শনিবার ● ২৯ মে ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহে মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষে সফলতা
ঝিনাইদহে মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষে সফলতা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে বানিজ্যিক ভাবে মিষ্টি জাতের আঙ্গুর চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ আঙ্গুর ক্ষেত দেখতে ভীড় করছেন ওই চাষির ক্ষেতে। জেলার সীমান্তবর্তি উপজেলা মহেশপুরের যোগীহুদা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বিদেশী জাতের আঙ্গুর চাষ করে সফল হয়েছেন। তার বাগানে উৎপাদিত আঙ্গুর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনে তিনি প্রায় চার মন আঙ্গুর বিক্রি করেছেন। তার ১০ কাঠা জমি থেকে আরো ১০ থেকে ১২ মন আঙ্গুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এর আগে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় আঙ্গুর চাষ হলেও তা স্-ুস্বদু ছিল না। তবে আব্দুর রশিদ এবারই প্রথম এ চাষে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। জমিতে গাছ রোপনের মাত্র সাত মাসে ফল আসতে শুরু করে। ৯ থেকে ১০ মাসের মাথায় আঙ্গুর পরিপক্ক হয়েছে। কৃষক আব্দুর রশিদের দাবি বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন জাতের বিদেশী আঙ্গুরের চেয়ে তার জমির পাকা আঙ্গুর অনেক ভালা। ১০ কাঠা জমিতে ছমছম ও সুপার সনিকা জাতের ৭৫ টি আঙ্গুর গাছ রোপন করেছেন তিনি। ভারত ও ইটালি থেকে এসব চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার দেখাদেখি এখন মহেশপুরের অনেকে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আব্দুর রশিদ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখের বসে দশ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা ও কালোসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙ্গুর চারা রোপন করেন। তার দাবি বাংলাদেশের মাটিতে সুস্বাদু আঙ্গুর চাষে সফলতা তিনিই প্রথম। মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, আমি নিজে আব্দুর রশিদের চাষ হওয়া আঙ্গুর খেয়ে দেখেছি, স্বাদ ভালো। কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্যমতে মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী। এর আগে এই এলাকার কৃষকরা আম, পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল, মাল্টা, কমলা লেবু ও তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এখন আঙ্গুর চাষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করতে হবে। কৃষক আব্দুর রশিদকে সব সময়ই কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হয় বলে যোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা অমিত বাগচী ।
৯০ হাজার টাকা নিয়ে স্বামী উধাও, ঘরের আড়াই ঝুলছিল স্ত্রীর লাশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দলিলপুর গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে সাথী খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সাথী খাতুন ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। এ দিকে এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই গৃহবধুর স্বামী সুজন বিশ^াস। সাথীর মা অমেলা বেগম জানান, ৬ মাস আগে পার্শবর্তী জেলার মাগুরা শহরের ঢালপাড়া গ্রামের বরকত বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাসের (২০) সঙ্েগ সাথীর বিয়ে হয়। গত বুধবার জামাই দলিলপুরে আসেন। শুক্রবার মেয়ে ও জামাইকে রেখে কুষ্টিয়ার আমলায় স্বামীর কাছে ধান আনতে যান অমেলা বেগম। সকালে প্রতিবেশীরা খবর দেয় তার মেয়ে মারা গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামাই পালিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় মেয়ের কাছে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে তা সাবধানে রাখতে বলে যান। ফিরে এসে ঘরে টাকা পান নি, পেয়েছেন মেয়ের ঝুলন্ত লাশ। টাকার জন্য তার মেয়েকে হত্যা করা হতে পারে বলে অমেলা বেগম দাবী করেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু; হত্যা নাকি আত্মহত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কনেজপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৮) খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবী করছে সে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে বর্ষার পিতার দাবী তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, ১০ মাস আগে পারিবারিকভাবে বর্ষার বিয়ে হয় একই উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের রতনহাট গ্রামের ইদ্রিসের ছেলে শাকিল হোসেনের সাথে। শাকিল পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী। বিয়ের পর থেকে বর্ষা খাতুনের পরিবারে যৌতুকের দাবি করে আসছিল শাকিল। গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাকিল হোসেনের বসত ঘরে লাশ হয় বর্ষা। স্থানীয়রা জানান, যেভাবে রশি বাঁশের সাথে বাঁধা হয়েছে তাতে কোন ব্যক্তি এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। রশি বুক সমান নিচে নামানো ছিল। গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলে এভাবে মারা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে অভিযোগ করেন বর্ষার খালু আকুল হোসেন। তিনি জানান বর্ষাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখে দাগ দেখা গেছে। বর্ষার মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। আমরা লোক মাধ্যমে জানতে পেরে এখানে এসেছি। তিনি আরও বলেন, বর্ষা খাতুনের মৃত্যুর পর থানায় দেওয়া অভিযোগে পেটে ব্যাথার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন রোগ ছিল না। গলাই কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এ ব্যাপারে সদর থানার এস আই ইয়াছির আরাফাত শনিবার বিকালে জানান, এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।