সোমবার ● ৩ মে ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তিল চাষ
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তিল চাষ
মুঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: বাংলাদেশের একটি পরিচিত চাষ হচ্ছে তিল। সাধারণত দুই ধরনের তিলই দেখা যায়। তিল পুষ্টিকর। তিন রকমের তিলের মধ্য আয়ুর্বেদে কালো তিলই শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদে মতে তিল রসে তীক্ষ্ণ ,তিক্ত , মধুর ও কষায়। তিল বিপাকে তীক্ষ্ণ, স্বাদু , গরম, কফ, পিত্তকারক, বলপ্রদ চুলের পক্ষে ভাল, ত্বকের পক্ষে বিশেষ উপকারী, খিদে বাড়িয়ে দেয়, বুদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। তিলের আরও নানা ধরনের গুনা বলি রয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তিল চাষে অনিহার কারণ। গলাচিপা ইউনিয়নের সফল কৃষিপ্রেমী এবং গনমাধ্যম কর্মী অটল চন্দ্র পাল বলেন, আসলে তিল অত্যান্ত উপকারী একটি ফলন। যদিও কালের বিবর্তণে ন্যায্য মূল্যের কারনে আজ তিল চাষের আবাদ করছেনা। তবে আমি আমার স্বল্প জায়গায় এবার তিল চাষের আবাদ করেছি, আশা করছি সফলতার মূখ দেখতে পাবো। কৃষক আদিত্য পাল, রনজিত পাল, মোঃ নাসির উদ্দিন , তাদেরও একই ভাবে কথা উপস্থাপন করে তিল চাষের আগ্রহী হয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। এছাড়া তিল এ রয়েছে নানান উপকারীতা। যেমন, ঘা বা ক্ষতে যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেয়। এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং কৃষিপ্রেমী ডাক্তার ডাক্তার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, রক্ত আমাশয়ে, তিল পাতার টাটকা রস ১৫/২০ মিলি দিনে তিনবার খেলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যায়। রক্ত পড়ায়, অল্প তিল আর চিনি একসাথে পিষে বা কুটি নিয়ে মধু মিশিয়ে চাটালে বাচ্চাদের মল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া পেটের ব্যাথায় : হিং, কালো নুন মিশিয়ৈ গরম করা তিল তেল পেটে মালিশ করলে বা সেক দিলে পেটের ব্যাথা সারে এবং গ্যাস কমে। অর্শ রোগে তিল পিষে নিয়ে মাখনের সাথে মিশিয়ৈ খেলে অর্শে রাক্তপড়াও অর্শের কষ্ট কমে। সকালবেলা একমুঠো তিল চিবিয়ে খেলে অর্শের উপশম হয়। শরীরের পুষ্টি রক্ষার জন্য :প্রতিদিন ৮০ গ্রাম তিল বেটে সেটা প্রতিদিন সকালে একবার করে খেতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট বাদে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের পুষ্টির অভার দূর হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়া যায়।