সোমবার ● ১৭ মে ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ভারত থেকে অবৈধপথে দেশে আসা ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
ভারত থেকে অবৈধপথে দেশে আসা ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে দেশে ফেরা তিন জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। তাদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে এমন আশংকা করছে ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুনরায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে। শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম। এদিকে শুক্রবার করোনা আক্রান্ত রোগীসহ ৩জন আজাদ রেষ্ট হাউসের কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, গত ১০ মে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা ও বাঁশবাড়িয়া এলাকা দিয়ে দালালসহ ২৮ জনকে আটক করে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। আদালতের নির্দেশে আটককৃদের ঝিনাইদহ শহরের আজাদ রেস্ট হাউজে কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ২৮ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে। গত শুক্রবার (১৪ মে) সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব থেকে এ ফলাফল পাঠানো হয়। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে দুজনের বাড়ি নাটোর এবং একজনের বাড়ি বরিশালে। এদিকে ওই তিনজন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য শনিবার পুনরায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে বলে জানান ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন। ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা সনাক্ত হওয়ার খবরে ঝিনাইদহের বাসিন্দাদের অজানা আতংক দেখা দিয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজাদ রেস্ট হাউজের কোয়ারেন্টিন থেকে করোনা পজিটিভ রোগীসহ দুজন পালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির ছাদ থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে করোনা আক্রান্তকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও অপর দুই জনকে আজাদ রেস্ট হাউজের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।’ বর্তমানে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য গত ১০ মে মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত থেকে নাটোরের মোঃ নুর হোসেন (৫০), মোঃ রহিদুল শেখ (৩৮), মোঃ হোসেন শেখ (৪৫), মোঃ বুলবুল শেখ (৩২), মোঃ বিনত খান (৩৬), মোঃ শাকিরুল হোসেন (১৮), মোঃ নিয়াজুল ইসলাম (৩৮), মোঃ ইয়াহিয়া খান (৩৪), মোঃ ফরিদ সরদার (৪২), মোঃ নয়ন শেখ (৪০), মোঃ খায়রুল সরদার (৩০), মোঃ মোক্তার (৫১), মোঃ আলমগীর হোসেন (৪২), মোঃ বিপুল শেখ (২৯), মোঃ জাকারিয়া মাসদ রানা (৩৯), মোঃ অলিয়ন ইসলাম (৩৪), মোঃ রকেট শেখ (৩০), লক্ষীপুর জেলার মোঃ সাগর (১৮) এবং বরিশাল জেলার মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩২) কে অবৈধ ভাবে ভার তেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি আটক করে। একই দিন মহেশপুর সীমন্তবর্তী বাশবাড়িয়া গ্রাম থেকে আটক হয় আরো ৮ জন। এদের মধ্যে খুলনার মোঃ আজিজ মোল্লা (১৯), মোছাঃ আদরী (৩৮), মোছাঃ মনি (২৬), বাগেরহাটের মোঃ মহসিন (৩৯), ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা মোঃ এনামুল মোল্লা (২৩), নড়াইল জেলার মোঃ মহিত শেখ (৪৫), যশোর জেলার মোছাঃ তানিয়া খাতুন (৩০), নরসিংদি জেলার মোছাঃ চম্পা বেগম ও অবৈধ পারাপারে নিয়োজিত দালাল মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৬)।
