শনিবার ● ১২ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ লুটপাট ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ লুটপাট ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ লুটপাটের প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ ১২ জুন শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পানিউমদা ইউনিয়নের খাগাউরা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে পানিউমদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কুদ্দুছ মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, গোলাম নবী তালুকদার, আব্দাল মিয়া, আউয়াল মিয়া, এডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, হুমায়ুন খান, মনসুর আলম, মহিবুল হাসান মামুন, অনু আহমদ, মুজিবুল হক, সুশেল আহমদ, রাজু আহমেদ, কামাল আহমদ, জুনায়েদ আহমেদ, সাজিদ তালুকদার, খালেদ আহমদ, মুহিদ মিয়া, মহসিন আহমেদসহ আরও অনেকেই।
বক্তারা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী জানান এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ।
উল্লেখ্য গত ৩১ মে সকালে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল ৬ মৌজার কয়েক হাজার লাটিয়াল বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবে পানিউম্দা ইউনিয়নের নোয়া গাঁও গ্রামের ১৩টি ঘরবাড়িতে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট সহ লুটতরাজ কান্ড চালিয়ে, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, প্রায় ২ হাজার মন ধান সহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে, তাদের কবল থেকে বাদ পড়েনি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ ও তারা পবিত্র কোরআন ও জালিয়ে দেয়৷ এছাড়াও বাদ পড়েনি,গাছপালা, নৌকা সহ ১৩টি পরিবারের সারা জীবনের কামাই রোজগার৷ হামলাকারী অস্ত্রধারীরা লুটপাটের পর ১৩টি কৃষকের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ধ্বংস্তুপে পরিনত করে৷ এঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ২ দিনের রিমান্ডে আনে৷ এ নিয়ে নারকীয় তাণ্ডবে মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৯ জন দাঙ্গাবাজ৷ পলাতক আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী৷
নবীগঞ্জে বিয়ের মেহেদীর দাগ মুছে যাওয়ার আগেই বিষপানে নববধু লাভলীর করোন মৃত্যু
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জে বিষপান করে লাভলী বেগম (২২) নামে এক নববধুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং আউশকান্দি ইউনিয়নের আউশকান্দি গ্রামে বিয়ের ২২ দিনের মাথায় নববধুর এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত লাভলী বেগম ওই গ্রামের আব্দাল মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, ২২ দিন পূর্বে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার পুত্র মজম্মিল হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে লাভলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের ১ম দিন থেকেই লাভলীর স্বামী মজম্মিল হোসেন লাভলীকে পছন্দ করতেননা এ নিয়ে নব দম্পত্তির মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে লাভলীর স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে ১০ জুন বৃহস্পতিবার উভয় পরিবারের মুরব্বিরা শালিসে বসে সমঝোতা করতে না পারায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। লাভলী বেগম তা সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পরিবারের সকলের অগোচরে বিষপান করে। ১১ জুন শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন লাভলীকে ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষনিক লাভলীকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এস আই নাইম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে এসে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নবীগঞ্জে দৈনকি দেশের কণ্ঠ পত্রিকার ৪র্থ প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালন
নবীগঞ্জ :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে”দৈনিক দেশের কন্ঠ” পত্রিকার ৪ পেরিয়ে ৫বছরে পদার্পন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে উত্তরা ব্যাংকের নিচতলায় ওয়েডিং জোন অফিসে কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, অর্থ সম্পাদক মোঃ শওকত আলী, নির্বাহী সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, এটি এম সালাম, এম. মুজিবুর রহমান, এম.এ মুহিত। সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল জাহান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন মিঠু, সাবেক সহসভাপতি আশাহীদ আলী আশা, প্রেসক্লাব সদস্য তছনু চৌধুরী, তৌহিদ চৌধুরী, ছনি চৌধুরী, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম, স্বপন রবি দাশ। বিশ্ব সংবাদ বিতানের এজেন্ট মশাহিদ আলী, মনির হোসেন প্রমুখ ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সেলিম উদ্দিন। এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক একটি দেশের বিবেক হিসেবে পরিচিত। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সবাই দেশ তথা জাতির উন্নতি কল্পে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। বক্তারা সবাই দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন।
আসামী গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাদির সংবাদ সম্মেলন
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ পৌর এলাকার গয়াহরি গ্রামে নিরীহ ব্যক্তি বিজিত দাশ মেটনের উপর সন্ত্রাসী হামলার দায়েরী মামলার অন্যতম আসামী কাউন্সিলর যুবরাজ গোপসহ অপর আসামীদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বাদিনী সুপ্রিয়া রানী দাশ। আজ শনিবার (১২ জুর) সকালে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্টিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিয়া রানী দাশ বলেন, গেল পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হন। এরজের ধরে বিগত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ গয়াহরি গ্রামে জ্যোতিষ দাশের বাড়ি সামনে রাস্তার উপর পেয়ে আমার স্বামী বিজিত দাশ মেটনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, জ্যোতিষ দাশ, সীমা রানী দাশ, উৎফল দাশ ও লিপ্টু দাশসহ একদল লোক। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার স্বামী গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ও ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। আমার স্বামী আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে আমার স্বামীর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে তাৎক্ষনিকভাবে জ্যোতিষ দাশকে গ্রেফতার করে। পরে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরন করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আমি নবীগঞ্জ থানায় মামলা নিয়ে গেলে পুলিশ আদালতের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আমি বাদী হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে উল্লেখিত দুর্বৃত্তদের আসামী করে মামলা দায়ের করি। মামলাটি আদালতের নির্দেশে এফআইআর হিসেবে নবীগঞ্জ থানায় রুজু হয়। মামলা রুজু হলেও মামলার অন্যতম আসামী যুবরাজ গোপসহ অপরাপর আসামীদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ যুবরাজ গোপ প্রকাশ্যে নবীগঞ্জ শহরে ও বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি অসহায় একজন মহিলা, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লুৎফুর রহমানকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও আসামী গ্রেফতার করিতে তিনি গড়িমশি করছেন। এদিকে আমার স্বামীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত ভাল নয়। বিছানায় শয্যাসায়ী আছেন। দারিদ্রতার কারনে আমার স্বামীর চিকিৎসা করাইতে গিয়ে ইতিমধ্যে ভিটে বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। সামাজিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েও আমাদের এত বিড়ম্বনা পোহাতে হবে, তা জানা ছিলনা।
বর্তমানে আমার আহত স্বামী বিজিত দাশ কথা বার্তা বলতে পারছেন না, বাম চোখেঁ দেখতেও পান না। ঘটনাটি এলাকার সকল মানূষ অবগত রয়েছেন।
ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমার দায়েরী মামলার অন্যতম আসামী যুবরাজ গোপসহ অপর আসামীদের গ্রেফতার পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।