শনিবার ● ২২ মে ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ৮ মাসেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়াতে মাল্টা বাগানে সেচ দিতে পারছেনা রাউজানের কৃষক
৮ মাসেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়াতে মাল্টা বাগানে সেচ দিতে পারছেনা রাউজানের কৃষক
আমির হামজা, ষ্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানে একমাত্র বিষমুক্ত ফল বাগানে প্রচন্ড তাপদাহে মরার উপক্রম প্রায় পাচঁ শতাধিক ফলজ গাছ। ফলে ফুলে পরিপূর্ণ গাছ গুলো পানির অভাবে মৃত্যুর দিকে দাবিত হচ্ছে। গতকাল ২১ মে শুক্রবার পুর্ব রাউজান জয়নগর বড়ুয়া পাড়া এলাকায় প্রেমতোষ বড়ুয়ার বিষমুক্ত ফল বাগান পরিদর্শন কালে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
এসময় কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়া বলেন প্রচন্ড তাপদাহে ও সেচের আভাবে বিদ্যুৎ লাইনের জন্য ৮ মাস পুর্বে আবেদন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বরাবরে। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে লাইন পায়নি আমি।
জানা যায়, রাউজান উপজেলার ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান জয়নগর বড়ুয়া পাড়ার প্রবাস ফেরৎ প্রেমতোষ বড়ুয়া দুই একর জমিতে মাল্টা ও বিভিন্ন প্রজাতির কমলা, আম, পেয়ারা, লেবু, লিচু, গোলাপ জাম, পেঁপেঁ, সবেদা গাছের বাগান গড়ে তোলেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে নিজেই গাছের পাতা, গরুর মুত্র ও বিভিন্ন উপকরন দিয়ে জৈব সার ও কীটনাশক তৈয়ারী করে তা প্রয়োগ করে ব্যাপক সফলতা আসে ফলজ বাগানে। গত কয়েক বছর ধরে তার ফলের বাগানে উৎপাদিত ফল বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে। তিনি আর্থিক ভাবেও লাভবান হয়েছেল। পাশাপাশি তিনি এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আত্মতীয় স্বজনদের মধ্যে উপহার হিসাবে বিতরন করে থাকেন।
এ বছর প্রচন্ড তাপদাহের কারনে ও ফল গাছে সেচের পানি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফলের বাগানের মাল্টা গাছ মরে যাচ্ছে। রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়াকে ফল বাগানে সেচ দিতে দুটি বৈদ্যুতিক মোটর ও সেচ পাইপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাক্ষে এই সফল চাষী। এছাড়া ফল বাগানের পাশে দিয়ে প্রবাহিত মুখছড়ি খালেও পানি নেই। যার কারণে সেচের পানি পারছেনা বাগানে। ঠিক সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে বাগানে গভীর নলকুপ বসাতে বসিয়ে পানি সংকট নিরসন করা সম্ভব হতো। কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়া বলেন, ফল বাগানে বিদ্যুৎ লাইন পাওয়ার জন্য ৮ মাস পুর্বে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবরে আবেদন করেছি। আবেদন করার পর কতিপয় কর্মকর্তাকে উৎকোচ না দেওয়ায় আবেদন করার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও আমার ফল বাগানে বিদ্যুৎ লাইন দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এবিষয়ে কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।