শিরোনাম:
●   বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন আফিয়া ও দ্যুতি মনি ●   হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ●   বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রিপন আলো চাকমা’র মৃত্যুতে ইউপিডিএফ এর শোক ●   রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র চার নেতা সাময়িক বহিষ্কার : অভিযুক্তরা বলছেন অংসুইপ্রু চৌধুরীকে রক্ষার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ●   আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ ●   আসছে এস.ডি.জীবন’র নাটক “আপন-পর” ●   নতুন দলে স্থান স্থান পেলো ঝালকাঠির মশিউর রহমান ●   রামগড়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল ●   ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি ●   ঈশ্বরগঞ্জে সুলভ মূল্যে হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ●   আবারো রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে কুষ্টিয়ার জনপদ ●   ঝালকাঠিতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বাহিরে রেখে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বামী ●   রাঙামাটিতে মাদক সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষে আহত-১ : আটক-১ ●   মিরসরাইয়ে বাজার মনিটরিংয়ে তিন দোকানীকে জরিমানা ●   ছাত্র অধিকার পরিষদ ভূষণছড়া ইউপি শাখার কমিটি গঠন ●   রাজস্থলীতে জাতীয় ভোটার দিবস পালন ●   রাঙামাটিতে জাতীয় ভোটার দিবস পালন : জেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩৯ জন ●   মাহে রমজান উপলক্ষে রাঙামাটিতে গাউছিয়া কমিটির স্বাগত র‍্যালি ●   আন্তর্বর্তীকালিন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের মর্ম ধারণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে : আনু মুহাম্মদ ●   রাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের স্থান ●   গণসংগীত শিল্পী এপোলো জামালী আর নেই : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শোক ●   বৃটেনের বিশিষ্ট নেতা অহিদ উদ্দিনের মুরব্বিদের সাথে সৌজন্য ●   রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় পিসিজেএসএস-ইউপিডিএফ এর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন ●   স্বাধীতনার ৫৩ বছরে প্রথম বার জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা পেলেন দলিত জনগোষ্ঠীর নেতা ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু ●   চ্যাম্পিয়ন পুরকৌশল বিভাগ, রানার্স আপ ইটিই বিভাগ ●   দয়া করে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে চলে যান : ওয়ারেস আলী ●   কাপ্তাইয়ে কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী ●   হাটহাজারীতে জনদূর্ভোগ লাঘবে প্রশাসনের অভিযান ●   পটুয়াখালীতে ৪ লাখ পিস ইয়াবা সহ ১৬ জন গ্রেফতার ●   রমজানে দ্রব্যমূল্যে সহনশীল রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্য রাখতে রাঙামাটিতে আলেম-ওলামাগণের আহবান
রাঙামাটি, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫, ২৩ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ২৯ মে ২০২১
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ
শনিবার ● ২৯ মে ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আনন্দ দেওয়ায় যেন বাবু গায়েনের কাজ

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত-নাজমুল হক নাহিদ। নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: গায়ে লাল পাঞ্জাবি আর মুখে বাহারি রং মেখে প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বের হন বাবুল হোসেন বাবু। জীবিকার তাগিদে প্রায় ছুটে আসেন নওগাঁর আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পথে প্রান্তরে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের গান শুনিয়ে আনন্দ দিয়ে কিছু পয়সা পেলেই এতেই তিনি খুশি। বাহারি সাজের এ মানুষটি গান শোনানোর সময় চোখে মুখে আনন্দ থাকলেও বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার বুকরে ভেতরে লুকিয়ে আছে এক সাগর কষ্ট।

পৃথিবীতে আপন বলতে জন্মদাতা মা ও দুই মেয়ে ছাড়া বাবুলের আর কেউ নেই। জীবন সঙ্গিনী স্ত্রীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। তাইতো সংসার চলাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গান আর গল্প শুনান তিনি। বাহারি পোশাকের এ মানুষটি হারমোনিয়াম কাঁধে নিয়ে জীবিকার তাগিদে ছুটে বেড়ান পুরো জেলা জুড়ে। গান শেষে খাবার খেয়ে পথের ধারে, রেলস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। অকালে স্ত্রীকে হারানোর বেদনা অন্যদিকে সংসারে অভাব। সবমিলে নিজের বুকে হাজারো কষ্ট চেপে রেখে অন্যদের গান শুনিয়ে আনন্দ দেওয়া সত্যিই অনেক কষ্টের।

আর এমন কষ্টের কাজ প্রায় এক যুগ ধরে করে আসছেন নওগাঁ সদর উপজেলার ভিমপুর গ্রামের বাবুল হোসেন বাবু। এলাকায় সবাই তাকে বাবু গায়েন বলেই চেনেন। শুধু আত্রাই রেলস্টেশনেই নয় জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গান করেন বাবু গায়েন।

আলাপচারিতায় বাবুল হোসেন বাবুর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগে গ্রামে গ্রামে যাত্রাপালায় গান অভিনয় করতাম। এখন আর যাত্রাপালার দিন নাই। তাই ১২ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় গান করে বেড়াই। বয়সের কারণে কাজ করতে পারিনা এজন্য কেউ কাজে নেয় না। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছি। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই ছোট বেলা থেকেই সংসার আমাকে চালাতে হয়েছে। বিয়ের সাত বছরের মাথায় তিনটি মেয়ে হয় আমাদের। কী কপাল আমার ! বড় মেয়ে ৫ বছর, মেঝো মেয়ে ৩ বছর আর ছোট মেয়ের বয়স যখন ৬ মাস তখন আমার স্ত্রীও মারা যায়। খুব কষ্টে আমি আর আমার মা মিলে দুটি মেয়েকে বড় করেছি। প্রতিদিন গান করে যে টাকা উপার্জন হয় দিন শেষে সেই টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য দুধ কিনে বাড়িতে যেতাম। যেদিন টাকা কম উপার্জন হত সেদিন আর দুধ কেনার পর চাল ও বাজার সওদা করতে পারতাম না। গান করে যে টাকা উপার্জন হয় তা থেকে একটু একটু করে কিছু টাকা জমিয়ে বড় দুটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এখন আর একটি মেয়ে আছে, ১২ বছর বয়স তার।

তিনি আরও জানান, বগুড়ার সান্তাহার, নওগাঁ, নাটোর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, রাজশাহী, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে গান করি। মানুষ আমার গান শুনে যে টাকা দেয় তাতেই আমার সংসার চলে। প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। আবার কোনো দিন ২০০ টাকাও উপার্জন হয়। দুই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় লোন নিয়েছিলাম। এখন প্রতিমাসে তার কিস্তি দিতে হয়।

সংসারের অভাবের কারণে আমি পড়ালেখা করতে পারিনি। আমার মেয়েদেরও পড়ালেখা করাতে পারিনি। বাবুলের গান শুনে মুগ্ধ হয় সান্তাহার স্টেশন থেকে বিভিন্নস্থানে যাওয়া জন্য অপেক্ষারত ট্রেন যাত্রীরা। খুশি হয়ে যে যেমন পারে টাকা দেয়। এভাবেই চলছে বাবুলের জীবন সংগ্রাম।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)