রবিবার ● ৩০ মে ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-লুট,ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতি এলাকায় উত্তেজনা
নবীগঞ্জে ১৩টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-লুট,ব্যাপক ক্ষয়- ক্ষতি এলাকায় উত্তেজনা
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: পুর্ব আক্রোশের জেরধরে নবীগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী সাতাইহাল ৬ মৌজার লোকজন নোয়াগাওঁ গ্রামে হামলা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৩০ মে রবিবার দুপুরে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীরা নোয়াগাওঁ গ্রামের ১৫/১৬ টি গরু, ছাগল, অসংখ্য হাসঁ-মোরগ, প্রায় ৩ হাজার মন ধান লুটপাটসহ অনুমান ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ১৩ নং পানিউন্দা ইউনিয়নবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সম্প্রতি উপজেলার পানিউন্দা ইউপির নোয়াগাওঁ হাওরে গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন (বীর প্রতীক) এর মালিকানাধীন ফিশারিতে অবস্থানরত পাহারাদার ও তার স্ত্রীকে বেদরক আঘাত করে নোয়াগাওঁ গ্রামের কতিপয় লোকজন। আহত দম্পতি সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় মামলাও করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামসহ ৬ মৌজার লোকজন মিটিং করে নোয়াগাও গ্রামে হামলা করার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ডালিম আহমদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে নোয়াগাও গ্রাম থেকে একটু দুরবর্তী স্থানে মিটিং করেন। এই সুযোগে সাতাইহাল ৬ মৌজার লোকজন হাকডাক দিয়ে বিকল্প রাস্তায় নোয়াগাওঁ গ্রামে ঢুকে হামলা, ভাংচুরসহ তান্ডবলীলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করে ১৫/১৬টি গরু, ১০/১৫টি ছাগল, অসংখ্য হাসঁ মোরগ এবং বিভিন্ন বাড়ি থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার মন ধান লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া অগ্নি সংযোগের ফলে ১৩টি পাকা-আধা পাকা, টিনসেটের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ধান-চালসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমান হবে প্রায় ৬০/৭০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ৬ মৌজার তান্ডবে নোয়াগাওঁ যেন মৃত্যুপুড়িতে পরিনত হয়েছে। মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার ও কান্নার রুল। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, সাতাইহাল ৬ মৌজার মানুষ এত দুর থেকে এসে নোয়াগাওঁ গ্রামে ঢুকে যে তান্ডব করেছে তা দুঃখ জনক। তাদের তান্ডবের সময় ধান, গরু, ছাগল, হাসঁ মোরগ এমনকি মোরগের ডিম পর্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে যায়। ১৩টি ঘর সম্পুর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান হবে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়ায় পারভেজ আলম চৌধুরীর বিদায় সবংর্ধনা
নবীগঞ্জ :: বাহুবল সার্কেলের সহকারী পৃুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পারভেজ আলম চৌধুরীর পদোন্নতি উপলেক্ষ্যে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে আজ ৩০ মে রবিবার সন্ধ্যায় এক বিদায় সংবর্ধনা অনুস্টিত হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ডালিম আহমদের সভাপতিত্বে এবং পুলিশ পরিদর্শন অপারেশন মো. আব্দুল কাইয়ুমের পরিচালনায় এতে প্রধান অথিতি ছিলেন সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম,নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল,সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, থানার সেকেন্ড অফিসার সমীরন দাশ, উপজেলা সেচ্চাসেবকলীগের সবধারন সম্পাদক উজ্জল সরদার, এস আই সামসুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ জীবন,পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি চৌধুরী,এস আই শিরিন আক্তার,এ এস আই জামাল মিয়া,কনস্টেবল পলাশ বৈদ্য প্রমূখ।
এ সময় নবীগঞ্জ থানার কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে সংবর্ধিত ব্যক্তি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীকে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বিদায়ী অথিতির বক্তব্যে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন,পুলিশ পেশা একটি ঝুকিপূর্ন পেশা। এ পেশায় সব সময় সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়। পুলিশ জনগনের বন্ধু হিসাবে সর্বদা কাজ করে আসেছে। পুলিশকে সব সময় সমাজের ক্ষতিকর দালালদের কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের অপরাধ প্রবনতা রোধ করা সম্ভব।