বুধবার ● ১২ মে ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এক প্রেমিকার সাথে তিন বন্ধুর প্রেম : ২০ দিনে ২ প্রেমিককে বিয়ে
এক প্রেমিকার সাথে তিন বন্ধুর প্রেম : ২০ দিনে ২ প্রেমিককে বিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার :: মায়ের স্বপ্ন ছিল মেয়ে ফাতেমাকে বিদেশে পাঠাবে। এমন কি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল দারুণ প্রেম। বখাটেদের প্রেমে ফতেমার অবুঝ জীবন আজ নি:স্ব। ইতি মধ্যে ফাতেমা ২০ দিনের ব্যবধানে ৩ প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে ২ প্রেমিককে বিয়েও করেছে। ফতেমা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামের শানুর আলীর মেয়ে। ফাতেমার প্রকৃত বয়স (১৭)।
তবে, তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কৌশলে তার বয়স অন্তত ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে। সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানাগেছে, দিনমজুর শানুর আলী টেংরা গ্রামের বাসিন্ধা। তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী প্রবাসে থাকায় তার মেয়ে ফাতেমার দিকে নজর পড়ে টেংরা গ্রামের বখাটে মৃত আব্দুল করিমের পুত্র আব্দুল্লার। ফাতেমার সাথে প্রেমের কথা জানায় তার তিন বন্ধুকে। এক পর্যায়ে তিন বন্ধুই ফাতেমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
গত ৫ রমজান ফাতেমা নিজ বাড়ি থেকে তার দ্বিতীয় প্রেমিক দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের জমসিদ আলীর পুত্র রাজেল আহমদের সাথে পালিয়ে যায়। রাজেল জানায়, সে ফাতেমাকে কোর্ট মেরিজের মাধ্যমে বিয়ে করে এবং ১৮ দিন তার সাথে সংসারও করে। ১৮ দিন পর অর্থাৎ (২৫ রমজান) হঠাৎ করে ফাতেমা রাজেলের ঘর থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ঘটনায় রাজেল দক্ষিন সুমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। নিখোঁজের দু’দিন পর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাইল ফাঁসিরগাছ নামক স্থান থেকে একই উপজেলার নাজর গাঁও গ্রামের অটোরিক্সা মেকানিক হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ফাতেমাকে উদ্ধার করে রাজেল ও তার সঙ্গীরা।
পরে ফাতেমাকে নিয়ে ফুলদি ও টেংরা গ্রামের ইউপি সদস্যাসহ স্থানীয় ভাবে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ফাতেমা তার প্রথম প্রেমিক আব্দুল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে জানায়। পরে ফাতেমার কথা মত স্থানীরা টেংরা গ্রামের মুরব্বি তাহির আলী, আলী হোসেন ও আব্দুল্লার মা সহ তাদের জিম্মায় ফাতেমাকে বিয়ে দেয়া হয়। ফাতেমার এমন কান্ডে এলাকায় দারুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লার সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ফাতেমার ‘মা’ ফাতেমাকে তার সন্তান হিসেবে আর গ্রহন করতে রাজি নয়। কারন ফাতেমাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তিনি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। কিন্তু ফাতেমাকে যারা ফুসলিয়ে একের পর এক নাটক করেছে, তারাই ফাতেমার দায়ভার বহন করতে হবে।
বিশ্বনাথে জাপা নেতার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সরকারি রাস্তার বড় দুটি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত হেকিম উল্লার ছেলে। রবিবার (৯ মে) সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে তার বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের দু’টি গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিমুলতলা গ্রামবাসী। আর ঐ লিখিত অভিযোগে শিমুলতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার তৈয়ব আলী, মুরব্বী রইছ আলী, আব্দুল হক, আকবর আলী, আপ্তাব আলী, ফাহিম আহমদ রিপনসহ ৭২জন বাসিন্দাদের স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বনাথ খাজাঞ্চী রোডের ‘মোরাবাজার টু শিমুলতলা-টুকেরকান্দি’ সড়কের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের শীল করই ও রেইনট্রি জাতের দু’টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন জাপা নেতা আব্দুল হান্নান। (১ মে) শনিবার দিনদুপুরে গাছ কেটে নিতে দেখে তারা (গ্রামবাসীর) মৌখিক অভিযোগে এসিল্যান্ড ও তহশিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সত্যতাও পেয়েছেন। তাই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নিলে রাস্তার বাকি গাছগুলোও কেটে ফেলার আশংকা রয়েছে। তবে, অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন জাপা নেতা আব্দুল হান্নান। তিনি গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তারা চাঁদাবাজ। তাদেরকে চাঁদা না দেওয়ায় তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এছাড়া অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে তার পূর্ব বিরোধও রয়েছে।তার দাবি, ‘শাপলা সমাজকল্যাণ যুব সংঘের সদস্যরা তৎকালীন সময়ে বিশ্বনাথ এলজিইডির সঙ্গে চুক্তিমতে গাছ রোপণ করেন। বর্তমানে তিনি ঐ সংঘের সভাপতি হওযায় গাছগুলো কেটে বিক্রির পর বিক্রয়কৃত ৯ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমাও দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগের অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
বিশ্বনাথে আল-ফুরকান ট্রাস্টের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নে ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আল- ফুরকান ট্রাস্টের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে ১১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুরত উদ্দিন শিকদার, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মুজাহিদুল ইসলাম, দেওকলস মাইজগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা লুৎফুর রহমান, মিসবাহুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা সাইদুল ইসলাম, দেওকলস ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ছুবা মিয়া, দেওকলস ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মুহিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, দেওকলস গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি হাজী মুখলিছুর রহমান, হাজী আব্দুল গফুর,আইয়ুব আলী, মাস্টার ইমরানুজ্জামান, জমির আলী, হাজী ছইল মিয়া, সাবেক ইউ.পি মেম্বার ছৈয়দ, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার কিরন, দেওকলস গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি কাঁছা মিয়া, আব্দুন নূর, লাখন মিয়া, হাফেজ কামাল উদ্দিন, কারী কাওছার আহমেদ, মাসুম আহমদ মারুফ।
লুৎফুর রহমান, কারী সাইফুর রহমান, হাফেজ কারী মাহমুদ রহমান, মোহাম্মদ আবিদুর রহমান, মতিউর রহমান মুনিম, মনসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোরানের খেদমত এতিমদের লালন পালন রাসুলের করিম স: এর পথ অনুসরণ করে আমাদের পথ চলা মানবতার কল্যানে কাজ করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য: মানবতার কল্যাণে এক ধাপ এগিয়ে এ সংগঠনটি দক্ষিন পশ্চিম বিশ্বনাথে এক যুগ ধরে মাদরাসা ও এলাকার অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠনের সার্বিক কল্যাণে আল-ফুরকান ট্রাস্ট এর পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ভুমিকার পাশাপাশি এলাকার ধনী মধ্য বৃত্তরা তাদের সক্রিয় ভুমিকা উল্লেখ যোগ্য । প্রতি বৎসরের ন্যায় এই বৎসর রমজানে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং ইফাতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
যাদের অনুদান, আল-ফুরকান ট্রাস্ট ইউকের প্রতিষ্টা পরিচালক আলহাজ্ব খালিছুর রহমান, দাতা সদস্য হাজী খলিলুর রহমান, মোছাঃ সাহিদা খানম, রাজিয়া খাতুন। আল-ফুরকান ট্রাস্ট বাংলাদেশের পরিচালক দেওকলস ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মুহতামিম হাফিজ মুহিবুর রহমান সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ।
ইফতার পূর্ব মুহূর্তে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য বিশেষ মুনাজাত করা হয়। পরে সর্বসাধারণকে নিয়ে অতিথিগণ ইফতার করেন।