মঙ্গলবার ● ৩০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নাজিরপুর শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষকরা ই-এফটি পূরণে সিন্ডিকেট করে নেওয়া হচ্ছে ঘুষ
নাজিরপুর শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষকরা ই-এফটি পূরণে সিন্ডিকেট করে নেওয়া হচ্ছে ঘুষ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে চাকরিরত অবস্থায় ইএফটি ফর্ম পূরণ করায় ভুল তথ্য আসায় তা যাচাই-বাছাই করতে এসেছিলেন এক প্রাথমিক শিক্ষিকা। কিন্তু অফিসে কারো কাছে কোন পাত্তাই পাননি তিনি। নাজিরপুর উপজেলা সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগি বলেন অফিসে ফটোকপি করতে দিতে হয় ১০০-২০০ টাকা, আর স্থায়ী করনের নাম দেখতে দিতে হয় ১০০০ টাকা, অনেক সময় টাকা দেওয়ার পরেও মিলেনা কাঙ্খিত সেবা। উপজেলার ১৭৭ নং চর মাটিভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রীনা পারভীন ১৩ তম গ্রেড প্রদান করার পর ই-এফটিতে ফর্ম পূরন করার পরে ভুল হওয়ায় অফিসে কয়েকজন শিক্ষকের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অফিসে এনে ই-এফটি ফর্ম পূরন করায় তাদের তথ্য ভুল হয়। ভুল সংশোধনের জন্য ভুক্তভোগি শিক্ষকদের ২৯ নভেম্বর অফিসে ডেকে এনে বিপ্লব কুমার বিশ^াস ৩ নং মাটিভাঙ্গা কদমবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে কম্পিউটার সেকশনে বসিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের কাছ হতে ৫০০-১০০০ করে টাকা ঘুষ নিয়ে ই-এফটি ফর্মে সঠিক তথ্য দিবেন এবং এক একটি প্রিন্ট কপি বের করে দিবেন বলে আস্বস্থ করেন। শুধু তাই নয় সার্ভিস বুকে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংযুক্ত করতেও প্রত্যেক শিক্ষককে গুনতে হচ্ছে সর্ব নিন্ম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন “ সরকার যে তথ্য অধিকার আইন জনগনের জন্য নিশ্চিত করেছেন এর কোন উপকার আমরা পাচ্ছি না” বরং শিক্ষা অফিসে কোন কাজ করতে হলে অফিস সহকারীকে ঘুষ দেওয়া লাগে। না হলে শিক্ষা অফিসে খুবই অসহায় শিক্ষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ই-এফটিতে অনিয়মের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অঞ্চল ভেদে একজন করে কর্মকর্তা তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় শিক্ষকদের অভিযোগ দিতে তাদের মুঠো ফোন দেওয়া হয়েছে এর পরেও শিক্ষা অফিসে বন্ধ হচ্ছে না ঘুষ বানিজ্য।
এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার জানান ঐ শিক্ষক তো আপনাদেরই আত্মীয় স্বজন ভাই-ব্রাদার, বিষয়টি যদি আপনারা কঠিন ভাবে দেখেন তা হলে এটি কঠিন হয়ে যাবে। আর যদি উদার ভাবে দেখেন তাহলে উদার হয়। এ অফিসে কোন আর্থিক লেনদেনের অনুমতি থাকে তা হলে আপনারা জানবেন। বিষয়টি একটু আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন আপনাদের সাথে দেখা হবেনে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন দেখেন আমি ঐ শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ডেকে জিজ্ঞাস করেছিলাম বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে।