মঙ্গলবার ● ২০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ব্যাপক অনিয়মে চলছে সুবর্ণচর উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস, ভোগান্তি চরমে
ব্যাপক অনিয়মে চলছে সুবর্ণচর উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস, ভোগান্তি চরমে
মো. ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪/৫ ঘন্টায় থাকছেনা বিদ্যুৎ, চলমান রমজানে একদিকে গীষ্মের তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ মানুষের ভোগান্তি চরমে! কাজের অযুহাত দেখিয়ে নিয়ম করেই সপ্তাহের ২/৩ দিন মাইকিং করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ! সপ্তাহের বাকি দিন গুলো কোন পূর্বের নোটিশ এবং মাইকিং ছাড়াই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ সেবা। ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, পিলার স্থাপনে অতিরিকÍ টাকা আদায়, নতুন সংযোগে স্থানীয় দালালদের অবৈধ ঘূষ বানিজ্য, মিটার পেতে গুনতে হচ্ছে দিগুন টাকা, অতিরিক্ত বিল, অসহনীয় লোড শেডিংসহ নানা অনিময় দূর্ণিতী আখড়া এখন সুবর্ণচর। এসব অনিয়ম থেকে নিস্তার পেতে সুবর্ণচর পল্লি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার হুমকি প্রদান করেন এলাকাবাসী। এসব অনিয়ম নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় উঠছে প্রতিবাদের ঝড়। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নাম্বারে ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেনা অফিস কর্তৃপক্ষ! এতে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন গ্রহকরা। ৭ লক্ষ মানুষের একমাত্র সরকারি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই রোগিদের, অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসা রোগীর আত্বীয়রা, তারাও জানালেন ক্ষোভের কথা।
প্র্রতিদিন সকাল হলেই নিয়ম করে বিদ্যুৎ না থাকা সুবর্ণচরের নিত্যদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে। সারাদিন বিদ্যুতের হদিস মেলেনা। কখনো দু-এক দিনেও বিদ্যুতের দেখা পায়না সুবর্ণচরবাসী। প্রতিদিনের এমন ভোগান্তি এখানকার লোকেদের অভ্যাসে পরিনত হয়েগেছে। বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীন অতিষ্ঠ। উঠেছে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট লোকদের সাথে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গেলে স্থানীয় বাসিন্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন, তারা বলেন, বিদ্যুৎ এখন যায়না মাঝে মাঝে আসে। প্রতিদিন সকাল সাতটার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। সারাদিন আর বিদ্যুতের দেখা মেলেনা । সন্ধ্যা ৬টা বা ৭টার সময় হয়তো আসলেও একটু পরে আবার লোড়শেড়িং। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকেনা। এমন ভোগান্তির কথা জানান একই এলাকার শতাধিক বাসিন্দা।
বিদ্যুতের এমন চরম অনিয়ম প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুবর্ণচরের কর্মরত সকল সংবাদকর্মীরা। তারা দ্রুত এর প্রতিকার দাবী করেন। অন্যথায় জনসাধারনকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের কথাও জানান অনেকে।
শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মীয়, কৃষী, ব্যাংক, অফিস, কলকারখানা, ব্যবসাসহ সকল ক্ষেত্রে বিদ্যুতের এমন ভোগান্তির ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুবর্ণচর। জনসাধারনের অভিযোগের জন্য যে মোবাইল নাম্বারটি দেয়া হয়েছে সেটিও প্রায় সময় বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে সুবর্ণচরের প্রতিটি খাতে চরমভাবে লোকসান হতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সর্বসাধারণ।
তবে এমন অভিযোগের সঠিক জবাব মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকে। সুবর্ণচর জোনাল অফিস ডিজিএম মোঃ ফসিউল হক জাহাঙ্গীর বলেন, কয়েকটি যায়গায় ঠিকাদার দিনের বেলায় কাজ করছে বলে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ যাচ্ছেনা। রাতের বেলায় সেখানে বিদ্যুৎ ঠিকমতো যাচ্ছে। এছাড়াও লোড়শেড়িংএর অভিযোগটি প্রত্যাখান করে বলেন, কোথাও কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটা সামাধানের জন্য কিছু সময় সে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে । তবে সমস্যা সামাধানের সাথে সাথে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।