মহাসড়কের দু’পাশ কাঠ ব্যবসায়িদের দখলে, মিলছে না প্রতিকার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই মহাসড়কের দু,পাশে এক শ্রেনীর অসাধু কাঠ ব্যাবসায়ীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘর্দিন ধরে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাছের গুঁড়ি রাখছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কে এভাবে কাঠ রাখার কারণে দূরপাল্লার পরিবহনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জন সচেতনার অভাবে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আবার প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার অভিযোগ করেও আজানা কারণে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু মানা হয়নি। যত্রতত্র কাঠ রাখায়, ঘটছে দুর্ঘটনা। খালি হচ্ছে মায়ের কোল, পঙ্গুত্বের জীবন নিয়ে অনেকের পথ চলতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাস্ততম রাস্তার দু,পাশে অসাধু ব্যবসায়িরা গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রেখে ব্যবসা করছে। সর্বসময় মহাসড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধোরে বড় বড় কাঠের গুড়ি ট্রাকে তোলা হয়। এত করে যানজটের সমস্যা হয়। এসব প্রতিরোধের জন্য কোন প্রকার ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানান। ব্যাবস্থা না নেয়ার কারনে অসাধু কাঠ ব্যবসায়িদের কোন প্রকার থামানো যাচ্ছে না। এমনকি এরা সরকারি নিয়ম ও আইন কে তোয়াক্কা করছে না। সড়কের পাশে কাঠ ব্যবসায়িদের কোন জায়গা নাই ,কাঠ ফেলে রাখা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে। সড়কের পাশে কাঠ রাখার কারণে পচ চারিদের যাতায়াত করতে মারাতœক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার সড়কের উপরে দাঁড় করিয়ে ট্রাকে কাঠ তোলা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তখন যানজটের কারণে গাড়ির লাইন পড়তে থাকে। ঝিনাইদহ সদর থানা একবারবার চেষ্টা করেছে সড়কের দু,পাশ থেকে গাছের গুড়ি সরানোর জন্য,কিন্তু তখন কাঠ ব্যবসায়িরা রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে একটু দুরে রাখে আবার কিছু দিন পরে যা তাই হয়ে পড়ে। অনেকে বাইসাইকেল ও মটর সাইকেল চালিয়ে যাবার সময় গুড়ির সাথে ধাক্কা মেরে মারাতœক ভাবে আহত হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় বেশি সমস্যা হয় পথ চারিরা চলার সময় পায়ে বেধে পড়ে গিয়ে আহত হয়। গ্রাম এলাকার অনেকে ছোট বড় গাছ কেটে শহরে বিক্রি করতে আসে, তখন গাছের গাড়ি সড়কের উপরে রেখে কিনা বেঁচা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। জেলার আমজনতা বলছেন একটু নজর দিলে অসাধু কাঠ ব্যবসায়িরা মহা সড়কের পাশে গাছ রাখা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো ভুমিকা না থাকার কারণে ব্যবসায়িরা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়িদের নিজস্ব কোন ঘর বা জায়গা নেই। তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে কাঠ রেখে ব্যবসা করছে। সড়কের পাশে গাছ রাখার কারণে রাতে নেশা সেবন কারিরা কাঠের উপরে বসে বসে নেশা সেবন করে। সড়কের দু,পাশে আবাসিক এলাকা। নেশার গন্ধে চলাচল করা লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সব মিলিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও প্রশাসন একটু নজর দিয়ে বিষয়টি আমলে নিলে পরিবেশ ভাল হত ও মহাসড়কের দু,পাশ পরিস্কার হত বলে আশাকরেন স্থানীয়রা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ কাঠের মিল। আর কাঠের মিল গুলো সবই আবাসিক এলাকার মধ্যে বসিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঠ কাটা হয়। এতে করে পরিবেশের মারাতœক সমস্যা হয়।
মোটর সাইকে সংঘর্ষে সংসদ সদস্যসহ আহত-২
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলাকান্দর এলাকায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলাম আশরাফ জানান, দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার ষাটবাড়িয়া গ্রামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মোটরসাইকেল যোগে সেখানে যাচ্ছিলেন এমপি আনার। সেসময় তার সাথে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী। পথে বলাকান্দর এলাকায় পৌছাঁলে বিপরীত থেকে আসা আর একটি মোটর সাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজনই রাস্তায় ছিটকে পরে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়র তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের একান্ত সহকারী সচিব এম.এ রউফ জানান, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারে মাথার পিছনে আঘাত লেগেছে। হাসপাতালের ইসিজি রিপোর্ট ভালো এসেছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাথার সিটিস্ক্যান করানো হবে। বিষয়টি নিশিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান।