বৃহস্পতিবার ● ৩ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৪ দিনব্যাপী নাট্য উত্সব
রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৪ দিনব্যাপী নাট্য উত্সব
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০মিঃ) ৩৩৩-ম-৩৩,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন৷ দুটি বিষয় একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত ৷ সংস্কৃতিতে এই জেলার একটি আলাদা শিল্প ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে এটিকে আমাদের মনে সঠিকভাবে লালন করতে হবে ৷ তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষি জনগোষ্ঠীর বসবাস ৷ নাটকের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সকল জাতি গোষ্ঠীর বৈচিত্র, ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে হবে ৷ এর জন্য চাই সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ৷ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট এ অঞ্চলের বসবাসরত জনগোষ্টীদের সংস্কৃতি চর্চায় নুতন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করারও পরামর্শ দেন তিনি৷ সংস্কৃতির বিকাশে প্রয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে বিশেষ অনুরোধে প্রকল্প বাস্তবায়নে সুপারিশ করা হবে ৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৩মার্চ) বিকেলে ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি চর্চা, প্রসার, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় ৪দিন ব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ - গোষ্ঠী নাট্য উত্সব-২০১৬ এর উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি একথা বলেন ৷
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত্ হোসেন রুবেল বক্তব্য রাখেন৷
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জাতির পরিচয় তার ভাষা ও সংস্কৃতিতে ৷ কিন্তু চর্চার অভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীরা দিন দিন তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে হারিয়ে ফেলছে ৷ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে ৷ তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে অনেক প্রতিভান শিল্পী রয়েছে সঠিক চর্চা ও সুযোগ পেলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা তাদের প্রতিভার মাধ্যমে দেশের সুনাম অর্জন করতে পারবে ৷
চার দিনব্যাপী নাটক সমূহের মধ্যে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাঙামাটি জুম ফুল থিয়েটারের পরিবেশনায় ৩মার্চ মঞ্চস্থ হবে চাকমা নাটক “ধনপুদি” ও চাগা থিয়েটার আর্টসের পরিবেশনায় মারমা নাটক “স্বাইতিক স্বাং”, ৪মার্চ খাগড়াছড়ি য়ামুক নাট্যগোষ্টীর পরিবেশনায় ত্রিপুরা নাটক “আপেলা” ও বান্দরবান ম্রো নাট্যদল পরিবেশনায় ম্রো নাটক “আনৈপ্রা”, ৫মার্চ রাঙামাটি ফুরমোন জুম্ম সাংস্কৃতিক নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় চাকমা নাটক মানেই “জিংকানি” ও রাজশাহী মানওয়া নাট্যদলের পরিবেশনায় সাওতাল নাটক “সাঁওতা অৗরি” এবং ৬মার্চ রাঙামাটি ঘাগড়া কালচারাল একাডেমীর পরিবেশনায় চাকমা নাটক “আক্কলর শাস্তি” ও সিলেটের মৌলভিবাজার মণিপুরি থিয়েটারের পরিবেশনায় মণিপুরি নাটক “লেইমা”৷