মঙ্গলবার ● ২০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
বিশ্বনাথে বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণের পরও ফলন হয়েছে ভালো। বাম্পার ফলনে হাসি ফুঠেছে কৃষকের মুখে। ইতোমধ্যেই ১৬০০ হেক্টর জমির ধান কেটেছেন কৃষকরা।
ফসল কাটার আগে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টি না হলেই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন গোলায় তোলার প্রতিক্ষায় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর বিশ্বনাথে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫ হাজার মেট্রিকটন।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পাকা ধানা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ কেউ দল বেঁধে কাস্তে দিয়ে কাটছেন ধান। কেউবা ধান কাটার যন্ত্র (কম্বাইনহারভেস্টার) দিয়ে, একই সাথে ক্ষেতের ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই করে বস্তাবন্ধি করছেন। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখন পানি জমেনি হাওরের কোথাও।
এখনও সবুজ রয়েছে বেশ কিছু ফসলের মাঠ।
উপজেলা সফল চাষি জাবের আহমদ বলেন, কম খরচে বিষমুক্ত বোরো ধান নিজে চাষে করেছি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার অশানুরূ ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দামও চাহিদা মতো পাওয়ায় আমরা খুশি।ভর্তুকিমূল্যে সরকারের দেয়া ধান কাটার মেশিন দিয়ে অনায়াসেই নিজের ক্ষেতের ধান কাটার পাশাপাশি অন্য কৃষকদের সহায়তা করতে পারবো।
এ বিষেয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ইতিমধ্যে আবাদ করা ফসলের ২২% ধান কেটেছেন কৃষকরা। নেই শ্রমিক সংকটও। তাছাড়া ধান কাটার একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার) ভর্তুকিমূল্যে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলনে কৃষকরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন।
বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত- ১
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে মসজিদে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষ লেখন্দর আলী গংদের হামলায় মৃত মজিদ আলীর ছেলে রফিক আলী( ৫৫) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাদিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত রফিক আলীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রফিক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদি হয়ে ৮ জনের নামউল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, (১৬ এপ্রিল) শুক্রবার মসজিদে নামাজ শেষে মসজিদের জায়গায় চাষ করা ৫টি নিলামের লাউ ২০০টাকায় ক্রয় করেন লেকন্দর আলী। লাউয়ের টাকা কবে দিবে জিজ্ঞেস করিলে বিবাদীবলে যেই দিন মন চায় সেই দিন দিবো বলিয়া জবাব দিলে রফিক আলী বলে মসজিদের টাকা একটু তারা তারি দিলে ভালো হবে।
এ কথা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে লেকন্দর আলী তার ছেলের সাথে কথা বলে। এসময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
এরই জের ধরে বাড়িতে ফেরার পথে রফিক আলীর উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকে হামলা করবে বলে অভিযোগ করেন রফিক আলীর লোকজন।
হামলাকারীরা হলেন, মৃত সমুজ আলীর ছেলে লেকন্দর আলী ( ৫০) লেকন্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ( ৩৫) সেলিম মিয়া (৩০) আলিম উদ্দিন (৩১) মোহাম্মদ আলীর ছেলে জুবেল (২০) সোলেমান (২৪) মৃত আকবর আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৪০) সিহাব উদ্দিন (২৫)।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।