বুধবার ● ২ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তিন যুবকের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তিন যুবকের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কুষ্টিয়ার তিন যুবকের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার জমা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১ জুন রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা মুন্সী শাহীন আহম্মেদ জুয়েল বাদী হয়ে এই এজাহার জমা দিয়েছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযুক্ত সেই ৩ ব্যক্তি হলেন-সালমান শাহরিয়ার রাজু, পিতা- দাদন আলী, ঠিকানা- হাজির গলি (পুলিশ লাইনের সামনে), কুষ্টিয়া,ওয়ালিদুজ্জামান শুভ, পিতা- মো. লাবলু, ঠিকানা- সাদ্দাম বাজার গলি, পূর্ব মজমপুর, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া ও মো. চাঁদ, পিতা- মৃত. কাফি খাঁ, ঠিকানা- বাড়াদী সাহা পাড়া, মঙ্গলবাড়ী, কুষ্টিয়া।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, গতকাল মঙ্গলবার ১ জুন বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয়দের বেশ কয়েকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে শহরের ভোলানাথ পাল লেনে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আবাসিক এরিয়াতে একটি জর্দ্দা কারখানা গড়ে উঠেছে। অভিযোগ আছে এই কারখানার কারণে এলাকার জনগনের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ও বেশ কিছু ঝুঁকি নিয়ে চলছে এই জর্দ্দা কারখানা। এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেদের দোষ ঢাকতে এবং বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করে। কারখানা কর্তৃপক্ষ সংবাদ সংগ্রহকালে কারখানায় প্রবেশ করতে না দিয়ে রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিক টিমকে দাড় করিয়ে রাখেন এবং মডেল থানা পুলিশকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি অবগত হয়ে সাংবাদিক টিমকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে বলেন। বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও সাংবাদিকদের মানসন্মান ক্ষুন্ন করতে আসামীরা “কুক্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সদস্য, দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রমেশ চ্যাটার্জীর বাড়ির সামনে হামলার উদ্দেশ্যে ওরা কারা?” এই শিরোনামে ১ ও ২ নং আসামী তাদের ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডিতে তিনজন সাংবাদিকের ছবি সহ পোস্ট করেছেন এবং আসামী এই লেখাটি তার ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেছেন। হামলাকারী পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক পেশাটিকে ছোট করা সহ উপস্থিত সাংবাদিকদের হামলাকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূল ধারার সাংবাদিকদের হামলাকারী বলাতে আমাদের মানসন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এভাবে সাংবাদিক পেশাটিকে ছোট করা ও সাংবাদিকদের হামলাকারী হিসাবে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করায় তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আমরা কঠোর শাস্তি দাবি করে এজাহার অন্তর্ভুক্তির আবেদন করছি।”
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এর আগেও কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেশ কিছু অভিযোগ পড়েছিলো বলে নিচ্ছিত হওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।