বুধবার ● ২১ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সুরমা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
সুরমা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :: ১২০ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে সদর সীমান্তের সুরমা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের বালুর সঙ্গে অর্ধেক মাটি, সামান্য পাথর ও সিমেন্টের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ব্লক। মানা হচ্ছে না বালু-পাথর ও সিমেন্ট মিশ্রণের সঠিক অনুপাতও। এমন অভিযোগ এখন লামাকাজি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণের মুখে মুখে। তদন্তে গিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খান। এ ছাড়া ব্লক তৈরির পর এমপিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে ডাম্পিং করার কথা থাকলেও কথা রাখেননি ঠিকাদার। কাউকে না জানিয়ে রাতের আঁধারে নদীভাঙনে ব্লক ডাম্পিং করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদার প্রতিনিধি ও স্থানীয়দের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ৪৪ হাজার ব্লক নদীতীরের ভাঙনে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঠিকাদার প্রতিনিধি। আর স্থানীয়দের দাবি, কেবল বালু আর মাটি দিয়ে তৈরি করা চার-পাঁচ হাজার ব্লক নদীতে ডাম্পিং করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এমপি মোকাব্বির খান বলেন, কাজে অবশ্যই অনিয়ম রয়েছে। তাদের কথায় আর কাজেরও কোনো মিল নেই। অনিয়মের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হজানা গেছে, ১২০ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলাধীন সুরমা নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জামিল ইকবাল’-এর মালিক সিলেটের জামিল ইকবাল। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের অধীনে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর বিশ্বনাথের মাহতাবপুর, রাজাপুর ও পরগনা বাজার এলাকার ভাঙন রোধে ওই প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান। সম্প্রতি পরগনা বাজারে বালু আর মাটি দিয়ে ব্লক তৈরির ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে স্থানীয়রা এমপিকে পাঠান। আর তারপরই এমপি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
তবে অভিযোগ মানতে নারাজ ঠিকাদার জামিল ইকবালের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান বলেন, অনিয়মের জন্য নয়, এমপির সম্মানার্থে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা ও উপসহকারী প্রকৌশলী সেলিম জাহাঙ্গীরের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বনাথে হাইব্রিড তেজ ধানের নমুনা শস্য কর্তন
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বোরো ধান কাটায়। সেই সাথে আজ উপজেলায় নতুন জাতের বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ নমুনা শস্য কর্তন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরি এলাকার মাঠে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে হাইব্রিড তেজ জাতের বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজীব সরকার, এসএপিপিও মনোজ কান্তি দেবনাথ, স্থানীয় ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবন চন্দ্র দে ও কৃষকরা।
কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতেও বেশি বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ফলনও সন্তোষজনক। আমাদের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিতে সমৃদ্ধি আনতে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে আধুনিক যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হচ্ছে।