শুক্রবার ● ২৮ মে ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » আশানুরূপ মাছের ডিম না পাওয়াতে হতাশ জেলেরা
আশানুরূপ মাছের ডিম না পাওয়াতে হতাশ জেলেরা
আমির হামজা, ষ্টাফ রিপোর্টার :: দেশের একমাত্র মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে ডিম আহরণ করে সরকারী হ্যাচারী ও কূয়ায় ডিম ফুটানোর কাজে ব্যস্ত হালদা পাড়ের জেলেরা। রাউজান ও হাটহাজারী এলাকায় ডিম থেকে রেনু ফুটানোর নিয়েজিত ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা বলে হালদার ডিম সংগ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, হাটহাজারীর আমতুয়া-নাপিতেরঘাট, রাউজানের আজিমের ঘাট, দক্ষিণ গহিরা সিপাহী ঘাট, কাগতিয়া, উরকিরচর সহ বিবিন্ন পয়েন্টে দেশের হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মা মাছ তৃতীয় দফায় পুরোদমে ডিম ছাড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত পুরোদমে এসব মা মাছ ডিম ছাড়ে । তবে আশানুরূপ ডিম না পাওয়ায় হতাশ ডিম আহরণকারীরা জেলেরা। মৎস্য অধিদপ্তর ও নদী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭২ শতাংশ বেশি লবণাক্ততা এবং দীর্ঘদিন বজ্রবৃষ্টি না হওয়ায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। তারা বলেছেন, এবার নদীর পরিবেশ অতীতের ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ছিল। প্রজনন মৌসুম জুন মাসে শেষ পর্যন্ত কার্পজাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মা মাছ ডিম ছাড়ার রেকর্ড রয়েছে। হালদা নদীর রাউজান হ্যাচারি পরিদর্শন করে জানা গেছে, গতবারের তুলনায় এবার ডিমের পরিমাণ অনেকাংশে কম। ৭/৮ নৌকা নিয়ে মাত্র ৮ থেকে ১০ বালতি ডিম সংগ্রহ করছেন তারা। গত মঙ্গলবার থেকে নদীতে শত শত নৌকা ও জাল পেগে ডিম আহরণকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই উৎসবে ভাটা পড়ে। অতিরিক্ত জোয়ারে পর্যাপ্ত ডিম সংগ্রহে ব্যত্যয় হয়েছেন তাদের। রাউজানে একমাত্র সচল হ্যাচারী দক্ষিণ গহিরা মোবারকখীল হ্যাচারী পরিদর্শন করে দেখা গেছে প্রতিজন ডিম সংগ্রহকারী ৫ থেকে ৮ বালতি ডিম সংগ্রহ করে রেনু ফুটাতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ডিম থেকে রেনু উৎপাদনের হ্যাচারী ও মাটির কূয়া পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। এছাড়া হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সৎস্য কর্মকর্তা সহ হালদা বিশেষজ্ঞরা।