শুক্রবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » নীলফামারী » সাংবাদিককে মারধর, ৯৯৯-এ ফোন করে বাবাকে রক্ষা করলো মেয়ে
সাংবাদিককে মারধর, ৯৯৯-এ ফোন করে বাবাকে রক্ষা করলো মেয়ে
নীলফামারী :: নীলফামারী সৈয়দপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মো. খলিলুর রহমান খলিল (৪১)-কে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও মারপিট করেছে তারই আপন বড় ভাই। খলিলুর রহমান নিজে এই অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম আইসঢাল বড়পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটে।
খলিলুর রহমান খলিল হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, তার বাবা ফজলুল হক জীবিত থাকা অবস্থায় তার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তির ৩৩ শতাংশ জমি থেকে ১১ শতাংশ জমি হাবিবুর রহমানের নিকট ২০১৬ সালে বিক্রয় করেন। সেই সময় জমি বিক্রয়ের দলিলে সনাক্তকারী সাক্ষী ছিলেন খলিলুর রহমান খলিল। সেই জমি বিক্রয়ের কথা তার বড় ভাই আঃ জলিল এবং ছোট দুই ভাই জুলফিকার ও আনারুলসহ পরিবারের সবাই জানতো। তার বাবার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর হঠাৎ তার মা জোৎস্না বেগম, চাচা আঃ রহমান এবং তিন ভাই জমি বিক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরিবারের সবাই জমি বিক্রয়ের ব্যাপারে এখন খলিলকে দোষারোপ করে আসছে। ঘটনার দিন তার ভাইরা কৌশল করে খালাত ভাই আঃ মতিনের মুঠো ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে খলিলকে বেদম মারপিট করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। খলিলের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসলে তাদেরকেও গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয় তারা।খলিলের মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে খলিলের বড় মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে খলিলকে উদ্ধার করে। খলিলের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত পাওয়ায় তিনি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের চতুর্থ তলার ১৭ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে খলিল ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে তিনি জানান।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওমেদুল হাসান জানান, শরীরে মারধরের কারণে উনি শারীরিকভাবে মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাকে স্বাভাবিকভাবে ফেরাতে আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
তবে খলিলের বড় ভাই আঃ জলিল মুঠোফোনে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বড় ভাই হিসাবে ছোট ভাইকে শাসন করেছি মাত্র।