বুধবার ● ৭ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে পুলিশের করোনা প্রতিরোধে ব্যতিক্রমী প্রচারনা
রাউজানে পুলিশের করোনা প্রতিরোধে ব্যতিক্রমী প্রচারনা
আমির হামজা, ষ্টাফ রিপোর্টার :: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সরকার ঘোষিত লকডাউন নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী অভিযান ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে রাউজানে। গতকাল ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক পথের জনবহুল স্থান সমূহে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় মাঠে নামেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেল (রাউজান -রাঙ্গুনিয়া) এর সহকারি পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম। তিনি সঙ্গীয় ফোর্সদের হাতে লাঠির মাথায় করোনার ভাইরাস সদৃশ বস্তু দিয়ে হেঁটে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করছিলেন এভাবে “আমি করোনা ভাইরাস বলছি, আমার থেকে নিরাপদ থাকতে যদি চাও সামজিক দূরত্ব মানো, মুখে মাস্ক লাগাও…”এদিন সরকার ঘোষিত লকডাউন নিশ্চিত করতে রাউজান উপজেলা প্রশাসন রাস্তাঘাট হাটবাজরের অভিযান চালান । সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাউজান ফকির হাট বাজার, মুন্সির ঘাটা, সূর্যসেন চত্তর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। অভিযান চলাকালে সড়কের উপর গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক
দাঁড় করিয়ে রাখার অপরাধে মোসার্স হসিনা টেডিং কর্পোরোশনকে ২০ হাজার টাকা, রাউজান ফকির হাট বাজারের শিব শংকর হোটেলকে ১ হাজার টাকা, সড়ক পরিবহন আইনে মোটর সাইকেল চালকসহ বিভিন্ন যানবাহন চালককে মোট ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রাউজানের এক গৃহবধুকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের শাহানা আকতার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার মনাইর টেকনামক এলাকার পাহাড় থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। নিহত শাহানা আকতার রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের মান্নান উল্লাহ সিকদার বাড়ির হাছি মিয়া সিকদারের মেয়ে ও রাউজান সদর ইউনিয়নের নাতোয়ান বাগিছা এলাকার শমসেন নগরের গুচ্ছ গ্রামের মো. সাঈদুল আলমের স্ত্রী। কাউখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম বলেন, নিহত শাহানা আকতারের সঙ্গে তার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী সুজন বড়ুয়ার স্ত্রীর সাথে বোন ডাকাডাকি হয়। পরে শাহানা আকতারের কাছ থেকে সুজন বড়ুয়া ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। এই লেনদেন সূত্র ধরে সুজন বড়ুয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। শাহানা আকতারকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের সময় সুজন বড়ুয়া তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিল। নিহত শাহানা আকতারের গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে এসব আঘাত করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। নিহত শাহানার পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে সে তার শ্বশুরালয়ে ছিল, কোন এক সময় তাকে নিয়ে গেছে। পাহাড়ে শাহানা আকতারকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পায় দুই উপজাতী ছেলে। এসময় তারা শাহানার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। দুই উপজাতির কাছে সুজন বড়–য়া তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা বলেন। পরে ওই দুই উপজাতী পুলিশ ও স্বজনদের খবর দিলে পুলিশ ও স্বজনরা উপস্থিত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। কাউখালি থানার ওসি শহীদ উল্লাহ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মো.সাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এদিকে সুজন বড়ুয়া পুলিশের নজরদারিতে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেডিকেলে চান্স পেলেন রাউজানের মেধাবী শিক্ষার্থী রিমি
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের, শাহাদুল্লাহ্ কাজীর বাড়ির মেধাবী শিক্ষার্থী শাহনাজ আফরিন রিমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে পুরো গ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এর আগে মেডিকেল চান্স পেয়েছিলেন তাঁর বড় বোন। রিমি রাউজানের সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এবারের মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থী রিমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (এমবিবিএস) ১ম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে গতবছর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রিমির বড় বোন সালমা আফরিন অমিও মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পান, অমি বর্তমানে (এমবিবিএস) রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত আছেন। অমিও চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এলাকার লোকজন জানান, সর্বপ্রথম আমাদের গ্রামের দু’জন মেয়ে একসাথে সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেন। তাঁরা দুই বোন আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এটা গৌরবের বিষয়।
অমি ও রিমির বাবা সাবেক ইউপি সদস্য মো: বেলাল উদ্দিন, দুই মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার আনন্দের খবরটি ভাগ করেন নিজের ফেইসবুক পোস্ট। তিনি বলেন তাঁর দুই মেয়েরা ভবিষ্যতে একজন ভাল ডাক্তার হয়ে দেশ ও জনগণের সেবা করতে পারেন। তিনি সকলের কাছে তাঁর দুই মেয়ের জন্য দোয়া কামনা করেন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তাঁদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর বাবার পোস্টে অনেকে।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইউনিক স্কুলিং এর নতুন আয়োজন “Excavator 1.0″
রাউজান :: করোনার এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যখন সকল শিক্ষার্থী স্তব্দ মস্তিষ্ক নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠতে চলেছে এমন-ই এক সময় শিক্ষার্থীদের মন মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে চুয়েট সহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গড়ে উঠা “ইউনিক স্কুলিং” নামের অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম আয়োজন করেছে Case Study Contest ‘Excavator 1.0′ নামের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতাটি মূলত দলভিত্তিক বিভিন্ন বাস্তবধর্মী সমস্যা সমাধান বিষয়ক। গত পহেলা এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার পর্দা উন্মোচন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্দ্যোক্তা মোহাম্মদ ফাহিম উদ্দিন ও জেরিন সুলতানা শাওন। অনুষ্ঠান এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনুষ্ঠান ব্যাবস্থাপক তানজিম তাহমিদ রেজা জানান শিক্ষার্থীদের সমাজ ও দেশের বিভিন্ন সমস্যা বুদ্ধিমত্তার সাথে সমাধান করতে উৎসাহিত ও যথাযথ মূল্যায়ন-ই এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য। “Excavator 1.0″ এর ই-লার্নিং পার্টনার হিসেবে থাকছে দেশের স্বনামধন্য অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম ‘বহুব্রীহি’। সাথে প্রোমোশন পার্টনার হিসেবে থাকছে ‘হোয়াইট বোর্ড সায়েন্স ক্লাব’ এবং লালমনিরহাট সায়েন্স ও লিটারেচার ক্লাব। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চুয়েট নিউজ ২৪ এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ। প্রত্যেক ক্যাটাগরি থেকে বিজয়ী দলের জন্য থাকছে প্রাইজমানি ও সার্টিফিকেট। এছাড়া বহুব্রীহি এর পক্ষ থেকে বিজয়ী এবং রানারআপ টিম এর প্রতিজনের জন্য ২০০০টাকা করে মোট ১৮০০০ টাকার ডিসকাউন্ট কুপন।তাছাড়া অংশগ্রহণকৃত সকলের জন্য রয়েছে তাদের যেকোনো কোর্সে ৪০% ডিসকাউন্ট ( ক্যারিয়ার ট্র্যাক ব্যাতীত)। ইভেন্ট রেজিষ্ট্রেশন ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে প্রয়োজনে ইভেন্টের সময়সীমা বাড়তে পারে বলে জানান ইভেন্ট ম্যানেজার তানযীম তাহমিদ রেজা।
উল্লেখ্য ‘ ইউনিক স্কুলিং’ একটি অনলাইনভিত্তিক এডুকেশনাল প্ল্যাটফর্ম।যা বাংলাদেশের মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত ও যুগোপযোগী অনলাইন শিক্ষা প্রদান করে আসছে।