সোমবার ● ৫ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নেশাগ্রস্থ ছেলেকে ত্যাজ্য করেছে বাবা - মা
নেশাগ্রস্থ ছেলেকে ত্যাজ্য করেছে বাবা - মা
স্টাফ রিপোর্টার :: রায়হান মিয়া। নেশাগ্রস্থ ও উৎশৃঙ্খল। বাবা-মায়ের অবাধ্য সন্তান। বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত। এমন আচরণ ও বাবা-মায়ের অবাদ্য সন্তান হিসেবে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের ছেলেকে অস্বীকার করেছেন রায়হানের বাবা-মা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেঘরী দশপাইকা গ্রামে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখে রায়হান মিয়ার বাবা লুৎফুর রহমান ও মা রেহেনা বেগম কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য করেছেন।
এফিডেভিটে প্রকাশ: বিভিন্ন ধরনের নেশা করে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করে। প্রতিবাদ করলে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। নেশা করার জন্য জোরপূর্বকভাবে টাকা গ্রহন করে। টাকা প্রদান না করিলে আমাদেরকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এছাড়া রায়হান মিয়া বিভিন্নভাবে পরিবারকে হয়রানি করে আসছে।
রায়হান মিয়া অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে ধরা পড়লে মামলা-মোকদ্দমা উদ্ভব হলে তার জন্য হলফকারীগণ কিংবা পরিবারের সদস্যরা তার কোন দায়ভার গ্রহন করবেনা বলে রায়হানের বাবা-মা নিবে না নোটারিপাবলিকে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বনাথে মা ও ভাইয়ের পর এবার মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ ফয়সল
বিশ্বনাথ :: রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী দিলালা বেগম ও তার পুত্র মঈনুল ইসলামের মৃত্যুর পর এবার মারা গেছেন অগ্নিদগ্ধ অপর পুত্র ফয়সল আহমদ (২৩) (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার দিবাগত রাত (৪ এপ্রিল) ১টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২৮ মার্চ ফয়সলের মা দিলারা বেগম এবং ৩০ মার্চ তার মঈনুল ইসলাম (২৬) মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে বসতঘরের রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হলে এতে অগ্নিদগ্ধ হন ফয়সল আহমদ, তার মা দিলারা বেগম ও ভাই মঈনুল ইসলাম। এসময় তাদেরকে উদ্ধার এবং আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন মঈনুল ইসলামের পিতা ওয়ারিছ আলী এবং প্রতিবেশী নাঈম আহমদ ও কামরান মিয়া। ঘটনার পর পরই আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য অগ্নিগদ্ধ দিলারা বেগম, মঈনুল ইসলাম ও ফয়সল আহমদকে তাৎক্ষনিকভাবে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে মৃত্যু হয় দিলারা বেগম, মঈনুল ইসলাম ও ফয়সল আহমদ।