রবিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ৫ শ্রমিক হত্যার দায়িদের ট্রাইব্যুনাল করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন
৫ শ্রমিক হত্যার দায়িদের ট্রাইব্যুনাল করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাঁশখালির গন্ডামারায় এস আলম গ্রুপ ও চীনা কোম্পানির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বকেয়া বেতন এবং ইফতা- সেহেরি- নামাজের বিরতি ও ইফতারীর বিরতির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশ গুলি বর্ষন করে ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুলিশ গুলি করে ৫ জনকে হত্যা করে ও ৩০/৩৫ জনের বেশী শ্রমিককে আহত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দায়িদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে শাস্তি প্রদান এবং নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ-চিকিৎসা ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি। বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন ও সহ-সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বাঁশখালি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণ, পাঁচজনকে হত্যা ৩০/৩৫ জনের অধিক শ্রমিককে আহত হওয়ার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে দায়িদের শাস্তি এবং নিহত- শ্রমিকদের প্রত্যেককে ২০ লক্ষ এবং আহত শ্রমিকদের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ-চিকিৎসা ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা অবিলম্বে পরিশোধের দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ, বাঁশখালি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণের তিব্র নিন্দা জানান। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে বলেন যে, বকেয়া বেতন-ভাতা দাবি করায় নির্বিচারে গুলি করা, গুলিবিদ্ধ করে ৫ জনকে হত্যা করা এবং ৩০/৩৫ জন শ্রমিককে আহত হওয়ার ঘটনা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বা মেনে নেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৬ সালে বাঁশখালিতে কয়লা ভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই পুলিশ গুলি করে ৪ জনকে হত্যা করে। অদ্যবধি সেই ঘটনার বিচার হয়নি বা দায়িদের কোন শাস্তি দেয়া হয়নি বলেই একই ধরণের ঘটনার পুণঃরাবৃত্তি ঘটল। সরকারের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে পুলিশের জুলুম নিপিড়নের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণির বিক্ষোভের দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।