সোমবার ● ৫ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » একই পরিবারের দুই মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ
একই পরিবারের দুই মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটেরমোরেলগঞ্জে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আয়শা আক্তার সাদিয়া ও পুস্পিতা আক্তার লিমা নামের একই পরিবারের দুই মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। গত শনিবার (৩ এপ্রিল)দুপুরে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে নিখোঁজ হন ওই দুই শিক্ষার্থী। এদিকে তিনদিনেও আজ সোমবার-৫ এপ্রিল মেয়েদের ফিরে না পাওয়ায় দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। এ ঘটনায় নিখোঁজ আয়শা আক্তার সাদিয়ার বাবা রাজ্জাক খলিফা মোরেলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
নিখোঁজ আয়শা আক্তার সাদিয়া মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ গ্রামের রাজ্জাক খলিফার মেয়ে। পুস্পিতা আক্তার লিমা একই এলাকার মোঃ লিটন খানের মেয়ে। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগ্নি হন। তারা দুইজনই স্থানীয় ফুলহাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ আয়সার বাবা রাজ্জাক খলিফা বলেন, শনিবার দুপুর দুইটায় আমার মেয়ে এবং আমার ভাগনির মেয়ে একই সাথে বাসা থেকে স্কুলে ভ্রাইভেট পড়তে যায়। এরপরে আর ফিরে আসেনি তারা। আমরা পরিচিত সব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নিকে ফিরে চাই।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়ে তাদের অভিভাবক একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তাদের খুজে বের করার জন্য পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
পানগুছি নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নদীতে গোসল করতে নেমে সাবিনা আক্তার (৭) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে পুরানো থানা ঘাট এলাকা থেকে পানগুছি নদীতে গোসল করতে নেমে সে আর ফেরেনি। সে ওই এলাকার শাহজালাল শেখের মেয়ে।
খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস মোরেলগঞ্জ ষ্টেশন কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দেবনাথ বলেন, শিশুটির সন্ধান পেতে তল্লাশি চলছে।
অধিকতর তল্লাশির জন্য খুলনা থেকে একটি ডুবুরি দল মোরেলগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
মোরেলগঞ্জের মানুষ মানছেন না লকডাউন, চলছে যানবাহন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ জুড়ে লকডাউন মানতে অনীহা প্রকাশ সাধারণ মানুষের। চলছে নিমিয়ত যানবাহন। আজ সোমবার সকাল থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে বিভিন্ন চিত্র ঘুরে দেখা যায়, পৌর সদরে বেশির ভাগই দোকান পাঠ খোলা। নিয়মিত মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৭ দিনে জন্য কঠোর বিধি আরোপ করে লকডাউন ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে মানুষ ঘরে থেকে পেটের তাগিতে বাহির হয়ে গেছেন।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে প্রাণকেন্দ্র বাজার পয়েন্টে যানবাহন, মানুষ জন চলা ফেলা করতে দেখা যায়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার-বার তাগিত দিয়ে আসলে সাধারণ মানুষ উল্টো পথে হাটছেন। গত কয়েক দিনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে প্রতিনিয়িত বাড়তে থাকে করোনা প্রকোপ। সোমবার (৫ এপ্রিল) লকডাউনের সংবাদ শুনার পর ৪ এপ্রিল (রোবাবার) সকাল ৭ টা থেকে মোরেলগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিকেলে মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে যানজট সাধারণ মানুষের চলা ফেরা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে লকডাউনের সকল নির্দেশনা মেনে নিয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি ও আধা সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।