শনিবার ● ২০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নারী পুরুষের মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা ৫ জন গ্রেফতার
নারী পুরুষের মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা ৫ জন গ্রেফতার
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগে তুলে এক নারী ও পূরুষের মাথার চুল ভ্রু কেটে মুখে চুনকালি মাখিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রামছাড়া করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার শৈলকুপা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামীসহ ৫ জন কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে আবাইপুর গ্রামের স্বামী নাসিম শেখ, আজাদ বিশ্বাস, শিরুল বিশ্বাস, বিশারত আলী ও সিরাজ বিশ্বাস। শৈলকুপা থানার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, মামলা দায়ের হওয়ার পর শনিবার ভোরের দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াসমিনের স্বামী নাসিম শেখসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায় পরকিয়ার অভিযোগে নাসিম তার স্ত্রী ইয়াসমিন ও বন্ধু সাগরের মাথার চুল-ভ্রু কেটে দেয় সমাজপতিদের নির্দেশে। এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে শৈলকুপা থানায় ৬জন কে আসামী করে মামলা করেন মাগুরা জেলার শ্রীপুর গ্রামের শমসের শেখ। তিনি হচ্ছে নির্যাতিত গৃহবধুর পিতা। পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামে পরকিয়া ও অনৈতিক কাজের অভিযোগে তুলে সমাজপতিরা মাছ ব্যবসায়ী নাসিমের স্ত্রী ইয়াসিমন ও নাসিমের বন্ধু সাগরকে গ্রাম্য সালিশে সাজা দেয়। তার ওই দুই নারী পুরুষের মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ছাড়া করে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
বয়স ৬০, ভোটার কার্ডে ৩৫, নেই বয়স্ক ভাতা, ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করতে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসের ঘুষ দাবি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের লাউদিয়া গ্রামের মৃত আলীমদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম। বয়স তার পাক্কা ৬০ বা ৬৫ বছর। কিন্তুু ভুল বশত; ভোটার আইডি কার্ডে সালেহার বয়স ৩৫ বছর। ভোটার আইডি কার্ডের বয়স অনুযায়ী তিনি বয়স্ক ভাতাসহ সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছেন না মর্মে জানিয়েছেন বয়স্কা নারী সারেহা বেগম। যখন ভোটার আইডি সংক্রান্ত গ্যাড়াকলে পড়ে দিকবিদিক হারিয়ে সালেহা বেগম ছুটে যায় ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসে। তখন নির্বাচন অফিস থেকে তাকে দুই হাজার টাকা হলে তার আইডি কার্ড ঠিক করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। “আমি গরীব মানুষ ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করি আমি এক মোটে দুই হাজার টাকা কোথায় পাব”? বলে সাংবাদিকের নিকট অভিযোগ করে জানান বয়সের ভারে নুয়ে পড়া সালেহা বেগম। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার কথা বলতে রাজি হননি।
ভালোবাসার ফাঁদ পেতে উন্নয়নকর্মীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ভালোবাসার ফাঁদ পেতে ৩ বছর ঘুরে এক নারী উন্নয়ন কর্মীকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বুরহান উদ্দিন নামে এক প্রতারক ব্যবসায়ী। অসহায় ওই নারী স্বামীর অধিকার পেতে শ্বশুরবাড়ীতে গেলে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ প্রেমের ফাঁদে ফেলে উন্নয়ন কর্মী সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে নাজনীন সুলতানাকে বিয়ে করেন একই উপজেলার কালীচরণপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে বুরহান উদ্দিন। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। শহরের হামদহ ঘোষপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। নানা ভাবে নাজনীনকে ভুলিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বুরহান। স্ত্রী নাজনীনের টাকা নিয়ে শহরের মুন্সী মার্কেটে এআর বস্ত্র বিতান নামের একটি দোকানও চালাচ্ছে বুরহান। টাকা নেওয়ার পর আরও টাকা দাবী করে বুরহান। টাকা দিতে না পারলে নাজনীনকে নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে। ভাড়া বাসায় একা রেখে প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকতে শুরু করে বুরহান। নাজনীনের ভাই আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমার বোনের কাছ থেকে সকল টাকা নেওয়ার পর বুরহান প্রতারনা শুরু করে। টাকা ফেরত চাইলে নানা ভাবে বোনকে নির্যাতন করে। সংসার খরচ দেওয়া তো দুরের কথা সপ্তাহেও একদিন বোনের খোঁজ খবর নেয় না। গত ১৭ মার্চ রাতে আমার বোন স্বামীর অধিকার চাইতে শ্বশুড়বাড়ী গেলে বুরহান, বোনের শ্বাশুড়ী আনোয়ারাসহ পরিবারের লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। রাত ৩ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। নির্যাতিতা নাজনীন বলেন, আমি স্ত্রীর অধিকার চাইলে সে আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেয়। আর আমাকে মারধর করে। আমি টাকা ফেরৎ চাই না, স্ত্রীর মর্যাদা চাই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই রফিক বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ভোটার আইডি কার্ডের গ্যাড়াকলে পড়ে দিকবিদিক হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন সালেহা বেগম। এমতবস্থায় তিনি কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টিসহ আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মাটি টানা ট্রাক্টরের নিচে পড়ে মারা যাচ্ছে পথচারী প্রতিকার নেই
