সোমবার ● ৫ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » গৃহবধূ মুন্নী হত্যার ১ বছর : মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে গড়িমসি
গৃহবধূ মুন্নী হত্যার ১ বছর : মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে গড়িমসি
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ের করেরহাটের অলিনগরের আলোচিত কুলছুমা আক্তার মুন্নী হত্যার ১ বছর।
গত বছরের ৫ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে করেরহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম অলিনগর গ্রামের সওদাগর বাড়িতে গৃহবধূ কুলছুমা আক্তার মুন্নী’র নির্মম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সে ঐ বাড়ির কাতার প্রবাসী আক্তার হোসেন প্রকাশ মুক্তার এর স্ত্রী।
তারপর একের পরে এক নাটকীয়তা, রহস্য উদঘাটনে গড়িমসি, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব, হয়নি কোন বিচার, হয়নি কোন সুরাহা, হয়নি এখনো কোন আসামি গ্রেফতার। ভিকটিম এর পরিবারের কাছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও চার্জশিট থেকে আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
এই নিয়ে ভিকটিম এর পরিবারের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এই রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল এর সৃষ্টি হয়েছে।
তারপর দীর্ঘ ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারী সঠিক তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির নিমিত্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বর্তমানে মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম এর তদন্তে প্রক্রিয়াধীন আছে।
নিহতের বড়ভাই করেরহাট এনবি শিশু একাডেমির সহকারী শিক্ষক এবং অলিনগর তারকা ক্রিড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মদ জানান, গত বছরের ৫ এপ্রিল তার একমাত্র বোন কুলছুমা আক্তার মুন্নীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্মমভাবে খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে রাখে।
এভাবেই একটি বছর পার হয়ে গেছে।
আমি চাই আমার বোনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হোক। ইন্ধনদাতা, প্রকৃত আসামি, দোষী ও অপরাধীরা কেউ যেন পার ও ছাড় না পায়। এমন নিষ্পাপ প্রাণ আর যেন অকালে ঝরে না যায় আর আমার বোনের মতো কারো পরিবারে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।