বুধবার ● ২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে ভুল সিগনালে ট্রেনের সংঘর্ষ: শিশু নিহত
গাজীপুরে ভুল সিগনালে ট্রেনের সংঘর্ষ: শিশু নিহত
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে জয়দেবপুর জংশনে ভুল সিগনালে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছন দিকে ও তুরাগ ট্রেনের ইঞ্জিনের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এতে মামুনুর রশিদ (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছে ১০ যাত্রী৷
ঘটনাটি ঘটেছে ১ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণ পাশে ২নং রেল লাইনে৷
নিহত শিশু মামুনুর রশিদ ময়মনসিংহের ফুলপুর লেপশিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে৷ তারা স্বপরিবারে জয়দেবপুর জংশনের পার্শবর্তী পূর্বচান্দনা গ্রামের বারেক হাজির বাড়িতে ভাড়া থাকেন৷
আহতরা হল- রিয়েল (১৪), আতাউর রহমান (৩০), সজিব (১৩), আলী আজম (৫২) ও সুমন মিয়া (২৫)৷ তাত্ক্ষণিকভাবে বাকী পাঁচ জনের নাম জানা যায়নি৷ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতালে পাঠায়৷ সেখান থেকে সজিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড এবং রিয়েলকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে৷
নিহতের পিতা আবুল কাশেম জানান, তিনি স্বপরিবারে গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকায় বারেক হাজীর বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন৷ নিহত মামুন অর রশিদ জয়দেবপুর রেল ষ্টেশনে পানি বিক্রি করতো৷
দ্রুতযান এক্সপ্রেস টেনের যাত্রী এস এম আনোয়ার হোসেন টিপু জানান, ট্রেনটি ধীর গতিতে যাচ্ছিল, হঠাত্ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হয়৷ একটি বগি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
জয়দেবপুর রেলওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ দাদন মিয়া ও স্থানীয়রা সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে জয়দেবপুর রেল জংশনে তুরাগ ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরানোর সময় ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে৷ এ সময় তুরাগ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক কিশোর ঘটনাস্থলেই মারা যান৷ আর দ্রুতযানেএক্সপ্রেস ট্রেনের ১০ যাত্রী আহত হন৷
তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর জংশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়৷
এদিকে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটে চলাচলকারী তুরাগ ট্রেনটি এসময় ইঞ্জিন ঘুরাচ্ছিল৷ ধীরগতিতে যাওয়া দ্রুতযান ট্রেনটি জয়দেবপুর জংশন থেকে দক্ষিণ পাশে কিছদূর গেলে ঘোরাতে থাকা ওই ইঞ্জিনটি দ্রুতযানের পেছন দিক দিয়ে আঘাত করে৷ এতে ওই ট্রেনের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পেছনের বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়৷ সংঘর্ষে শিশু মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং ১০ যাত্রী আহত হয়৷
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত দ্রুতযানের যাত্রীদের পরে জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়৷