সোমবার ● ৩১ মে ২০২১
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইউপি’র মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইউপি’র মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখীর ইউপি সদস্য বনি আমিনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজ সেবা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
ভুক্তভোগির লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বনি আমিন নিজের ওয়ার্ড ডিঙিয়ে বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে অসহায় কৃষক ৫ সন্তানের জনক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আকমল হোসেনের প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে ১১ শত টাকা নিয়ে কার্ড দেওয়ার নামে এক বছরেরও অধিক সময় ধরে মিথ্যা আশ্বাস দেন। উপায়ন্তর না দেখে গত ২৭ মে আকমল হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সমাজসেবা কার্য্যালয়ে গিয়ে তার প্রতিবন্ধি ভাতার তালিকায় নাম আছে কি না জানতে চান। এসময় ওই কর্মকর্তা জানান এই নামে কোন আবেদন জমা পরেনি। সেসময় ভুক্তভোগী বনি মেম্বারের মাধ্যমে আবেদন ও টাকা দেবার বিষয়টি জানান এবং ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত দরখাস্ত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, ইউপি সদস্য বনি আমিনের বিরুদ্ধে উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্র ৪০ থেকে ৫০ জনের কাছ থেকে সরকারি ভাতা করিয়ে দেয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জিয়ারখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আলী বলেন, অসহায় প্রতিবন্ধিদের কার্ড করে দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেম্বার বনি আমিনের কাছে প্রকৃত ঘটনা জানতে মুঠোফোনে ৩১ তারিখ সোমবার সকালে কল দিলে তিনি স্বীকার করে বলেন, আমি টাকা নিয়েছি এবং কাজ হয়ে গেছে। তার ছোট ছেলে মিন্টুকে আমি বলেছি, আমার সঙ্গে তাড়াতাড়ি দেখা করো কার্ড রেডি হয়ে গেছে আরও ১ হাজার টাকা লাগবে। এদিকে মিন্টুর সঙ্গে কথা বললে মিন্টু বলেন, বনি মেম্বার আমাকে গতকাল থেকে ফোনে বারবার বলছে কার্ড হয়ে গেছে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করো ১ হাজার টাকা নিয়ে।
এ বিষয়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।