে। এলাকার অনেকের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই দূর্ভোগ থেকে রক্ষা চাই আমরা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য মহোদয় ভারতে অবস্থান করছেন। উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে আমরা কোন কথা বলতে পারব না।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের জন্য। জনগণকে সেচ সুবিধা দেওয়ার জন্যই খাল খনন করা হচ্ছে। খালের পাশে অনেক খালি জমি রয়েছে। খননকৃত মাটি খালি জমিতে না রেখে যদি স্থানীয় বসতিদের ঘরে-বাড়িতে রাখা হয়।তাতে যদি স্থানীয়দের বিছানাপত্র মাটির নিচে চলে যায়। রান্নাঘর মাটির নিচে চলে যায়, তা কোন পরিকল্পনা মাফিক কাজ হতে পারে না।খাল খননের ফলে যাতে স্থানীয় জনগন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদকে দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসক
বাগেরহাট :: দৈনিক কালের কন্ঠ ও একাত্তর টেলিভিশনের বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীনানা উপসর্গ নিয়ে একমাস ধরে অসুস্থ থাকা তাকে দেখতে গেলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে তিনি বাগেরহাট শহরের শালতলাস্থ বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তীর বাসায় যান। এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোচ্ছাবিরুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিজুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর থেকে মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুক-পিঠে ব্যথা, শরীরে দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ্ রয়েছেন সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী। পরবর্তীতে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে দুই দফায় চিকিৎসা নিয়েছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও নির্দিষ্ট করে কোন রোগ শনাক্ত না হওয়ায় বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অনুদানের ‘গুজব’কম্পিউটারের দোকানগুলোতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড়
বাগেরহাট :: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাটসহ ১০ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মঞ্জুরি হিসেবে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রাপ্তির বিষয়ে অনেকটা না জেনেই বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে ভিড় করছেন ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। তাছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টি সম্পূর্ণ অবগত না করে যত্রতত্র প্রত্যয়ন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পরিচালন বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ মঞ্জুরি হিসেবে বরাদ্দকৃত অর্থ বিতরণের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়। সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ দুরারোগ্য ব্যাধি, দৈব দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা গ্রহণ কাজে ব্যয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়ন নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত করে মন্ত্রণালয়। ছাত্রছাত্রীরা মনে করছেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ দিবে যার জন্য করতে হচ্ছে এ আবেদন।