সোমবার ● ১২ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিএনজি চালক-যাত্রীর মধ্যে সংঘর্ষ : আহত -৬
সিএনজি চালক-যাত্রীর মধ্যে সংঘর্ষ : আহত -৬
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার নতুন বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে ওই সংঘর্ষের ঘটনা সংগঠিত হয়। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী বিশ্বনাথ পৌর এলাকার নরসিংপুর গ্রামের নজব আলীর পুত্র এখলাছুর রহমান, সাজ্জাদ আহমদ এবং সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক পৌর এলাকার জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালিক মেম্বারের পুত্র ছুরত আলী, সাজন মিয়া, ফয়জুল ইসলামের পুত্র সাইদুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত সিএনজি চালক ছুরত আলী ও সাইদুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যাত্রী এখলাছুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিএনজিতে বাড়ি যাওয়া নিয়ে এখলাছুর-সাজ্জাদের সাথে ওই স্ট্যান্ডের চালক মোল্লারগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সিএনজি চালক নজরুলের পক্ষালম্বন করে স্ট্যান্ডের আরো কিছু চালক এসে এখলাছুর-সাজ্জাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে ছুরিকাঘাতে ও স্টিলের পাইপের আঘাতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। গুরুত্বর আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিশ্বনাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগে তিন লাক্ষ টাকার মাছ মারার অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সরকারি খালে বিষ প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষের চাষের তিন লাক্ষ টাকার মাছ মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রস্থ কাদিপুর নামক স্থানের বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশে সরকারি খালে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন ওই গ্রামের মাহমুদ আলী তিন ছেলে আব্দুল হক, শানুর আলী ও আব্দুছ সাত্তার। রোববার সকালে তারা দেখতে পান খালের সব মাছ মরে ভেসে আছে।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে শাহান আহমদ (৩৫) গংরা তাদের খালে বিষ প্রয়োগ করেছেন। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্টে এই মাছ চাষ করে আসছিলাম। আমার মনে হয় রাতের আধারে আমাদের প্রতিপক্ষ দলেরা পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ মেরে আমাদেরকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
৯৯৯ এ তারা ফোন দিয়ে অভিযোগ দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীরকে সাথে নিয়ে পুকুরের মাছ জব্দ করা হয় এবং খালে থাকা বাকি মাছগুলো ধরে বিক্রি করে টাকা আনামত করে রাখার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের মুরব্বীরা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মাছ পুকুরের পানিতে মরে ভেসে উঠেছে। পাড়ে প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ দেখতে ভিড় করেছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ শাহান আহমদ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চলমান শত্রুতায় আমাদেরকে জব্দ করতে নিজেরাই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে আমাদের ওপর দোষ দিচ্ছে।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, খালের মাছগুলো বিক্রি করে টাকা জমা রাখা হচ্ছে। থানায় বসে এবিষয়টি সমাধান হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থানার ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তি সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু খালটি একটি সরকারি খাল। তাই এই খালের সব মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে এ বিষয়টি দুইপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।