ঝিনাইদহ :: একেতো অবৈধ, তারপর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। সারা জেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ মাটি টানা ট্রাক্টর। এ পর্যন্ত ট্রাক্টরের নিচে পড়ে মারা গেছেন অন্তত ৩ জন। বহু আহত হওয়ার খবর রয়েছে। শনিবারও মহিদুল নামে এক ব্যক্তি মাটি টানা ট্রাক্টরের নিচে পড়ে নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের কোন মাথা ব্যাথা নেই। নেই প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা। আইনের প্রয়োগ না থাকায় মনে হচ্ছে দেশটা মগেরমুল্লুকে পরিণত হয়েছে। তথ্যনিয়ে জানা গেছে, সারা জেলায় শাতাধীক মাটি টানা ট্রাক্টর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পাশ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা ও যশোর থেকে ভাড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে এ সব মরণঘাতক যানবাহন। ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত এ সব ট্রাক্টরগুলোর নেই কোন বৈধ কাগচপত্র। সবচে ভয়ংকর বিষয় শিশু ও কিশোররা এ সব ট্রাক্টর চালাচ্ছে। তাদের কোন লাইসেন্স নেই। নেই দক্ষভাবে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা। বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টরগুলো গ্রামীন রাস্তাঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সারা জেলার বৈধ অবৈধ ইটভাটার মাটি টানা হচ্ছে এই টাক্টর দিয়ে। ফলে ৬ উপজেলায় এলজিইডির গ্রামীন রাস্তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাকা রাস্তায় মাটি পড়ে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে রাস্তা রক্ষার জন্য ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালের বিল্ডিং কনষ্ট্রাকশন এ্যক্টের ৩ ধারা মতে একটি পরিপত্র জারী করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (উন্নয়ন-২) উপ-সচিব জেসমিন পারভিন। ওই আইনের দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ধারা ৪৩১ মোতাবেক সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন ফৌজদারী দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে ৫ বছরের কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ফলে সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ করা যাবে না। অথচ রহস্যজনক কারণে উদাসিন জেলা প্রশাসন। ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের উপরে তাম্বু ফেলে মাটি টানার কথা। যাতে মাটি পাকা রাস্তার উপর না পড়ে। তিনি বলেন বিষয়টি জেলা ইটভাটা মালিক সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। তারা যদি ব্যবস্থা গ্রহন না করেন তবে আমরা আইনী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। বিষয়টি নিয়ে জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম ফোটন জানান, সব ভাটা মালিকদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা মানছে না। তিনি বলেন, আগে কিন্তু রাস্তায় মাটি পড়তো না। কারণ তখন ওভারলোড করতো না। এখন অধিক মুনাফা কারার জন্য ড্রাইভাররা ওভারলোড দিচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, চাকলাপাড়া থেকে হরিণাকুন্ডু সড়ক এবং ঝিনাইদহ থেক চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জের বারোবাজার, মহেশপুর, শৈলকুপা, কোটচাধপুর ও হরিণাকুন্ডুর গ্রামীন রাস্তাগুলো চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই। নেই ভ্রাম্যমান আদালত। ফলে দিনকে দিন পথচারিদের কাছে সড়ক মহাড়ক অসহনীয় হয়ে উঠছে। এদিকে শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়–মুখী গ্রামের স্কুলপাড়ায় মাটি টানা ট্রাক্টরের চাপায় মহিদুল বিশ্বাস (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হন। মহিদুল বিশ্বাস সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের হুরমত বিশ্বাসের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। এর আগে মহেশপুর ও হরিণাকুন্ডুর তেলটুপি নামক স্থানে মাটি টানা পরিবহনের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছিলেন।
হরিনাকুন্ডুতে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে বসত বাড়ি পুড়ে ছায়, নিঃস্ব হল দিনমুজর
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু উপজেলার দরিবিন্নী গ্রামে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে দিনমজুর বোরহান উদ্দিন। সে দরিবিন্নী গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। ক্ষতিগ্রস্থ বোরহান উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে সলেমানের গোয়াল ঘরের মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো বসত বাড়িতে। এসময় আগুন দেখে বেঁচে গেলেও পুড়ে কাপড়সহ সব আসবাবপত্র। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে তার পরিবার। বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী সারমিন আক্তার বলেন, স্বামী দিনমজুরি করে সংসার চালায় একটি ছাগল ছিল তাও পুড়ে মারা গেছে। তাছাড়া সলেমানের একটি গাভী গরু ও প্রায় লক্ষাধিক টাকার তামাক পুড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন,আমার ঘরে রান্না করে খাওয়ার মতো কোন খাবারও নাই। আজ আমরা নিঃস্ব কোথায় থাকব কিভাবে সংসার চালাবো ঋণ পরিশোধ করব তা নিয়ে চিন্তিত। আমি বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চাই যেন আমাদের একটি ঘর করে দেয়। এ বিষয়ে চাঁদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, বোরহানউদ্দিনের পরিবারে পুনর্বাসনের জন্য খাদ্য সহায়তা ও ৬ বান টিন দেওয়া হবে।
