সোমবার ● ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে গোরস্থান নির্মাণের জন্য হিন্দুদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়
ঝিনাইদহে গোরস্থান নির্মাণের জন্য হিন্দুদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১২ মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামীলীগের নেতা কাজী আশরাফুল আজম গোরস্থান নির্মাণের জন্য এলাকার হিন্দু সমপ্রদায়ের কাছ থেকে রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করেছেন৷ ট্রেড লাইসেন্স ও ওয়ারেশ কায়েম সনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা দানের সময় গত ৫ বছর ধরে এই টাকা আদায় করা হয়৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন গোরস্থান নির্মাণ করা হয়নি৷ এমনকি জায়গা নির্বাচনও নেই৷ আসন্ন ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে কাজী আশরাফুল আজম আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন৷ ভোটের মাঠে হিন্দুদের কাছ থেকে গোরস্থান নির্মাণের টাকা আদায়ের বিষয়টি এখন বেশ শোরগোল তুলেছে৷ পৌরসভার বাসিন্দরা জানান, গত ৫ বছরে গোরস্থান নির্মাণের জন্য হিন্দু-মুসলমানের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে৷ নাগরিক সুবিধা নিতে গেলেই দিতে হয়েছে এই চাঁদা৷ কিন্তু আজো কবরস্থান নির্মাণ হয়নি৷ এমনকি জায়গা নির্বাচনও নেই৷ যা সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে৷ অবশ্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন উত্তোলনকৃত টাকা ব্যাংকে জমা রাখা আছে৷ কিন্তু গোরস্থান নির্মাণ করতে যে টাকার প্রয়োজন ৫ বছরেও সেই পরিমান টাকা জমা হয়নি৷ যে কারণে তারা গোরস্থান নির্মাণ করতে পারেননি৷ সাধারণ ভোটাররা অভিযোগ করেন, শৈলকুপা পৌরসভা এলাকায় পৌর গোরস্থান নির্মাণ হবে শুনে তারা খুশি হয়েছিলেন৷ বর্তমান মেয়র কাজী আশরাফুল আজম নির্বাচিত হবার পর তিনি গোরস্থান নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন৷ আর এই গোরস্থান নির্মাণের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় শুরু করেন৷ সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা পেতে পৌরসভায় গেলে দিতে হয়েছে গোরস্থানের চাঁদা৷ হিন্দু-মুসলিম সব সমপ্রদায়ের কাছ থেকেই এই চাঁদা নেয়া হয়েছে৷ শৈলকুপা শহরের ব্যবসায়ী কার্ত্তিক সাহা জানান, গোরস্থানের টাকা দেয়ার সময় তারা আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু তারপরও গোরস্থান নির্মাণের রশিদ না থাকলে কাজ করে দেয়া হয়নি৷ তিনি জানান, ২০১৪ সালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স বাবদ তাকে ২০০ ও গোরস্থানের জন্য দিতে হয়েছে ৫০ টাকা৷ তিনি বলেন, এই টাকা দেয়ার সময় বলেছিলাম শ্মশান প্রতিষ্ঠার চিন্তা করা হোক৷ শহরের গিরিধারী জুয়েলার্স এর মালিক ঝন্টু জোয়ার্দ্দার জানালেন তিনিও গোরস্থানের টাকা দিয়েছেন৷ এ ব্যাপারে বর্তমান মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, গোরস্থান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ কিন্তু যে পরিমান টাকার প্রয়োজন সেই পরিমান টাকার জোগাড় করা সম্ভব হয়নি৷ আগামীতে করা হবে বলে তিনি জানান৷ তিনি বলেন, এই টাকা কারো কাছ থেকে জোর করে নেয়া হয়নি৷ তিনি বলেন, এই টাকা ব্যাংকে জমা আছে৷