বুধবার ● ৭ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » পান দোকানদারের ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৩০তম
পান দোকানদারের ছেলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৩০তম
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৩০তম স্থান অর্জন করে ত্রিশালের দরিরামপুর বাজারের পান দোকানদার কাজলের ছেলে মেহেদী হাসান পিয়াল। পিয়াল হতদরিদ্র পান দোকানদার আব্দুল কাদের কাজল ও মিনারা বেগমের সন্তান। দরিদ্রতা কখনও মেধাকে আটকাতে পারে না তার উজ্জল দৃষ্টান্তর হল পিয়াল।
ত্রিশালের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুকতারা বিদ্যানিকেতন থেকে এসএসসি এবং সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ।জাতীয় মেধায় ৩০ তম এবং তার জন্য নির্ধারিত কলেজ পড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা। বিষয়টির সত্যতা জানিয়ে শুকতারা বিদ্যানিকেতনের প্রধানশিক্ষক মো. কামাল হোসেন আকন্দ বলেন, পিয়াল ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। সে পিএসসি,জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে সাফল্যের সহিত উর্ত্তীণ হয়েছে। পিয়ালের বাবা পান দোকানদার আব্দুল কাদের কাজল বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ত্রিশালবাসী দোয়া ও শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমে আমাদের সন্তান ভাল ফলাফল করতে সর্মথ হয় এই জন্যে আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞা। শুকতারা বিদ্যানিকেতনের সিনিয়ার শিক্ষক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির ত্রিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, পিয়াল খুবই পরিশ্রমি ছেলে আমি খুবই গর্ববোধ করছি ও দেশবাসীর নিকট জন্য দোয়া চাইছি। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শুকতারা বিদ্যানিকেতনের সিনিয়ার শিক্ষক শহিদুল রহমান, লুৎফর রহমান রতন, তাজউদ্দিন আহমেদ, সিদ্ধিকুর রহমান, সদ্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া হামিদুল রহমান শাউন। পরে উপস্থিত সকলকে মিষ্টি বিতরন করা হয়।
ত্রিশালে মানছে না লকডাউন
ময়মনসিংহ :: ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউন মানছে না ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এক সপ্তাহের লকডাউন সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়। সরকারের ৮ দফা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলছে ব্যবসা বাণিজ্য, খোলা রয়েছে প্রায় সবধরনের দোকান পাট। ঠিকমতো স্বাস্থবিধিও মানা হচ্ছে না। ত্রিশাল পৌর শহরের নজরুল কলেজ ও গো-হাটা কাঁচা বাজার, সানাউল্লাহ সুপার মার্কেট, ত্রিশাল বাজার জামে মসজিদ রোড, পাকজাহান লাইব্রেরী মোড়, পোড়াবাড়ী মোড় ও দরিরামপুর মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মার্কেট গুলোতে ব্যবসায়ীরা দোকানের সাটার অর্ধেক খুলে রেখে চালাচ্ছে ব্যবসা , প্রশাসনিক গাড়ি বা লোক চোখে পড়লেই বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা করছেনা অনেক ব্যবসায়ীরা । লকডাউন পালনে উপজেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করলেও মানছেন না লকডাউন। বিভিন্ন পৌর শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় একই পরিস্থিতি বিরাজমান। লকডাউনকে ঘিরে এসব স্থানে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের তৎপরতাও রয়েছে। এতে করে উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা এ উপজেলায় করোনার সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলামের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৬ জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬জন। এ পর্যন্ত করোনায় ৬ জন মারা গেছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ৬৬১২ জন। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থি মোকাবেলায় মানুষের মধ্যে আরও সচেতনাতা বৃদ্ধি করতে হবে ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না অনেক স্থানে, যে যার মত ঘুরাঘুরি করছে সুরক্ষা ছাড়াই। করোনা পরিস্থিতির থেকে নিরাপদে থাকার একমাত্র উপায় সচেতনতা।