শনিবার ● ২২ মে ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লামায় দরজা ভেঙে মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
লামায় দরজা ভেঙে মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
হাসান মাহমুদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা পৌরসভার কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের (মোট তিন জন) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভার চাম্পাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রাফি (১৬) ও ১০ মাস বয়সী মেয়ে নুরি। তবে খুনের ঘটনা কখন ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লামা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ঘরের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুরের আলামত পাওয়া গেছে। সেদিক থেকে নিশ্চিত করে বলা যায় এটি একটি খুনের ঘটনা। আমরা এলাকাটি ঘেরাও করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
জানা যায়, প্রবাসী নুর মোহাম্মদের রয়েছে দুই স্ত্রী। মানুষিক প্রতিবন্ধী বড় স্ত্রী’র ঘরে দুই সন্তান। সাজিদা ইয়াছমিন (২২) ও নুরে জান্নাত রিদা। তিনি দীর্ঘ বছর যাবত চকরিয়া বাবার বাড়িতে থাকেন। ছোট স্ত্রী মাজেদা বেগম এর ঘরে তিন সন্তান আছে। রাফি (১৬), আফরিন (১১) ও নূরী (১০ মাস)। স্থানীয় লোকজন জানান, লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাতলিপাড়ার কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বাড়ি বাইরে থেকে সারা দিন বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা জানালায় উঁকি দিয়ে প্রথমে দুই সন্তানের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে প্রবাসীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে রাফি (১৬) ও ১০ মাস বয়সী মেয়ে নুরির লাশ উদ্ধার করে। নুর মোহাম্মদ কুয়েতে রয়েছেন। মাজেদা বেগম কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ২য় স্ত্রী।
তবে নুর মোহাম্মদ এবং মাজেদা বেগমের আরেক কণ্যা আফরিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই আবদুল খালেক জানান, তাঁর ভাবি মাজেদা বেগম তিন মেয়ে ও মাকে নিয়ে লামা পৌরসভার চম্পাতলিপাড়ার বাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার মেঝ মেয়ে ও তাঁর মা আলীকদমে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বড় মেয়ে আলীকদম থেকে না ফেরায় প্রাণে বেঁচে যায়। দুই মেয়ে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন মাজেদা বেগম।
লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল বশির আহম্মদ জানিয়েছেন, মা-মেয়ে তিনজনের লাশ বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে। তবে কে, কখন ও কেন তাঁদের হত্যা করেছে, জানা যাচ্ছে না।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানিয়েছেন, লামার চম্পাতলিপাড়ায় প্রবাসীর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।