বুধবার ● ২১ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝালকাঠিতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
ঝালকাঠিতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: কঠোর লকডাউনে ঝালকাঠিতে পাকা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়া এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। দুই দিন ধরে সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের দারখি গ্রামের কৃষক খলিল সরদারের জমির ধান কেটছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে যেমন খুশি কৃষক, তেমনি ভালো কাজ করতে পেরে গর্বিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
কৃষক খলিল সরদার জানান, তাঁর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাকালে কঠোর লকডাউনের মধ্যে ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। শ্রমিকের খোঁজে তিনি বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান। শ্রমিক না পাওয়ার খবর শুনতে পান ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান। তিনি কৃষক খলিল সরদারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে কৃষক রাজি হলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটা শুরু করেন লুসান। বুধবার দুই বিঘা জমির ধান কাটা শেষ হয়। কাটা ধান মাথায় করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় কৃষক খলিল সরদার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক দিয়ে ধান কাটালে প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হতো।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান জানান, লকডাউনের মধ্যে যদি কোন মানুষ বিপাকে পড়ে সহযোগিতা চায়, ছাত্রলীগ তাদের পাশে দাঁড়াবে। এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে জেলার যেখানে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে ছাত্রলীগ সেই কৃষকের ধান কেটে দিবে।
নারীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
ঝালকাঠি :: তিন সন্তানের জননী ৩৮ বছর বয়স্ক এক নারীকে যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য টানা হ্যাচরা করার অভিযোগে জনকন্ঠের সাবেক সাংবাদিক আসিফ সিকদার মানিকসহ তিনজনের নামে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা হয়েছে । মঙ্গলবার রাতে গাবখান গ্রামের নির্যাতিত ও নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ এবং দ-বিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন । ঝালকাঠি থানার মামলানং ১১ তারিখ ২০/০৪/২০২১ ।
মামলার এজাহার এবং ওই নারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্যাতিত ওই নারী গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটার দিকে সুলতানপুর গ্রামের খালু বাড়ী থেকে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড়ে নিজ বাসায় আসার পথি মধ্যে যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে আসিফ সিকদার মানিক ও তার দুই সহযোগী কোর্টের সামনের ফটোকপি দোকানদার বাচ্চু এবং কৃষ্ণকাঠি এলাকার রিয়াজ খান ওই নারীর পথরোধ করে কাপড়চোপড় ধরে টানা হ্যাচরা করে তাদের যৌনকামনা চরিতার্থ করার চেস্টা করে । আসামীর ধস্তাধস্তিতে ওই নারী পড়ে গিয়ে হাটুতে জখমপ্রাপ্ত হন । নারীর ডাকচিৎকারে সাক্ষীরা ছুটে এলে আসামীরা কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে চলে যায় । উল্লেখ্য ঝালকাঠি শহরের আমতলা সড়কের বাসিন্দা মৃত- আলী আহমেদের ছেলে আসিফ সিকদার মানিক নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে দৈনিক জনকন্ঠের ঝালকাঠি প্রতিনিধি ছিলেন । ১৯৯৬ সালে নানা অভিযোগে জনকন্ঠ থেকে তিনি অব্যহতি পান । এরপর তিনি উল্লেখযোগ্য কোন পত্রিকায় সুযোগ না পেলেও সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে গত ২৫ বছর মানুষকে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন । তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য সেবন ও একাধিক ইভটিজিং এবং ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ২নং আসামী ডিসি অফিসের সামনের ফটোকপি দোকানদার এবং কথিত ননএমপিও শিক্ষক বাচ্চু হাওলাদারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজী ও প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে । মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনছারুল হক বলেন, ওই নারীর অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষীদের সাথে কথা বলেছি । ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে । আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে ।
ঝালকাঠিতে কঠোর লকডাউনে প্রশাসনের কড়াকড়ি
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে লকডাউনের অস্টম দিনেও প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যেও জরুরী প্রয়োজন ছাড়াই ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। শহরের রাস্তাঘাট কিংবা বাজারে আজও জনসাধারণের ভিড় রয়েছে। ছোট যানবাহনে একাধিক যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাতায়াত করছেন। সুযোগ পেলেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বেচাকেনা করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট এলে আবার দোকান বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে দোকানীরা। এ অবস্থায় কড়াকড়ি অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাস্ক না পরায় পথচারী ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলায় জরিমানা করা হচ্ছে। এদিকে শহরের প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করছে পুলিশ। জেলার বাইরে থেকে আসা কোন যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনা কারনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাছান বলেন, আমরা চেস্টা করছি জনগন যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে । কিন্তু বেশীরভাগ মানুষ এখনও অসচেতন । অনেককে জরিমানা করছি তারপরও কাজ হচ্ছে না।