শিরোনাম:
●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ৯ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » বাগেরহাটে গরম বাতাসে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন
প্রথম পাতা » কৃষি » বাগেরহাটে গরম বাতাসে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন
শুক্রবার ● ৯ এপ্রিল ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাগেরহাটে গরম বাতাসে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তশেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঝড়ো বাতাস ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গরম বাতাসে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৪ এপ্রিল রাতে হঠাৎ ঝড়ে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়। দূর থেকে ধান গাছ গুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও শীষে থাকা ধানগুলো চিটে হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেতের ধান গাছের পাতা পুঁড়ে গেছে। বাতাসের তোড়ে কিছু কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। চাষীরা ফলন্ত ধান পাকার আগ মুহূর্তে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে ধারদেনা করা টাকায় উৎপাদিত ফসলের এমন ক্ষতিতে অনেক কৃষক নিস্ব হয়ে যাবেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৫০০ একর ধানের জমিতে এ ক্ষতি হয়েছে। ফের বড় ধরণের ঝড় বৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপমাত্রা না হলে কৃষকরা অনেকটাই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন। তবে বাস্তবে ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

চিতলমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২১টি ব্লক রয়েছে। একুশটি ব্লকে এবছর বেরো মৌসুমে ২৮ হাজার ৫২৮ একর জমিতে হাইব্রিড ও ৩৮৩ একর জমিতে উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে। এখানের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এই ধান চাষের সাথে জড়িত। এই ধানের উপর তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড অনেকটা নির্ভর করে। প্রথমদিকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছরও ধানের বাম্পার ফলন আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ৪ এপ্রিল রাতে ঝড়ে ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় নিচু এলাকায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চিতলমারী উপজেলার শ্রীরামপুর বিলে ধান লাগানো কৃষক তাপস ভক্ত, রনজিত কুমার, সাধন বৈরাগী, সালাম শেখ, তারক মন্ডল, সুশেন বৈরাগী ও সুকুমার মন্ডল, সন্তোষ মন্ডল ও অরুন বালাসহ অনেক কৃষক অভিন্নসুরে বলেন, খুব আশা করে ধান রোপন করেছিলাম। এক মাসের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু এখন ধানের যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। ঝড়ের পরে ধানের কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে যাই।

কৃষানী লোপা মন্ডল বলেন, নগদ জমায় জমি রেখে ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু ধানগুলো নষ্ট হয়ে গেল। ধানের কাছে আসলে চোখ থেকে শুধু জল বের হয়। এখন কিভাবে চলব। সংসারে ৬ জন লোক প্রতিদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জোটে না। শুধু তো আমার নয়, এলাকার অনেকেরই এই অবস্থা। কি যে হবে সৃষ্টিকর্তা জানেন।

কৃষানী রত্মা বৈরাগী বলেন, অনেক আশা করে ধান লাগিয়েছিলাম। ধান কাটব, বাড়িতে নিব। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বছর ভরে খাব। কিন্তু ঝড়ে আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল। ধানের কাছে এসে দেখি সব চিটা। এখন কিভাবে ছেলে মেয়ে নিয়ে বাঁচব, কিভাবে চলব এই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ঝড়ের পরেই আমরা ক্ষতির প্রতিবেদন উপর মহলে পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০০ একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। নিচু এলাকায় ক্ষতির পরিমান বেশী।

তবে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঝড়ো বাতাস ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার কিছুু ধান ক্ষেতে হিটস্ট্রেস জনিত কারণে ফুল স্তরের শীষ সাদা হয়ে গেছে। এটি সাময়িক আক্রান্ত, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বেশিরভাগ রিকভার করা সম্ভব। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষকদের পরিমিত পানি সেচ ও পটাশ স্প্রে করতে হবে।

বাগেরহাটে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করে উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য সুমন শেখের বিরুদ্ধে।

মারধরে আহত উপ সহকারী মেডিক্যাল অফিসার নিরোধ চন্দ্র বিশ্বাসকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বেগ মশিউর রহমান কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গজালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার নিরোধ চন্দ্র বিশ্বাস কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অপরাধে মশিউরকে মারধর করেছেন এমন দাবি করেছেন ইউপি সদস্য সুমন শেখ।

উপ সহকারী মেডিক্যাল অফিসার নিরোধ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, একজন নারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র এসেছিলেন ওষুধ ও পরামর্শ নিতে। ওই নারী ওষুধ নিয়ে বের হয়ে যায়। এরপরেই গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর সদস্য সুমন শেখ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বেগ মশিউর রহমানকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করেন। আমাকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আমার হাতের ওপর চেয়ার দিয়ে বাড়ি দেয়। পরে মাথা ও মুখে আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

নিরোধ আরও বলেন, এর আগেও সুমন শেখ এই হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৭-৮ মাস আগে একজন বিষ খাওয়া রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসছিলেন সুমন। রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমি কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলি। এ ঘটনার জেরে পরবর্তীতে সুমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে তখন বিষয়টি সুরহা হয়েছিল।

ইউপি সদস্য সুমন শেখ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বেগ মশিউর রহমানের সঙ্গে স্থানীয় এক নারীর সঙ্গ অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এর ফলে এলাকায় অনেক ঝামেলা সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্যই মশিউরকে মারধর করেছি। মশিউরকে মারার সময় ঠেকাতে আসলে উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার নিরোধ চন্দ্র বিশ্বাস আহত হয়েছেন।

এদিকে যে নারীর সঙ্গে মশিউরের অবৈধ সম্পর্কের কথা ইউপি সদস্য সুমন শেখ বলেছেন মশিউরকে ধর্মের ভাই উল্লেখ ওই নারীর স্বামী বলেন, মশিউর আমার ধর্মের ভাই। আজ ৫-৬ বছর আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক। কিন্তু সুমন দীর্ঘদিন এই নিয়ে আমাদের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কয়েক মাস আগে জরুরি প্রয়োজনে মশিউরের অফিসে আমার স্ত্রী কিছু টাকা ধার আনতে যায়। তখন সুমন আমার স্ত্রী ও মশিউরকে একসঙ্গে করে ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ার ভয় দিয়ে এক লাখ টাকা আদায় করে। আর বুধবারের বিষয় আমরা কিছু জানি না। অন্যদিকে মারধরের ঘটনার পর থেকে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বেগ মশিউর রহমানের মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।

কচুয়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার নিরোধ চন্দ্র বিশ্বাস মারধরের কথা উল্লেখ করে ইউপি সদস্য সুমন শেখের নামে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অপরাধের স্বর্গরাজ্য ভেঙ্গেছেন মেয়র খালেক ও উপমন্ত্রীহাবিবুন নাহার

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোংলা রামপালের অপরাধের স্বর্গরাজ্য এখন শান্ত হয়েছে, কমেছে অপরাধ, সাধারন মানুষের মধ্যে বেড়েছে আতœ নির্ভরতা। এক সময়ের আতংকের জনপদ হয়েছে শান্তি ও সম্মৃদ্ধির প্রাণ কেন্দ্র। এসবই সম্ভব হয়েছে মোংলা রামপালের সাধারন মানুষের আশ্রয়স্থল সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আ.খালেক এবং তার সহধর্মীনি উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপির নেতৃত্বে।

১৯৯১ সালের আগে রামপাল মোংলা ছিলো অপরাধের স্বর্গরাজ্য। প্রতি দিন এখানে ঘটতো নানা ধরনের অপরাধ যেমন- খুন, ডাকাতি, চুরি,ধর্ষন, মাছের ঘের দখল নিয়ে মারামারি এবং মামলা মোকদ্দমায় পরিপূর্ণ ছিলো রামপাল- মোংলা উপজেলায়।

মোংলা রামপালের সাধারন মানুষ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, এক সময়ে বড় ক্যাডার রামপাল মোংলার মানুষের আতঙ্ক রাজ্জাক হাওলাদার সহ অনেকে, সাধারণ মানুষের মাছের ঘের, ধানের জমি জিম্মি করে দখল করতো, কেউ যদি তাদের বিরোধিতা করেছে তবে তাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে লাশ নদীতে ফেলে দিতো। সেই সময়ের কথা বলতে এখনো মানুষ শিউরে ওঠে। রামপাল মোংলার বড় বড় মাছের ঘের, ধানের জমি বহিরাগত ক্যাডারদের দখলে ছিলো, যাদের ইন্ধন দাতা ছিলো রাজ্জাক হাওলাদার সহ অনেকে। সাধারণ মানুষ ভয় ভীতিতে দিন যাপন করতো।

