বুধবার ● ৭ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে দুই ডাকাত আটক
বিশ্বনাথে দুই ডাকাত আটক
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে মহাসড়কে ব্যারিগেট দিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার ৭ এপ্রিল ভোরে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্মা। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দা, লোহার চাপাতি, দড়ি, ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্বনাথ উপজেলার ধর্মদা ও রশিদপুর এলাকার মহাসড়ক এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম (আমতলী) গ্রামের মো. হাফিজের ছেলে আল আমিন (২২) ও ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মুরারীদহ গ্রামের শরীফুল ইসলাম শেখের ছেলে মো. এরশাদুল শেখ ওরফে রাজ (২৮)। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা ডাকাত আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিশ্বনাথে সায়মন হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
বিশ্বানাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে যুবক সায়মন হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি তাহিদ আলীকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পৌরসভার জানাইয়া উত্তর মশুলা গ্রামের মোস্তাব আলীর ছেলে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নরসিংপুর ও নকিখালি এলাকার মধ্যখানের কালভার্ট থেকে তাকে প্রথমে আটক করেন স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
এর ক’দিন আগে প্রধান আসামি এনাম উদ্দিনকে (২৩) গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু।
প্রসঙ্গত, গেল ২০ মার্চ রাত ১০টায় সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ সড়ক এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন ইরমান আহমদ সায়মন (২৪) নামের ব্যবসায়ী যুবক। তিনি পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মশুলা গ্রামের মছলন্দর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম সুমন এটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে একই গ্রামের গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে এনাম উদ্দিন (২৩), মোস্তাব আলীর ছেলে তাহিদ আলী (২৪), আব্দুল মছব্বিরের ছেলে আফজাল হোসেন লায়েক (১৯), মৃত তাহির উল্লাহর ছেলে ফয়েজ আহমদ (২৪) ও তোরাব আলীর ছেলে তারেক আহমদকে (২১) আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত লায়েক, ফয়েজ ও তারেককে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যায় খুনি এনাম উদ্দিন ও তাহিদ আলী।
বিশ্বনাথের ইউএনও করোনামুক্ত
বিশ্বনাথ :: দীর্ঘ ১৬ দিন পর করোনামুক্ত হলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ইউএনও বর্ণালী পাল। দ্বিতীয় টেস্টে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় কর্মস্থলে ফিরেছেন তিনি। সোমবার থেকে করছেন নিয়মিত অফিস। দ্বিতীয় টেস্টের জন্যে ১ এপ্রিল রাতে নমুনা দিলে এর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে গেল ৪ এপ্রিল রাতে।
শরীরে জ্বর নিয়ে নমুনা দিলে গত ১৬ মার্চ করোনা শনাক্ত হয় তার। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৬ দিন সরকারি বাস ভবনেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
তিনি জানান, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ও সকলের আশির্বাদে করোনামুক্ত হয়েছি। যারা সাহস ও মনোবল যুগিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বিশ্বনাথে তাহির আলী ফাউন্ডেশনের খাদ্য বিতরণ
বিশ্বনাথ :: মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে আজ (৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার বিশ্বনাথে আত্মপ্রকাশ করেছে আলহাজ্ব মো. তাহির আলী (মিলিটারি) স্মৃতি ফাউন্ডেশন। সংগঠনের যাত্রা শুরু করে প্রথম দিনেই পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ৫৫ জন অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তৈল ও ছোলা।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পূর্বে সদুরগাঁও (সৈয়দপুর) মিলিটারি বাড়ীতে আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাসী মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জবাজারের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ঠ সমাজসেবক আব্দুল আহাদ, বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ শেখ শহিদুল ইসলাম, জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল কাদির, সংগঠক আব্দুল্লাহ, তাজুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ইন্তাজ আলী, আব্দুল হক, ইউসুফ আলী, সাইফুল করিম, আফজল মিয়া প্রমুখ।
দুআ পরিচালনা করেন আতাপুর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. ফিরোজ আলী।
বিশ্বনাথে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা
বিশ্বনাথ :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সিলেটের বিশ্বনাথে বিভিন্ন জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার রামপাশা ও বৈরাগী বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
এ সময় ওই এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৭ ব্যক্তিকে ৩ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিশ্বনাথে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
বিশ্বানাথ :: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের গতকাল ছিলো প্রথম দিন। যার ফলে গতকাল থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনসমাগম বন্ধ, গণপরিবহণ এবং নিত্য পণ্যের দোকানপাট ব্যতীত সকল কিছু বন্ধ থাকার কথা থাকলেও লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন (আজ মঙ্গলবার ) ৬ এপ্রিল বিশ্বনাথের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তার ভিন্ন চিত্র।
কাগজে ঘোষণায় লকডাউন থাকলেও তা মানছেন না কেউ। বিশ্বনাথ লামাকাজী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাবেই চলছে লকডাউন। কারো মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। লকডাউনের বিধি নিষেধ সম্পর্কে নেই কারো ধারণা। এমনকি সড়কে চলাচল করছে সিএনজি অটোরিকশা-মাইক্রোবাস।
আজ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও বিশ্বনাথ থানার পুলিশের একাধিক টিম মাঠে থাকলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছিল না। ছিল না মুখে মাস্কও। অনেকেই চায়ের দোকানগুলো দিয়েছেন আড্ডা।
তাছাড়া, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তিনজন নিয়ে সড়কে চলাচল করার কথা থাকলেও চার/পাঁচজন নিয়ে চলতে দেখা যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার সেই সুযোগে সড়কজুড়ে বিকল্প পরিবহনের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। সবমিলিয়ে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন অনেকটাই বলতে গেলে স্বাভাবিক ই ছিল বিশ্বনাথ এলাকার গাড়ি চলাচল।
বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও বর্ণালী পালের মতবিনিময়
বিশ্বানাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল।
হবিগঞ্জের সদর উপজেলায় নিজের বদলী হওয়ায় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিশ্বনাথের সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিদায় নিতেই বিআরডিবি মিলনায়তনে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ইউএনও বর্ণালী পাল।
সভায় বক্তারা বিশ্বনাথে ইউএনও হিসেবে বর্ণালী পালের কর্মকান্ডের মূল্যায়ন করে বলেন, স্বল্প সময়ে নিজের কর্মকান্ড দিয়ে সর্বস্থরের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হছেন তিনি (ইউএনও)। আর নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে একদিন নিজের যোগ্যতা বলেই আরো উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল।
নিজের বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল বলেন, বিশ্বনাথে সর্বস্থরের মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় চেষ্টা করেছি নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার। দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বনাথকে নিজের উপজেলা মনে করেই কাজ করেছি।
ইউএনও’র বিদায়ী মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, আশিক আলী, কামাল মুন্না, নবীন সোহেল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সদস্য নূর উদ্দিন, মো. আবুল কাশেম, সাংবাদিক মোশাহিদ আলী, বদরুল ইসলাম মহসিন, আহমদ আলী হিরণ, ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
সভাশেষে বিশ্বনাথের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পালকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিশ্বনাথে কৃষকদের মধ্যে ধান কাটার মেশিন বিতরণ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষিকান্ধব সরকার, শ্রমিকবান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকে সর্বস্থনের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিখ্যাতে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কারণেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বুধবার দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ধান-গম কাটার মেশিন)’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন।
৩১ লাখ টাকা মূল্যের প্রত্যেকটি কম্বাইন্ড হারভেস্টারে সরকার ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায়’ ৭০% (১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা) ভর্তুকি দিচ্ছেন। আর কৃষকরা কিস্তিতে ৩০% (১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা) মূল্য পরিশোধ করে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ক্রয় করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব সরকারের পরিচালনায় ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাকিবুল হাসান।
বিশ্বনাথে সরকারের ৭০% ভর্তুকিতে কম্বাইন্ড হারভেস্টারপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামের শুকুর আলী, পুরাণ সিরাজপুর গ্রামের ছাদিকুর রহমান, দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের জাবের আহমদ, আগ্নপাড়া গ্রামের পারভেজ আহমদ।
এদিকে উপজেলা কৃষি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলাবাসীকে অবহিত করেছেন, ভর্তুকিতে যে কোন কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হলে আগ্রহী কৃষকদেরকে লিখিত আবেদন করতে হবে। আর যারা লিখিত আবেদন করবেন তারাই কেবল যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের পছন্দের কৃষি যন্ত্র ক্রয় করতে পারবেন।
বিশ্বনাথে ঢিলেঢালা লকডাউন পালিত
বিশ্বনাথ :: রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের ব্যস্ত-ছোটাছুটি। দূর পাল্লার বাস ছাড়া চলছে অন্যান্য যানবাহনও। সরকারি নির্দেশনার বাহিরে, নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলেছেন কেউ কেউ। লকডাউনের প্রথম দিনের এ চিত্র সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার।
দুপুরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন অভিযানে নামলে পাল্টে যায় এ চিত্র। এসময় মাস্ক বিহীন ঘুরাফেরা করায় ৭ ব্যক্তিকে অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরকারি নির্দেশনা মানতে, সর্তক করা হয় বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাবার পর ফের মাস্ক বিহীন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। উপেক্ষিত হয় স্বাস্থবিধিও। পরে বিকেল ৬টায় ফের পুলিশ টহলে নামলে বন্ধ হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তখন উপজেলা সদরে মানুষের ছোটাছুটি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিশ্বনাথে মাস্ক না পড়ায় ৭ জনকে জরিমানা
