বৃহস্পতিবার ● ১ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে শিক্ষিকার চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝালকাঠিতে শিক্ষিকার চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাবাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষিকার চারলাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার দিবাকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লায়জু আকতারের কাছ থেকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে ২০১৪ সালে লিখিত অঙ্গিকার করে নগদ চারলাখ টাকা ধার নেয় একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। দুই বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও ছয় বছর অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। এরই মধ্যে সোহাগ নিজেকে তাগাদার হাত থেকে বাচানোর জন্য তদ্বির করে দিবাকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাবাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে যান । টাকা ফেরত না পেয়ে লায়জু আকতার বিভিন্নজনের কাছে নালিশ দিলে চতুর মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ লায়জুকে নিয়ে নানা আপত্তিকর কথা প্রচার করতে থাকে এবং নানা হুমকি প্রদান করে। লায়জু অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকুরী করলেও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারনা করে থাকে। তার বিরুদ্ধে কিছু বললে তিনচারজন সাংবাদিক নিয়ে এসে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখায়। শুধু আমাকে নয় ঝালকাঠি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের স্টাফদেরও নিউজ করার ভয় দেখায়। বিভিন্ন স্কুলে চাকুরী করার সময় সোহাগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরও জাল করার অভিযোগ রয়েছে সোহাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, আমার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে লায়জুদের সঙ্গে বিরোধ আছে। আমি তাঁর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আমি একজন শিক্ষক, আমি কোথাও সাংবাদিক পরিচয় দেই না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমার কাছে আসলে আমি অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবো বলে আশা করছি।
নলছিটিতে আওয়ালীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা আহত -২০
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র
করে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চুর ২০ কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি কক্ষ, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ছবি ভাঙচুর করেছে। বুধবার রাতে কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু জানায়, আমার কর্মী সমর্থকরা রাতে কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে প্রচার-প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মল্লিকের নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কর্মী সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি কক্ষে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা কক্ষ ভাঙচুর করে। তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমার ২০ কর্মী সমর্থককে আহত করে। ভাঙচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ছবি। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নেপাল, মতি খান, রাজু, পারভেজ, স্বপন, সরোয়ার খান, কামরুল, মামুন, আনিচ, বাবলু ও জিসানকে।
আহতদের মধ্যে চারজনকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পাঁচজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ.এম মাহমুদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে । আগামী ১১ এপ্রিল এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঝালকাঠিতে করোনা সংক্রমন রোধে জণসচেতনতায় পুলিশ সুপারের মাক্স বিতরণ
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে সাধারণ মানুষের মাঝে জণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের উদ্যোগে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের বাসস্ট্যন্ড,সাধনার মোড়,সদর চৌমাথা হয়ে কামারপট্টি মোড়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি টিম পথচারীদের সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় মাস্ক পরা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও স্বস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়। জেলা পুলিশের এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ হাবীবুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমানসহ পুলিশে অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।