সোমবার ● ২২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » মধুখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা : নিহত ৯ জনের বাড়ি ঝিনাইদহে
মধুখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা : নিহত ৯ জনের বাড়ি ঝিনাইদহে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে চলছে এখন শোকের মাতম। স্বজন হারানো কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম। ডুকরে ডুকরে কান্নার আওয়াজ আসছে ঘর থেকে। সে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য রোববার সকালে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন একই পরিবারের ৬জনসহ মোট ৯জন। সবার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার বাশবাড়িয়া ও কাজিরবেড় ইউনিয়নে। নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাগানমাঠ গ্রামের এ্যাড. আব্বাস আলী, তার ভাগিনা মাইক্রো চালক আল আমিন, ভৈরবা গ্রামের বৃদ্ধা মিয়াজান বিবি (৬৬), মেয়ে আমেনা খাতুন, পুত্রবধু কুটি বিবি, পোতা জামাই জুয়েল হোসেন, পুতনি মরিয়ম নেছা ও তার ৫ বছরের শিশু এবং নিকটাত্মীয় সামান্তা গ্রামের নজরুল ইসলাম। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মন্ডল জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মিয়াজান বিবির ছেলে মোহর আলী ২০১৪ সালে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে রেখে ঢাকার সাভারে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি হিজড়াদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের মতোই জীবন যাপন শুরু করেন। হিজড়াদের দলে থেকে বিপুল সম্পদের মালিক হন মোহর আলী। ব্যাংকে এই টাকা গচ্ছিত আছে। ২০২০ সালে মোহর আলী মারা যান। ছেলের এই টাকার মালিকানা দাবী করেন বৃদ্ধা মিয়াজান বিবি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে দুইজন আইনজীবী নিয়ে রোববার মিয়াজন বিবির পরিবার ঢাকার সাভারে যাচ্ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে তাদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটি মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি এলাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৪ জনের মৃত্যুু হয়। এই মৃত্যুর খবর মহেশপুরের বাগানমাঠ, সামান্তা ও ভৈরবা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইউপির মহিলা সদস্য পারুলার বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের বালু আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পারুলা বেগমের নামে ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দে অনিয়ম ও জমিতে ভরাটকৃত বালু আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকালে রামচন্দ্রপুর গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর জমিতে ভরাটকৃত বালু মহিলা মেম্বর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদক সরোজমিনে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ওই মহিলা মেম্বরের স্বামী মুজাম মন্ডল নিজে পাওয়ার ট্রিলারের বগিতে করে আশ্রয়ন জমির ভরাটের বালু তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। বালুর কথা জিজ্ঞসা করা হলে সে বলে আমি কিছুই জানি না, মেম্বর এই বালু গুলো বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছে। কিছুক্ষণ পর ওই মহিলা মেম্বর পারুলা ঘটনাস্থলে এসেই সাংবাদিকদের সাথে বাকন্ডীতা শুরু করে। জমি ভরাটের বালু আপনি কিভাবে নিজের বাড়িতে নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার আমাকে এই ভূমিহীনদের ঘর নির্মানের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানকার সকল দায়দায়িত্ব আমার। এটা আমার প্রোজেক্ট, এই কাজ করতে গিয়ে আমার ১৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। আর বালু গুলো রাস্তার উপরে থাকায় স্যার আমাকে রাস্তা পরিস্কার করতে বলেছে, তাই রাস্তা পরিস্কার করছি।এলাকা বাসি বলেন,মহিলা মেম্বর পারুলা সরকারি বালু নিয়ে যাচ্ছে এটা খুব দুঃখজনক,এর পাওনাদার ভুমিহীনরা। হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মহিলা মেম্বর যা করেছে সেটা আসলে ঠিক করেনি। সে আশ্রয়ন প্রকল্পের জমি ভরাটের বালু নিজের কাজে ব্যবহারের জন্য নিয়ে গেছে। এহেন কাজ আসলে খুবই দুঃখ জনক। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শাহিন বলেন,আমি এই উপজেলাতে নতুন এসেছি। পুর্বের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিভাবে বালু রেখেগেছেন জানি না।আপনারা সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেন। উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার বদুরুদ্দোজা শুভ বলেন, আমি তাকে বালু নেওয়ার কোন অনুমতি দেয়নি। সে যদি এই কাজ করে থাকে তাহলে খুবই অন্যায় করেছে।