শনিবার ● ৮ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, রানু গ্রেফতার
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, রানু গ্রেফতার
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুবায়ের আহমদ রানু (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। জুবায়ের উপজেলার জগতপুর গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে। গেল শুক্রবার বিকেল ৫টায় উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে আজ শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কজাকাবাদ গ্রামের এক দিন মজুরের কলেজ পড়ুয়া কন্যা (২০)’র সাথে পাশের্বতী বাড়িতে বসবাসের সুবাদে উত্যক্তের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অভিযুক্ত জুবায়ের। গেল বছরের ১৯ নভেম্বর রাতে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে অশালিন ও উত্যক্ত কার্যকলাপ করে সে।
এ ঘটনায় বিয়ের জন্যে মেয়ে পরিবার চাপ দিলে জানায় অস্বীকৃতি। পরে এ নিয়ে স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে বৈঠকের মাধ্যমে,
‘এমনটি দ্বিতীয় বার আর হবে না মর্মে’ লিখিত মুচলেকা দিলে বিয়ষটি মিমাংসা হয়। পরে গেল ৩০ এপ্রিল মেয়ে ও তার বাবাকে রেখে অন্য সন্তানাদি নিয়ে নানু বাড়ি বেড়াতে যান ভিকটিমের মা। এই সুযোগে ওই দিন রাতে জুবায়ের কৌশলে তার ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তের সাথে ফের মেয়েকে বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। ভিকটিমের পরিবারকে অযথাই সপ্তাহখানেক ঘোরায় তারা। এতেও ছেলে বিয়েতে অমত করায় মেয়ে পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই ইমরুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের দেয়া অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা নেয়া যায়নি। এদিকে ২৪ ঘন্টার উপরে আসামি রাখার বিধান না থাকায় আপাতত তাকে ৫৪ ধারায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। তবে পরবর্তীতে মামলা নেয়া যাবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে সায়মন হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আলোচিত সায়মন হত্যা মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলেন- উস্তার আলী (৬৫)। সে উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত মনা উল্লাহর ছেলে।
এর আগে, শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৭টায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উস্তারের দায়িত্বে থাকা বাসার সামনেই সায়মন হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। ওই বাসায় একটি মেয়ের কাছে যাওয়া-আসা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন উস্তার আলী। গত কয়েকদিন থেকে ফের প্রকাশ্যে আসেন তিনি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই অপরূপ সাগর গুপ্ত কমল সাংবাদিকদের বলেন, সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সায়মন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (৮ মে) তাকে সিলেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে নির্মম ভাবে খুন হন ইমরান আহমদ সায়মন (২৪) নামের এক যুবক।
তিনি বিশ্বনাথ পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মশুলা গ্রামের মছলন্দর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে খুনি এনাম উদ্দিন (২৩)-সহ তার চার বন্ধুকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে এনাম উদ্দিনের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তৎপরতায় টাকা ফেরৎ ফেলেন বিকাশ গ্রাহক
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিকাশের মাধ্যমে নিজের কাঙ্খিত নাম্বারে সেন্ড মানি করতে গিয়ে ভুল নাম্বারে সেন্ড করার প্রায় ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে থানা পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় টাকা উদ্ধারের পর শুক্রবার সকালে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসার হাত থেকে নিজের প্রাপ্য টাকা বুঝে নেন বেসরকারী চাকুরীজীবি লিটন মিয়া। তিনি উপজেলার বাওনপুর গ্রামের মখলিছ মিয়ার পুত্র।
বিকাশে ভুল নাম্বারে টাকা সেন্ড মানি করার পর নিজের ভুল ধরা পরলে টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহযোগী চান লিটন মিয়া। এসময় টাকা ভুল নাম্বারে সেন্ড মানি করার বিবরণ দিয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। ডায়েরী নং ৬০ (তাং ২.০৫.২১ইং)।
এদিকে সাধারণ ডায়েরী দায়েরের পর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসার দিক-নির্দেশনায় ভুল নাম্বারে সেন্ড মানি হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করেন থানার এসআই দাশ। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ৬মে রাতে ভুল নাম্বারে লিটনের সেন্ড মানি করা টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শুক্রবার সকালে টাকার প্রকৃত মালিক লিটন মিয়া হাতে টাকা হস্তান্তর করেন থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা। এসময় উপসিস্থিত ছিলেন থানার এসআই দিদারুল ইসলাম, অলক দাশ।
বিশ্বনাথে অপহণর মামলায় ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে অপহরণ মামলায় ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আসামিদের থানায় রিমান্ডের জন্য আনা হয়েছে। আসামিরা হলেন, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের গবিন্দপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে মারুফ আহমদ (২৮) ও আশিক আলীর পুত্র আফজল (৩০)। মামলাটি দায়ের করেছেন, অপহরণ হওয়া নিদমজুর রিপন মিয়া। (মামলা নং১৮, তারিখ-২৪/০৪/২০২১ইং)। মামলা দায়েরের পর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ফজলুর রহমান সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গ, গত ২৩ এপ্রিল রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামের আসদ আলীর পুত্র রিপন মিয়া (২৭) নামের এক দিনমজুরকে অপহরণ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় মারুফ আহমদ ও আফজল। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিপন মিয়া বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।