বিশ্বনাথ :: লকডাউনের প্রথম দিনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মাস্ক না পরে বের হওয়ায় ৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোমবার বেলা ২টার বিশ্বনাথ নতুনবাজার ও পুরাতনবাজারে এ অভিযান শুরু হয়।
এ সময় মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭ জনকে জরিমানা করেন।
৭টি মামলায় ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান। সেই সাথে সরকারি নির্দেশনা পালনে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সর্তক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনা প্রতিরোধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বনাথে স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার
বিশ্বনাথ :: যৌতুক না দেওয়ায় স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ মুক্তার আলী (৪৯) নামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্বামীকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে। মুক্তার আলী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার পূর্বপাড়া গ্রামের হাজী মোশাহিদ আলীর পুত্র। গ্রেপ্তারকৃত মুক্তার আলী নিজের বৃট্রিশ পাসপোর্টকে পুঁজি করে কাবিন ছাড়াও একাধিক বিয়ে করে মানুষকে হয়রাণী করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নির্যাতন করার অভিযোগে বুধবার একই উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার মাঝপাড়া গ্রামের চাঁন্দ আলীর কন্যা ও সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. স্বপ্না বেগম (৩০) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার স্বামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তার আলীকে একমাত্র অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছন। মামলা নং ৫ (তাং- ০৭.০৪.২০২১ইং)।
মামলার লিখিত অভিযোগপত্রে বাদী স্কুল শিক্ষিকা স্বপ্না বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তার আলী একজন প্রতারক প্রকৃতির লোক। তিনি (মুক্তার) লন্ডনে অবস্থান করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৌশলে প্রতারণা করে একাধিক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ২০১৯ সালে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পারিবারিক ও সামজিকভাবে স্বপ্না বেগমকে বিয়ে করেন মুক্তার আলী। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হলেও পারিবারিক বিভিন্ন ব্যস্থতার অজুহাত দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন মুক্তার আলী। তিনি বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রারী না করেই ৪মাস পর যুক্তরাজ্যে চলে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর নিজ পিত্রালয়ে বসবাস করেন স্বপ্না বেগম। কয়েক মাস পর তাদের ঘরে একটি সন্তান জন্ম নিলেও সে জন্মের এক সপ্তাহ পর মারা যায়। যুক্তরাজ্যে থাকাবস্থায় বিয়ের কাবির রেজিষ্ট্রীর কথা বললে তখন থেকে স্বপ্নার সাথে মুক্তার আলী খারাপ আচরণ শুরু করেন ও স্বপ্নাকে স্কুল থেকে চাকুরী ছেড়ে দিতে বলেন। এতে স্বপ্না অনিহা প্রকাশ করলে তার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মুক্তার। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তার দেশে ফিরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পিত্রালয় থেকে স্ত্রী স্বপ্নাকে নিজ বাড়িতে (শশুরালয়) ফিরিয়ে নেন এবং বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেন। কিন্তু কাবিন রেজিষ্ট্রী করাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী স্বপ্নাকে মারপিট করাসহ শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন প্রবাসী মুক্তার। এরি মধ্যে তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার এলাকার আমিনা বেগম নামের আরেকজন মেয়েকে বিয়ে করে সিলেট শহরের একটি ভাড়াটিয়ে বাসায় রাখেন এবং সেখানেই রাত্রিবেলা মাদকদ্রব্য সেবন করে প্রতিনিয়ত স্বপ্নাকে নির্যাতন করেন মুক্তার। তিনি মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকদ্রব্য ক্রয় করতে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি সুদে টাকা ধার নিতেন এবং ওই সুদের টাকা পরিশোধ ও মাদক ক্রয় করতে স্ত্রী স্বপ্না বেগমকে চাপ সৃষ্টি করে তার বেতনের জমানো আড়াই লাখ টাকা নেন মুক্তার। এপর পিতার কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার দাবি করলে, তাতে স্বপ্না রাজি না হওয়ায় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাকে নির্যাতন ও মারধর করে গুরুতর জখম করেন করেন মুক্তার। পরদিন স্বপ্নার কর্মরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে স্বপ্নার পিতা শশুরালয় থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই ঘটনার পর থেকে স্বপ্না পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৮ মার্চ এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকে কোন প্রকার নির্যাতন না করার অঙ্গিকার করে স্ত্রী স্বপ্নাকে আবারও নিজ বাড়িতে নিয়ে যান মুক্তার। কিন্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর যৌতুকের টাকা দাবি করে আবারও তাকে নির্যাতন করতে থাকেন এবং গত ৫ এপ্রিল উত্তেজিত হয়ে ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর ও স্বপ্না বেগমকে মারধর করে আহত করেন মুক্তার। এঘটনায় স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত মুক্তার আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী মুক্তার আলীকে বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।