শনিবার ● ৫ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » দিন মজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ
দিন মজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির রাজাপুরে মো. ছিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার নামে এক দিনমজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার পর থেকে ঐ দিনমজুর পালিয়ে থাকায় তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগম দুই সন্তান নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বাইপাস মোড় রবি টাওয়ারের নিচ তলায় হলরুমে সুমাইয়া বেগম উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন। সুমাইয়া বেগম উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাতলা এলাকার মো. ছিদ্দিকের স্ত্রী।
সুমাইয়া অভিযোগে জানায়, তার স্বামী ছিদ্দিক দিন মজুরের কাজ করেন। গত ৩০ মে রাতে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে প্রতিবেশী হারুন-অর-রশিদের সাথে মারামারি ঘটনা ঘটে। ঐ ঘটনায় হারুন-অর-রশিদ সুমাইয়ার বাবাসহ ছিদ্দিককে আসামি করে মামলা করেন। ঐ মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয় ছিদ্দিক। বিয়ের পরে আমার স্বামী নিজ কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমার বাপের বাড়ি পুটিয়াখালিতে আর জাওয়া হয় নাই।গত এক বছর পূর্বে আমার বাপের পাশের বাড়ির হারুনের সাথে ছাগল নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে আমার বাবাকে বেদম কিল ঘুষি দেয় যা আমরা রাজাপুর থানায় লিখিত দরখাস্ত দেই এবং আমার বাবাকে ২৮/০১/২০২০ তারিখে রাজাপুর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা আমার স্বামী করে তার জেরে গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারুন-অর-রশিদের বাড়িতে একটি মারামারির ঘটনায় একটি মিথ্যা মামলা করে আমার স্বামীকে আসামী দেয় ।
তিনি অভিযোগে আরো জানায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিদ্দিক মামলার পর থেকেই পালিয়ে থাকায় সুমাইয়া তার ৮ ও ৪ বছরের ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছে। তাদের কখনও অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে। এমতাবস্থায় সুষ্ঠ তদন্ত করে তার নিরপরাধ স্বামীকে এই হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন। অভিযুক্ত মো. হারুন-অর-রশিদ জানায়, ঘটনার সময় ছিদ্দিক উপস্থিত থেকে মারমারি করেছে।
অবসরভাতা পেতে হয়রানি করতে এসআই’র নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি শহরের পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং পটুয়াখালী জেলা পুলিশে টিএসআই পদে কর্মরত মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সর্বশেষ ছিনতাই’র অভিযোগ দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাদের উদ্যেশ্য চাকুরীর শেষ বয়সে অবসর ভাতা নিতে হয়রানি করা। অভিযোগকারীরা দূরের কেউ নয়, সে তার
আপন ভাই এবং ভাবি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা। ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতিতে শনিবার সকাল ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার কন্যা শাইমিন আক্তার এনি, শারমিন খান নিপা, পুত্র মাহফুজুর রহমানসহ আরো আত্মীয় স্বজন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান ১৯৮৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর থেকে সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করে উত্তোরত্তর সফলতা অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাহিনীর শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোন অভিযোগও নেই পুলিশ বিভাগে।
পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধে তারই আপন ছোট ভাই হারুন অর রশিদ আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিআইজি, এসপি, ঢাকা সিকিউরিটি সেল বরাবরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে। বিভাগীয় তদন্তে আনিত অভিযোগ না পাওয়ায় দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া
হয়। হারুন অর রশিদ গত বছরের জুলাই মাসে মারাগেলে তারা স্ত্রী গত মার্চ মাসে ছিনতাই’র ঘটনা সাজিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়। থানা পুলিশের তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আইন
আমলে গ্রহিত হয়নি। ২মাস পরে ঝালকাঠি আদালতে সিআর মামলা (নং-১৩৬/২১) দায়ের করে। উক্ত কপি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবরেও প্রেরণ করা হয়েছে। মো. কামাল হোসেন ওরফে হাকিম খান’র সুখ্যাতি ও সুনাম নষ্ট করে চাকুরী জীবনের শেষ প্রান্তে অবসরকালীন ভাতা পেতে বিঘœ সৃষ্টি করার মানসিকতায় এজাতীয় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারসহ যথাযথ প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা।