মঙ্গলবার ● ১৩ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পহেলা বৈশাখে ইউপিডিএফ-এর শুভেচ্ছা
পহেলা বৈশাখে ইউপিডিএফ-এর শুভেচ্ছা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: গতবারের মতো এ বছরও বিশ্বব্যাপী ‘প্রাণঘাতি করোনা’র কবলে পতিত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান ও বৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবি (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু-বিষু-বিহু) ঐতিহ্য প্রথা মাফিক পালন করতে না পারায় ম্রিয়মান। এর মাঝে কঠোর লকডাউন আরোপিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ হতে। বন্ধু, আপনজন ও পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাত, সন্মিলন, জমায়েত ইত্যাদি অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ হয়েছে। সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব ও এক প্রকার বন্দীদশা চলছে।
এ অসহনীয় পরিস্থিতির অবসান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত খীসা আজ ১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে এক বার্তায় বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে পার্বত্যবাসী, প্রবাসী জুম্মো ও দেশের জনগণের জীবনে নিরাপত্তা, সুখ,সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন।
প্রদত্ত বার্তায় দুনিয়ায় ক্ষমতাধন উন্নত দেশের স্বাস্থ্য সচেতন ধনাঢ্য ব্যক্তিরাও করোনার মারণ থাবায় প্রতিদিনই অসহায় করুণভাবে ধরাশায়ী হচ্ছে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, “প্রাণঘাতী করোনা” দোর্দণ্ড ক্ষমতাধর-দুর্বল ক্ষমতাহীন, বিত্তশালী-বিত্তহীন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, তিলোত্তমা নগরী-অজপাড়া গাঁ, ধনী-দরিদ্র-সবাইকে এক কাতারে ফেলে দিয়েছে। ক্ষমতা, অর্থ-বিত্ত ও বিদ্যা নিয়ে বড়াই করে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে।
স্বাভাবিক সময়ে বৈসাবি উৎসবকে কখনও কখনও পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বাইরে অবস্থানরত একশ্রেণীর লোক নিজেদের কৃত্রিম জৌলুস প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার উপলক্ষ বানানোর অপচেষ্টা এবং অপসংস্কৃতি ও বিকৃতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে সমাজে বিভেদ-বিদ্বেষ ও অনৈক্য সৃষ্টির অপপ্রয়াসও চালিয়েছে, যা বৈসাবি উৎসবের মূল চেতনার পরিপন্থী বলে তিনি প্রদত্ত বার্তায় মন্তব্য করেন।
ইউপিডিএফ নেতা দীর্ঘ বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের জাতীয় অস্তিত্ব সংকটাপন্ন এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী ধ্বংসাত্মক পথ পরিহারের জন্য সরকারের গুটি হিসেবে ব্যবহৃত পথভ্রষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পুরাতন বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি ও ব্যর্থতা জীর্ণ পাতার মতো ছুঁড়ে ফেলে নব উদ্যমে পথ চলার শক্তি অর্জিত হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে ইউপিডিএফ নেতা সবাইকে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান এবং আরও বলেন, ‘বৈসাবি-পহেলা বৈশাখ শুধু বিনোদনের উৎসব নয়, এটি সমাজে জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও সংহতি সৃদৃঢ় করার উপলক্ষও’।
উল্লেখ্য, বৈসাবি হচ্ছে তিন দিনের উৎসব। প্রথম দিন নদীতে ফুল দিয়ে বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন ও সাজিয়ে উৎসব শুরু হয়। পরের দিন মূল উৎসব অতিথি আপ্যায়ন খাওয়া-দাওয়া চলে। নববর্ষের দিন শিকার কিংবা অবকাশ যাপনের রীতি রয়েছে।