ঝিনাইদহে মাটি টানা অবৈধ ট্রাক্টর চাপায় কৃষক নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়–মুখী গ্রামের মাটি টানা অবৈধ ট্রাক্টরের চাপায় মহিদুল বিশ্বাস (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে আড়মুখী স্কুলপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মহিদুল বিশ্বাস সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের হুরমত বিশ্বাসের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সকালে বাড়ি থেকে গ্রামের মাঠে যাচ্ছিল মহিদুল বিশ্বাস। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাঠ থেকে মাটিবোঝায় নিয়ে ট্রাক্টর রাস্তায় ওঠার সময় মহিদুল বিশ্বাসকে চাপায় দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
কালীগঞ্জে ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্চিত করে আটক করে রাখলো চেয়ারম্যান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের স্মার্ট কার্ড বিতরণে বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দিয়ে টাকা নেওয়ার ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক যশোরের স্টাফ রিপোর্টার মিশন আলীকে লাঞ্চিত করেছে চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু। শনিবার ৯ টার দিকে রায়গ্রাম বাণীকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নাগরিকদের কাছ থেকে বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয় একদল যুবক। এ সময় রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু চান আলী নামে যুবককে ইউনিয়নের দফাদার দিয়ে মারধর করে। এ সময় ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক যশোর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মিশন আলীর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও লাঞ্চিত করে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে। সাংবদিক মিশন আলী জানায়, উপজেলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর লোকজন স্মার্ট কার্ড বিতরণের বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে নাগরিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় চান আলী নামে এক যুবককে মারধর করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে দফাদার দিয়ে ওই যুবককে মারধর করে। এ সময় আমি ছবি তুলি। তখন চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ক্ষিপ্ত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চেয়ারম্যানে নিজে আমাকে একটি কক্ষে আটক করে। এ সময় চেয়ারম্যান নিজে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি আমি অন্য সাংবাদিকদের জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে। ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সাংবাদিককে আটক করার ৫ মিনিট পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কালীগঞ্জ থানার এস আই আবুল কাশেম জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি কক্ষে সাংবাদিককে দেখতে পাই। পরে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যান তাকে বলেছেন, আটকের ৫ মিনিট পর সাংবাদিককে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহে দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত বাজারের ১৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের নারিকেল বাড়িয়ায় দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাজারের ১৫টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, ঘোড়শাল ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া বাজারে একটি দোকানে কেরাম খেলছিল পার্শ্ববর্তী দোগাছী ইউনিয়নের বেড়পাড়া গ্রামের বিষুর ছেলে। খেলা শেষে নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে গুনতে থাকে সে। এসময় নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের বিপ্লব বলে, তুই এখানে টাকা গুনছিস কেনো? এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান ইছাহাক জোয়ারদারের ছেলে তারিকসহ অন্তত ১০/১২ এসে ঘোড়শাল ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিটনের সমর্থক বিপ্লবকে মারধর করে। ঘটনা জানতে পেরে ঘোড়শাল ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সেখানে হামলা চালায় এবং দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ নিয়ে উভয় চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় নারিকেল বাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক অমিত কুমার ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিপ্লব ও শাসুদ্দিন মন্ডলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় গ্রুপের ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।