শুক্রবার ● ৯ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার সন্ধান ও ফিরিয়ে দেয়ার দাবি
গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার সন্ধান ও ফিরিয়ে দেয়ার দাবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ ৯ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে দুই বছর আগে গুমের শিকার হয়ে নিখোঁজ থাকা ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমাকে সন্ধানপূর্বক তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিগত ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে সাংগঠনিক কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাইকেল চাকমা গুমের শিকার হন। আজ ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অংগ্য মারমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে গুমের শিকার হওয়া মাইকেল চাকমার সন্ধান দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দুই বছরেও রাষ্ট্র তাঁর সন্ধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এর দায় রাষ্ট্র কিছুতেই এড়াতে পারে না।
তিনি মাইকেল চাকমাকে খুঁজে পেতে পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, মাইকেল চাকমা গুম হওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল তার এক আত্মীয় ধনক্ক চাকমা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং ১৯ এপ্রিল একই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ প্রথম দিকে মাইকেল চাকমাকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার কথা বললেও পরে অবস্থান পাল্টিয়ে অসহযোগিতামূলক আচরণ শুরু করে। এমনকি থানায় জিডির বিষয়টি পর্যন্ত অস্বীকার করে।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মে মাইকেল চাকমার বড় বোন সুভদ্রা চাকমা মাইকেল চাকমার সন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে ২১ মে’১৯ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ মাইকেল চাকমা নিখোঁজের বিষয়ে ৫ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ এবং তার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য জানাতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত হাইকোর্টের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বিবৃতিতে অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলনকে দমনের লক্ষ্যেই পরিকল্পিতভাবে মাইকেল চাকমাকে গুম করা হয়েছে। যদি তা-ই না হতো তাহলে রাষ্ট্র অবশ্যই তাঁর সন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতো।
তিনি আর কালক্ষেপণ না করে মাইকেল চাকমাকে সন্ধানপূর্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান।