মঙ্গলবার ● ৪ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সুমেল হত্যা মামলার আসামির পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ : গ্রেপ্তার-১
সুমেল হত্যা মামলার আসামির পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ : গ্রেপ্তার-১
ষ্টাফ রিপোর্টার:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সাইফুল সুমেলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, (মামলা নং-০৪)। মামলায় ২৭জনকে আসামি করে আরো অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে ১৫/২০জনকে। এ হত্যার ঘটনায় সাইফুল বিদেশে পালিয়ে না যায় সেজন্য পুলিশ তার বাড়ি থেকে দুটি পাসপোর্ট জব্দ করেছে। ও আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পাসপোর্ট জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি শামীম মূসা জানান। সাইফুল আলম চৈতন নগর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে। নিহত স্কুলছাত্র সুমেল চৈতনগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র।
জানাযায় উপস্থিত হয়ে মোকাব্বির খান এমপি বলেন গুলি করে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গ, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্ষু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি গুলিবিদ্ধদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, তার নিজ বাড়ি যাওয়ার পর সেখানে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। লাশ বাড়িতে আসার খবর শোনে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও সুমেলের সহপাঠীদের কান্নায় সেখানকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়েছে উঠে। সুমেলের প্রাণহীন মুখ দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আসরের নামাজের পর সুমেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাপন করা হয়।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিম মুসা প্রতিনিধিকে বলেন, আসামিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
বিশ্বনাথে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেলেন ৫ শতাধিক পরিবার
বিশ্বনাথ :: পবিত্র মাহে রমজান ও করোনা ভাইরাসের সংকঠকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ৫ শতাধিক অসহায়-হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান পেয়েছেন। সোমবার সকালে রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদান হিসেবে জনপ্রতি নগদ ৫ শত টাকা করে প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সকল সংকঠকালীন সময়ে দেশবাসী আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কিছু না কিছু পায়। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতারা নিজেরে ঘরে বসে শুধুই মুখ দিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলেন, কাজের কাজ কিছুই করেন না। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের কল্যাণে নিজের উপর থাকা দায়িত্ব পালন করেন। কারণ আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এভাবেই একই দিন বাস্তবায়িত হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ও সবাই সুস্থ থাকতে আমাদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি বিধি নিষেধ মান্য করে চলতে হবে।
রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সচিব নারায়ণ দেবনাথের পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানের অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, রামপাশা ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইমাম উদ্দিন, আবুল খয়ের, আবুল কাশেম, নজরুল ইসলাম, জামাল মিয়া, নাসির উদ্দিন, রুশনারা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা রফিজ আলী, জেলা যুবলীগ নেতা কবিরুল ইসলাম কবির, সুহেল আহমদ মুন্না, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আসাদ উদ্দিন, মুসা মিয়া, রামপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরব খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে খাদ্যসামগ্রী পেল ৩ শতাধিক পরিবার
বিশ্বনাথ :: পবিত্র মাহে রমজান ও করোনা ভাইরাসের সংকঠকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ও পৌর এলাকার ৩ শতাধিক অসহায়-হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘শাপলা-বাংলাদেশ চ্যারিটি ইউকে’র উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে পৌর এলাকার দক্ষিণ মিরেরচরস্থ প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি এলাকার প্রবাসী ও বিত্তবানরা সমাজের অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করার ফলে ওই সংকঠকালীন সময়ে এসব মানুষের কষ্ঠ অনেকাংশেই কমে যাবে। প্রবাসীদের ওই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ও সবাই সুস্থ থাকতে আমাদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি বিধি নিষেধ মান্য করে চলতে হবে।
চ্যারেটি সংস্থার বাংলাদেশ শাখার কো-অর্ডিনেটর আব্দুল ওয়াহিদের সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ রফিক হাসান মেম্বারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, এলাকার মুরব্বী ফরিদ আহমদ। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সমর মিয়া।
বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল (জনপ্রতি)- চাল ১০ কেজি, আলু ৩ কেজি, পিয়াজ ২ কেজি, সোয়াবিন তেল ২ লিটার, ছুলা ১ কেজি, ময়দা ১ কেজি, চিনি ১ কেজি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, সংগঠক সফিক মিয়া, জিয়াউল ইসলাম, হাফিজ আব্দুল মন্নান, ফখরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, ফয়ছল আহমদ, আতাউর রহমান, আরশ আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।