বুধবার ● ৫ মে ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা » সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
সংবাদ :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং বলেছেন ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে সুন্দরবনে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কায়েমী স্বার্থান্বেষীরাই এসব অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী। বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মচারীদের প্রশ্রয় ও ছত্রছায়ায় এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। বনভূমির অবৈধ দখলসহ নানা কারনে আগুন দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। গেল ৮ ফেব্রুয়ারিও সুন্দরবনে আগুন লাগে। গত ২০ বছরে ২৫ বার সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এব অগ্নিকাণ্ডে কয়েকশত একর বন পুরোপুরি পুড়ে যায়।
তিনি বলেন, সুন্দরবন দেশের সবচেয়ে বড় ফুসফুস হিসেবে কাজ করছে। এভাবে সুন্দরবন যদি পুড়তে থাকে তাহলে আগামী এক দশকেই সুন্দরবনের অস্তিত্বই গুরুতর হুমকির মধ্যে পড়বে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামত ও বিরোধীতা উপেক্ষা করে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের অস্তিত্বই বিপন্ন করার আশঙ্কা তৈরী করেছে। কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করবে, দক্ষিণাঞ্চলের মাটি, পানি ও বায়ুকেও বিষাক্ত করে তুলবে। তিনি বলেন, দেশের উপকুলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেও ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনে দেশের দক্ষিণাঞ্চল এমনিতেই লবণাক্ততাসহ বহুধরনের সংকটের মুখোমুখি। এই অবস্থায় সুন্দরবন উজাড় হতে থাকলে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ বড় ধরনের বিপদে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি সুন্দরবন রক্ষায় অগ্নিকাণ্ড রোধ, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, বনাঞ্চল সংরক্ষণ, নজরদারি বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ দক্ষিণাঞ্চলে কয়লাভিত্তিক সকল বিদ্যুৎকেন্দ্র অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান।