বৃহস্পতিবার ● ৮ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাতের আধাঁরে ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষের লোকজন
রাতের আধাঁরে ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষের লোকজন
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সিএস খতিয়ান, এসএ খতিয়ান, আরএস খতিয়ান, বিএস খতিয়ান ও পর্চাসহ খাজনা খারিজ নিজের নামে থাকলেও রাতের আঁধারে বোরো ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষের লোকজন। ক্রয়ের প্রায় ২৯ বছর ধরে ভোগ করে আসা ফসলি জমি থেকে বুধবার গভীর রাতে ওই ধান কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আস্তুম আলী খা।
জানা যায়, উপজেলার দরিপাঁচাশি গ্রামের আস্তুম আলী খা প্রায় ২৯ বছর আগে সিএ খতিয়ানের মালিক পবন সর্দার এর একমাত্র ছেলে এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানের মালিক মফিজ উদ্দিনের কাছ থেকে ৮৮শতাংশ জমি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেন। কিন্তু ২০২০সানে এসে একই গ্রামের প্রতিবেশি আব্দুল কাদির গংরা ওই জমি তাদের বলে দাবি করেন। বিষয়টি মিমাংসা করতে এলাকার গন্যমান্য ও ইউনিয়নের পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে সালিশ দরবার করলেও তার সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আসে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন কাগজপত্র দেখে জমির মালিক আস্তুম আলী খাকে জ্ঞাপন করেন এবং প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির গংদের জমিতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু সেই নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে আব্দুল কাদির গংরা জমি দখলের চেষ্টা করেন। ওই মহুর্তে জমির মালিক আস্তুম আলী খা বাদি হয়ে ঈশ্বগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০সালে আদালত অস্থায়ী নিশেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের লোকজন ময়মনসিংহ জেলা জর্জ কোর্টে আপিল করেন। জেলা জর্জ কোর্ট ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায় বহাল রেখে আপিল খারিজ করেদেন। ওই পর্যায়ে আব্দুল কাদির গংরা হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আগের দু’টি আদেশ ৬মাসের জন্যে স্থগিত করে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্যে আদেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের আগেই জমির মালিক আস্তুম আলী খা জমিতি বোরো ধান রোপন করে ফেলেন। এমন অবস্থায় ধানক্ষেত পরিচর্যা করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু গত বুধবার রাত ১টার দিকে প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির গংরা ওই বোরো জমির ধান কেটে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে আব্দুল কাদিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জমির ধান আমি কেটে নিয়েছি। আপনার জমির ধান রাতে কাটলেন কেন সাংবাদিকদের এমন পশ্নের উত্তরে তিনি এড়িয়ে যান।
বিষযটি নিয়ে জমির মালিক বয়োবৃদ্ধ আস্তুম আলী খা বলেন, আমার ছেলেরা জমিতে ধান রোপন করে এতোদিন পরিচর্যা করে আসছে এখন আব্দুল কাদির ও তার লোকজন ওই ধান রাতের আধাঁরে কেটে নিয়ে গেছে। আমি এর সুষ্টু বিচার চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, রাতে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন খবরে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।