সোমবার ● ১৭ মে ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের অসঙ্গতির কারণে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের অসঙ্গতির কারণে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরিক্ষায় অসংগতির শিকার পরিক্ষার্থীদের প্রধান সমন্বয়ক এস এম রাসেল সিদ্দিকী কর্তৃক গণমাধ্যমে আজ সোমবার প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এ বছর ভর্তি পরীহ্মার ফলাফল নিয়ে অসংগতির ব্যপারে নিশ্চয় অবগত আছেন। সহস্রাধিক পরীহ্মারথী পরীহ্মার ফলাফল প্রকাশের পর যে নাম্বার প্রত্যাশা করেছিলেন তার চেয়ে প্রাপ্ত ফলাফলে রয়েছে ব্যাপক ব্যবধান। আপনারা জানেন যে, মেডিকেল ভর্তি পরীহ্মার পাঠ্য বই বহির্ভূত কোন প্রশ্ন করা হয় না। তাই একজন পরীহ্মারথীর খুব সহজেই পরীহ্মায় তার প্রত্যাশিত ফলাফল স্মবন্ধে অনুমান করতে পারেন। অনুমিত ফলাফল ও প্ত্যাশিত ফলাফলের ব্যাব্ধান ৩-৫ নম্বর হওয়া খুবি স্বাভাবিক। কিন্তু তা কখনোই ১৫-২০ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বলেছেন যে , এটা ছাত্র ছাত্রীদের ভুল, তাই এটা বড় কোন বিষয় না। কিন্তু একজন পরীহ্মারথী যে কিনা পরীহ্মাতে অংশ নিয়েছে অবশ্যই তার স্বরন শক্তি প্রখর। আর অভিযোগকারীদের মধ্যে অনেকেই মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। তাই তাদের স্বরনশক্তি নিয়ে কোনভাবেই প্রশ্ন তোলা যায় না। এছাড়া প্রশ্ন প্রনয়নেও অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। যেখানে ৩টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই এবং ২টা প্রশ্নের একাধিক সঠিক উত্তর। এটা প্রশ্নপত্র প্রনয়নের কোন নীতিমালার অধীনে পড়ে তা আমারা জানতে চাই। এছাড়া নিম্নোক্ত অসঙ্গতি গুলো আমরা পয়েন্ট আকারে দিচ্ছি-
১। মেডিকেলে ভর্তি থাকা অবস্থায় ২য় বার আবার মেডিকেলে ভর্তি পরীহ্মায় অংশ গ্রহন করলে নিয়ম অনুযায়ী ৭.৫ নাম্বার কর্তন হওয়ার কথা । কিন্তু অনেকের হ্মেত্রে তা হয় নি। শুধুমাত্র ৫ নাম্বার কর্তন করে ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
২। ১ম বার মেডিকেল ভর্তি পরীহ্মায় অংশ নিয়েও অনেকের ৫ নম্বর অতিরিক্ত কর্তন করা হয়েছে।
৩। উপজাতি কোটায় দুর্নীতি নিয়ে উপজাতি পরিষদ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্মারক লিপি জমা দেই। এই ব্যপারে তাদের কোন মতামত পাওয়া যায়নি। আমরা তথ্য অধিকার আইনে নিজের প্রশ্নের উত্তরমালা চেয়ে আবেদন করলেও তারা কোন সাড়াই দেননি। এরপর গত ১১ই ,এ, ২৪৮জন ছাত্র-ছাত্রীর পহ্মে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার মোঃ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোঃ কাউসার ই মেইল ও কুরিয়ার যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট ভর্তি পরীহ্মার ফলাফল স্থগিত বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ অসঙ্গতির ফলে অনেক পরীহ্মারথীর ভবিষ্যত হুমকির মধ্যে পড়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে অনেকেই ২য় বার মেডিকেল ভর্তি পরীহ্মা দিয়েছেন। কিন্তু এই এই অসঙ্গতির ফলে তাদের ভবিষ্যত হুমকির স্মমুখীন। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের দাবিগুলো হলো
১। মেডিকেল ভর্তি পরীহ্মার অসঙ্গতির শিকার পরীহ্মারথীদের উত্তর পত্র স্বচ্ছতার সহিত পুনরায় যাচাই।
২। পরীহ্মার প্রশ্নপত্রের উত্তরমালা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ।
৩। ইতি মধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তা বাতিল পূর্বক পুনরায় ফলাফল মেধাক্রম প্রকাশ।