বৃহস্পতিবার ● ১৩ মে ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে দুই খুনের মামলার আসামি গ্রেফতার
বিশ্বনাথে দুই খুনের মামলার আসামি গ্রেফতার
মো. আবুল কাশেম, স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে দুই খুনের মামলার আসামি আব্দুল জলিলকে (৫০) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গোলাপগঞ্জের বখতিয়ারঘাট এলাকার পাহাড় লাইন গ্রামের জনৈক আছদ্দর আলীর বাড়ী থেকে এক সাড়াসী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা দশঘর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ও গাগুটিয়া গ্রাামের আব্দুল জব্বারের পুত্র। নবাগত ওসি গাজী আতাউর রহমান রাজুর নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) রমা কান্ত প্রসাদ ও এসআই মোয়াজ্জেম এবং এসআই অরূপ সাগর অভিযান করেছে। সে কৃষক দয়াল ও স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলার আসামি।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান রাজু সাংবাদিকদের বলেন, চাউলধনী হাওর নিয়ে যারা অপকর্ম করেছে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গ, গত ১ মে শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে কৃষকরা বাঁধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্ষু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
বিশ্বনাথে ঈদের জামাত হবে মসজিদে মসজিদে
বিশ্বনাথ :: নবেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ও মুসল্লীদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনায়, গত বছরের ন্যায় এবারও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই পড়তে হবে ঈদের জামাত। জনসমাগম রোধে নিষেধ করা হয়েছে ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় জামাত আয়োজনের। ইতিমধ্যে ১২টি শর্ত জুড়ে এ সংক্রাস্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সে আলোকে ঈদগাহে ঈদের জামাত না পড়তে নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ের। একটি মসজিদে প্রয়োজনে করা যেতে পারে একাধিক ঈদের জামাত। প্রত্যেক মুসল্লিদের নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু সেরে মাস্ক পড়েই তবে মসজিদে আসতে হবে।
ব্যবহার করা যাবে না মসজিদের সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি। মসজিদে ওযুর স্থানে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে নামাজে কাতারে দাঁড়ানোর সময়। নামাজে অংশ নিতে পারবেনা শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা।
অনুরোধ করা হয়েছে জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে।
উল্লেখিত নির্দেশনার ব্যতয় হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের বলেন, সংক্রমণ রোধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে উপজেলার সকল মসজিদে এ বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে সুমেল হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে নবাগত ওসি
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সাইফুল সুমেলকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিশ্বনাথ থানার নবাগত ওসি গাজী আতাউর রহমান রাজু।
(১২মে) বুধবার বিকেলে একদল পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চাউলধনী হাওরের সৃষ্ট বিরোধ, হত্যাকান্ডের তথ্য উপাত্ত এবং স্বাক্ষীপ্রমানাদি গ্রহণ করেন। এসময় এলাকাবাসী খুনি সাইফুল, শাহীন, জলিলসহ অস্ত্রবাজদের দাপট ও অত্যাচার নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করেন। ওসি এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হয়ে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি কিছু জমি লীজ নিয়ে গরিব কৃষকের জমি দখল করে টাকা রোজগার ও হত্যাকান্ডের ঘটনা কোন বিবেকমান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। লীজ গ্রহিতা লীজের শর্ত ভঙ্গ করলে তারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিপূর্বে চাঞ্চল্যকর এই ডাবল মার্ডারের ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ পিপিএম। তাঁরা সাইফুল ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের আশ্বাষ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমেল হত্যার ১৩দিন পরও খুনি সাইফুল এখনও গ্রেফতার হয়নি। অবশ্য পুলিশ ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫/৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশ্বনাথে গাঁজাসহ হারিছ আলী গ্রেফতার
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ৫৮ পুরিয়া গাঁজাসহ হারিছ আলী (৬৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের মৃত সাজিদ উল্যাহর পুত্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বনাথ থানার এসআই আফতাবউজ্জামান রিগ্যান, অরূপ সাগর গুপ্ত কমল, অলক দাস ও এমরুল কবিরের নেতৃত্ব একদল পুলিশ (১২ মে) বিকেল ৫টায় অভিযান চালিয়ে হারিছ আলীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে সিলেট কোর্টে পাঠানো হয়।
বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া কবে।