শিরোনাম:
●   কোথায় গেলো সেই দিনগুলি : মুহাম্মদ মাসুদ রানা ●   উল্টাছড়ি বাজার চালু করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ●   চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ ●   নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সালামের বিরোদ্ধে সাটিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ ●   রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ●   উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য অপরিহার্য ●   পার্বতীপুর জামায়াত যুব বিভাগের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   ফটিকছড়িতে ডাকাতি যুবককে কুঁপিয়ে জখম ●   রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত ●   সাব্বির সেন্টু’র উপন্যাস গ্রন্থ ‘স্বপ্নভরা দুটি চোখ’র মোড়ক উম্মোচন ●   মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ ●   কুষ্টিয়ার আলাউদ্দিন নগরে পিঠা উৎসব ও কৃষি মেলা ●   ঈশ্বরগঞ্জে ভেকু দিয়ে ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে ●   এপিবিএন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সাংবাদিক জনি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা’র যোগদান ●   ফটিকছড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ●   গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে : জামাল ●   নতুন বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের ঠাঁই নাই : হুম্মাম কাদের চৌধুরী ●   রাউজানে বিএনপির নেতার পিতার মৃত্যু ●   হাটহাজারী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভিষেক ●   মিরসরাইয়ে ইসলামী সংগীত প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে আগুন : প্রায় ২৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আশুলিয়া থানা কমিটি গঠন ●   জঙ্গল থেকে ঝাড় ফুল সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে রফিক ●   কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হাতে যুবদল নেতার প্রাণ হারানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ●   ফটিকছড়িতে ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে ৭ ব্যক্তির জেল ●   রাউজানে ব্যবসায়ী হত্যা : পরিবার বলছেন মামলা করলে, আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে ? ●   একুশে পদক সাংবাদিকতায় মফস্বল থেকে ১জনকে দেয়ার নীতিমালা পরিবর্তন করা দরকার ●   কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ২৯ মে ২০২১
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ
শনিবার ● ২৯ মে ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত-নাজমুল হক নাহিদ। নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: গায়ে লাল পাঞ্জাবি আর মুখে বাহারি রং মেখে প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বের হন বাবুল হোসেন বাবু। জীবিকার তাগিদে প্রায় ছুটে আসেন নওগাঁর আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পথে প্রান্তরে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের গান শুনিয়ে আনন্দ দিয়ে কিছু পয়সা পেলেই এতেই তিনি খুশি। বাহারি সাজের এ মানুষটি গান শোনানোর সময় চোখে মুখে আনন্দ থাকলেও বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার বুকরে ভেতরে লুকিয়ে আছে এক সাগর কষ্ট।

পৃথিবীতে আপন বলতে জন্মদাতা মা ও দুই মেয়ে ছাড়া বাবুলের আর কেউ নেই। জীবন সঙ্গিনী স্ত্রীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। তাইতো সংসার চলাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গান আর গল্প শুনান তিনি। বাহারি পোশাকের এ মানুষটি হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে জীবিকার তাগিদে ছুটে বেড়ান পুরো জেলা জুড়ে। গান শেষে খাবার খেয়ে পথের ধারে, রেলস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। অকালে স্ত্রীকে হারানোর বেদনা অন্যদিকে সংসারে অভাব। সবমিলে নিজের বুকে হাজারো কষ্ট চেপে রেখে অন্যদের গান শুনিয়ে আনন্দ দেওয়া সত্যিই অনেক কষ্টের।

আর এমন কষ্টের কাজ প্রায় এক যুগ ধরে করে আসছেন নওগাঁ সদর উপজেলার ভিমপুর গ্রামের বাবুল হোসেন বাবু। এলাকায় সবাই তাকে বাবু গায়েন বলেই চেনেন। শুধু আত্রাই রেলস্টেশনেই নয় জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গান করেন বাবু গায়েন।

আলাপচারিতায় বাবুল হোসেন বাবুর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগে গ্রামে গ্রামে যাত্রাপালায় গান অভিনয় করতাম। এখন আর যাত্রাপালার দিন নাই। তাই ১২ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় গান করে বেড়াই। বয়সের কারণে কাজ করতে পারিনা এজন্য কেউ কাজে নেয় না। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই ছোট বেলা থেকেই সংসার আমাকে চালাতে হয়েছে। বিয়ের সাত বছরের মাথায় তিনটি মেয়ে হয় আমাদের। কী কপাল আমার ! বড় মেয়ে ৫ বছর, মেঝো মেয়ে ৩ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স যখন ৬ মাস তখন আমার স্ত্রীও মারা যায়। খুব কষ্টে আমি আর আমার মা মিলে দুটি মেয়েকে বড় করেছি। প্রতিদিন গান করে যে টাকা উপার্জন হয় দিন শেষে সেই টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য দুধ কিনে বাড়িতে যেতাম। যেদিন টাকা কম উপার্জন হত সেদিন আর দুধ কেনার পর চাল ও বাজার সওদা করতে পারতাম না। গান করে যে টাকা উপার্জন হয় তা থেকে একটু একটু করে কিছু টাকা জমিয়ে বড় দুটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এখন আর একটি মেয়ে আছে, ১২ বছর বয়স তার।

তিনি আরও জানান, বগুড়ার সান্তাহার, নওগাঁ, নাটোর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে গান করি। মানুষ আমার গান শুনে যে টাকা দেয় তাতেই আমার সংসার চলে। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। আবার কোনো দিন ২০০ টাকাও উপার্জন হয়। দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় লোন নিয়েছিলাম। এখন প্রতিমাসে তার কিস্তি দিতে হয়।

সংসারের অভাবের কারণে আমি পড়ালেখা করতে পারিনি। আমার মেয়েদেরও পড়ালেখা করাতে পারিনি। বাবুলের গান শুনে মুগ্ধ হয় সান্তাহার স্টেশন থেকে বিভিন্নস্থানে যাওয়া জন্য অপেক্ষারত ট্রেন যাত্রীরা। খুশি হয়ে যে যেমন পারে টাকা দেয়। এভাবেই চলছে বাবুলের জীবন সংগ্রাম।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)