বৃহস্পতিবার ● ২২ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হরিণের মাংসসহ দুই পাচারকারী আটক
হরিণের মাংসসহ দুই পাচারকারী আটক
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্ব ঐতিহ্য একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে ভালো নেই ম্যানগ্রোভ সুন্দবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘ, মায়াবি চিত্রল হরিণ, জাতিসংঘের ঘোষিত রামসার এলাকার জলভাগের মৎস্য সম্পদ। শুধু বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদই নয়- নাশকতার আগুনেও পুড়ছে সুন্দরবন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট প্রেট্রোলিং’ আর জেলে-বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেও ঠেকানো যাচ্ছেনা বাঘ, হরিণ হত্যা। বন্ধ হচ্ছেনা খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার। আগুন দস্যুদের নাশকতার আগুনের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না সুন্দরবনকে। এই অবস্থার মধ্যে অক্সিজেনের অফুরান্ত ভান্ডার দেশের ফুঁসফুঁসখ্যাত ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। চোরা শিকারি, বন্যপ্রাণী পাচারকারী, বিষ ও আগুন দস্যুদের এই তাণ্ডব থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইডও। সুন্দরবন বিভাগের দেয়া তথ্যে এচিত্র ফুটে উঠেছে।
বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস ও একটি মোটর সাইকেলসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পাচারকারীরা হচ্ছে, উপজেলার বকুলতলা গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে আলীরাজ হোসেন (২০) ও মোঃ ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে রেজাউল হাওলাদার (২২)।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের পিলের রাস্তায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে। রাত ২টার দিকে ওই দুই পাচারকারী বিক্রীর জন্য একটি মোটরসাইকেলে করে হরিণের মাংস নিয়ে যওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করে মাংস ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। মাংসগুলো আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪টি রেঞ্জর ১৮টি রাজস্ব অফিস, টহল ফাঁড়িগুলোতেতে জনবলের সংখ্যা মাত্র ৮৮৯জন। এরমধ্যে পূর্ব বিভাগে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এই অপ্রতুল জনবল দিয়ে বিশাল এই সুন্দরবনের প্রান-প্রকৃতিকে দেখভাল করা একটি দুরহ কাজ। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট প্রেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকালয়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী। বন্যপ্রাণী শিকার-পাচারকারীসহ বিষ ও আগুনদস্যুদের তালিকা করা হচ্ছে। অবাঞ্ছিত কোন লোকজনকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। একই সাথে সুন্দরবনের সব ধরনের সম্পদ আহরণে পাশ-পারমিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ তৎপর রয়েছে বলেও দাবি করেন এই বন কর্মকর্তা।