১৯৯১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রামপাল মোংলার জন্য তালুকদার আবদুল খালেককে নৌকা প্রতিক দিলেন, তখন দক্ষিনাঞ্চলে মানুষের জীবন ধারা ছিলো অনেক নিম্নমানের। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট কিছু ই ছিলো না, যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা । ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক আর ওই সময়ে সরকার গঠন করে বিএনপি।

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে তালুকদার আবদুল খালেক। আর সরকার গঠন করে আওয়ামীলীগ। তখন থেকে দিন দিন রামপাল মোংলা বাসীর জীবন যাএায় উন্নয়নের হাওয়া লাগে। বিতাড়িত করেন রাজ্জাক হাওলাদার সহ বড় বড় ক্যাডারদের।

ওই সময়ে তালুকদার আবদুল খালেক গ্রামে গ্রামে একটি স্লোগান দিলেন জমি যার ঘের তার। কমে আসে খুন, রাহাজানি, ধর্ষন,ডাকাতি। কমতে থাকে থানার মামলা মোকদ্দমা। সেই থেকে তৈরি হতে থাকে রাস্তা ঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ , স্কুল সহ নতুন নতুন স্থাপনা। রামপাল মোংলা থেকে বড় বড় ক্যাডার বাহিনী বিতারিত হলেও তাদের কিছু অনুসারী আজও রয়ে গেছে আনাচে কানাচে বলে জানায় এলাকাবাসি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আবদুল খালেক কিন্তু অন্য দিকে বি এন পি সরকার ক্ষমতায় আসে। আবারও অপরাধের স্বর্গরাজ্য সৃষ্টি হয় রামপাল মোংলায় এবং ফেরত আসে রাজ্জাক হাওলাদার বাহিনী সহ অনেকে, পুনরায় শুরু হয় খুন, রাহাজানি,ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষন এর মতো বড় বড় অপরাধ। ২০০৮ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করে জয় লাভ করে খুলনায় চলে গেলেন তালুকদার আঃ খালেক । অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে রামপাল মোংলা।

তখন তালুকদার আব্দুল খালেকের কাছ থেকে চেয়ে নেন রামপাল মোংলা বাসী তারই সহধর্মিণীকে, কারন রামপাল মোংলাবাসী একটু শান্তিতে বাঁচতে চায় নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিলেন বেগম হবিবুন নাহারকে।

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাতাস লাগে নৌকার পালে, ঘুরে দাঁড়ায় সরকার আবারও ক্ষমতায় আসেন বিপুল ভোটে শেখ হাসিনা এবং রামপাল মোংলা থেকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন বেগম হাবিবুন নাহার। সেই সময়েও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করেন রামপাল মোংলা থেকে। অপরাধ দমন করলেও সেই অপরাধীদের দোষররা এখনো লিপ্ত রয়েছে নানা ষড়যন্ত্রে। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা, মোংলা- রামপালকে অশান্ত করা সহ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি।

শত্রু ভয়ে থেমে না থেকে নিরলস ভাবে সাধারণত মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
একজন উপমন্ত্রী হলেও চলাফেরা সাধারণ মানুষের মতো, ভ্যান চালক থেকে যে কোন সাধারন মানুষ অভিযোগ নিয়ে তার কাছে আসতে পারে অনায়াসে, আর তাদের কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। ফোন দিলেও সরাসরি তারাই রিসিভ করেন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করেন। তিনি ছুটে যান দেখতে তার দলের সাধারণ কোন নেতা কর্মী শারীরিক অসুস্থ হলে তার বাড়ী পর্যন্ত। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রামপাল মোংলার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

এখানকার সাধারন মানুষেরা বলেন, আমাদের পাশে তারা আছেন বলে রামপাল মোংলার মানুষ দু- বেলা পেট পুরে খেতে পায় এবং থাকতে পারে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে,ঘুমাতে পারি নিশ্চিন্তে। হতে হয় না আগের মতো মানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার। তাই আমরা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত দিয়েও তাদের ঋণ শোধ করতে পারবো না কোনদিন। রামপাল মোংলার অভিভাবক হিসাবে পেয়ে তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তারা আরো বলেন আমাদের পাশে তারা আছেন থাকবেন সবসময়, আমরাও রামপাল মোংলাবাসী তাদের পাশে আছি, সারাজীবন থাকবে বলেও জানায় তারা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)