শুক্রবার ● ৪ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট দিয়েছেন
ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট দিয়েছেন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেও জাতীয় বাজেট সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। এই বাজেট স্বাধীনতার ঘোষণা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিপরীতে যেয়ে ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদেরকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। ছিটেফোটা দান-খয়রাত ছাড়া দারিদ্রসীমার নীচে পড়ে থাকা ৬ কোটি মানুষসহ স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য তেমন কিছু নেই। ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট দিয়েছেন। জীবন-জীবিকার বাজেট দেখার কথা বলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে এক ধরনের তামাশা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর এই বাজেটের মধ্য দিয়ে করোনা দুর্যোগ মোকাবলা করা যাবে না, উল্টো সমাজে আয় ও ধনবৈষম্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এই বাজেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনে আরো হতাশা ও দুর্ভোগ ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, মহামারীজনীতি এই পরিস্থিতিতেও গণস্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ স্বাস্থ্যখাত গুরুত্ব পায়নি। খাদ্য সংকটে থাকা ৬/৭ কোটি মানুষের জন্য স্বস্তির কিছু নেই। প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত কর্মসংস্থানের বিশ^াসযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেই। দেশের বিপদগ্রস্ত ৬০ শতাংশ মানুষের কল্যাণে বাজেট না দিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য ছাড়ের পর ছাড় ও প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মহামারীর এই পরিস্থিতিতে সরকার পরিচালনার খরচ যখন কমানো দরকার, সামরিক খাতসহ অনুৎপাদনশীল খাতে যখন ব্যয় সংকোচন করা দরকার তখন এসব খাতে অদ্ভুতভাবে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিল্প ও কৃষির মত মৌলিক খাতসমূহের মনযোগ ও বরাদ্দ অপ্রতুল। অভাবগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে থেকে যাচ্ছে। গ্রাম-শহরের গরীবদের জন্য, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবী- মেহনতিদের জন্য উল্লেখযোগ্য কোন সুখবর নেই। বরং লাগামহীন বাজার সিণ্ডিকেটের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষের জীবন আরো দুর্বিসহ হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই এই বাজেট প্রত্যাখান করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।
আজ বিকালে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত’ ৫০ বছরের জাতীয় বাজেট ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আবদুর নূর, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ইফতেখার আহমেদ বাবু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, শ্রমিক নেতা এড. রুহুল আমিন, সংহতি চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি আজিজ টিপু ও এ্যাপোলো জামালী প্রমুখ।
সভায় আবদুর নূর বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রকৃত শিল্প উদ্যোক্তারা তেমন কিছু পায়নি। ইফতেখার আহমেদ বাবু বরেন, বাজেটে শিক্ষা-সংস্কৃতি কখনই কাঙ্খিত গুরুত্ব পায়নি।
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীতেই জাতীয় বাজেট তৈরী করা হচ্ছে। এই ধরনের বাজেটের পরিবর্তে জনআকাঙ্খার বাজেট তৈরী করতে হবে।