মঙ্গলবার ● ৮ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাউখালী উপজেলার কার্বারী পাড়া গ্রামবাসির একটি সেতুর দাবি
কাউখালী উপজেলার কার্বারী পাড়া গ্রামবাসির একটি সেতুর দাবি
কাউখালী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উপজেলা কাউখালী। যেখানে ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে কয়েক হাজার জনসাধারনের বসবাস। তার মধ্যে ঘাগড়া ইউনিয়নের সদরের একটি জন বহুল এলাকা কার্বারী পাড়া গ্রাম।
যে গ্রামটি উপজেলা সদরের নাকের ডগায়। যেখানে রয়েছে দির্ঘদিন যাবত বসবাসরত কয়েকশত পাহাড়ী বাংগালী পরিবার। যাদের মধ্যে রয়েছে শ্রমজীবি মানুষ, চাকুরী জীবি, স্কুল কলেজ পড়ুয়া, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী। যদিওবা এই এলাকাটি উপজেলা সদরের নাকের ডগায় উপজেলা লেকের (হ্রদ) পাশে সুন্দর মনোরোম পরিবেশের পাশে অবস্থিত কিন্তু এই এলাকার মানুষের দির্ঘদিনের প্রানের দাবি একটি পাকাঁ সেতু। যদিওবা বর্তমানে জন চলাচলের জন্য একটি বাঁশ কাটের (ঝুকিঁপুর্ণ) সেতু রয়েছে যার দৈর্ঘ আনুমানিক ৪৫-৫০ মিটার। প্রতিদিন এই বাঁশ কাটের সেতু দিয়ে শত শত লোকজন বিভিন্ন স্কুল কলেজের, মাদাসার ছাত্রছাত্রী সহ স্থানীয় বহিরাগত লোকজনের যুকিঁপুর্ণ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে লেক ভর্তি পানি (হ্রদ) এই লেকের উপর বাশের কাটের সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে গিয়ে অতিতে অনেক ছোট খাট দুর্ঘঘটনা ঘটেছে বলে জন শ্রুতি রয়েছে।
শুধু কার্বারী পাড়ার লোকজনই নয় পার্শ্ববর্তী কচুখালী হেডম্যান পাড়া,নিচপাড়া,যৌথ খামার সহ অনেক এলাকার লোকজন প্রতিদিন এই কার্বারী পাড়া হয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌষুমে এই বাশ কাটের সেতু দিয়ে বৃষ্টির সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের অসুস্থ রোগি গর্ভবর্তী মা বোনদের চলাচল খুবই যুকিঁপুর্ণ বলে এলাকা বাসি জানান। তা ছাড়া এই কার্বারী পাড়া এলাকা লোকজন যদি পাকাঁ রাস্তা দিয়ে তাদের এলাকায় যেতে হয় তাহলে অন্তত উপজেলা সদর ঘুরে প্রায় ১ কিলোমিটার হয়ে যেতে হয়। এই একটি মাত্র পাকা সেতু নিয়ে রয়েছে এলাকা বাসির দির্ঘদিনের ক্ষোভ এবং আক্ষেপ।
এ বিষয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র বাবু মারমা বলেন আমরা স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিদিন অনেক যুকি নিয়ে এই বাশ কাটের সেতু দিয়ে চলতে খুব ভয় লাগে।স্থানীয় বাসিন্দা চাকুরীজিবী তৈয়ব নুর সাগর বলেন, দির্ঘদিন যাবত এই এলাকার মানুষ একটি মাত্র পাকা সেতুর জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রতিদিন এই কার্বারী পাড়া এলাকা দিয়ে বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী গ্রাম হতে অনেক ছাত্রছাত্রী বিশেষ করে কাউখালী সদরস্থ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ ছাত্রীরা এই কাচা সেতু দিয়ে জীবনের যুকি* নিয়ে চলাচল করেন। অন্য স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী বলেন আমরা এই এলাকার মানুষের দির্ঘ দিনের দাবি এই একটি পাকাঁ সেতু যেটি দিয়ে রোগি বহনের জন্য এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহ অন্য যে কোন যানবাহন সব সময় চলাচল করতে পারে যেহুতু এলাকাটি হলো গণ বসতিপুর্ণ। এ ব্যাপারে আমরা ইতিপুর্বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি। অপরদিকে কাউখালী উপজেলা প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র রায় বলেন, এই সেতুটি উন্নয়ন বোর্ড বা জেলা পরিষদ থেকে হয়তো করে দিতে পারে বলে তিনি জানান।
কাউখালী উপজেলা সদরস্থ লেক (হ্রদ) সন্নিবেশিত এলাকা কার্বারী পাড়া। যেই লেকটি উপজেলার সৌন্দর্য্য বর্ধন করে তারই পাশে কার্বারী পাড়া এলাকার লোকজনের চলাচলের এই বাশ কাটের সেতুটি যদি সরকারের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষ নজর দেন অথবা একটি পাকাঁ সেতু নির্মান করেন তাহলে উপজেলার লেক(হ্রদ) এর সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি হবে তেমনি ভ্রমন পিপাসুদের জন্য এই সেতু হবে আকষর্নীয় পাশাপাশি এই এলাকার লোকজনের যাতায়াতের প্রধান সড়ক হবে এটি।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন সচেতন মহল মনে করেন রাঙামাটি জেলার একটি গুরুত্বপুর্ণ উপজেলা কাউখালী। উপজেলা সদরের পাশে জন বসতি পুর্ণ এলাকা কার্বারী পাড়া। যেখানে এই এলাকার মানুষ দির্ঘদিন যাবত একটি পাকাঁ সেতুর দাবি সরকারের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে আসছেন সেখানে এই সেতুটি নির্মান করা হলে যেমনি লেকের (হ্রদ) সৌন্দর্য্য বৃদ্বি পাবে তেমনি এই এলাকার জন সাধারনের যাতায়াতের সমস্যা লাগব হবে বলে উপঝেলার সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।