রবিবার ● ১৩ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঝালকাঠিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক ও আনারস প্রতীকের প্রচার প্রচারনা নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে শনিবার সকাল থেকে লেবুবুনিয়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে প্রচারে বাধা ও সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিদ্দিকুর রহমানের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসব নির্বাচনী অপকৌশল বলে জানিয়েছেন নৌকা প্রতিকে সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু। সরেজমিনে লেবুবুনিয়া বাজারে গেলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে উভয় পক্ষ গণসংযোগের ঘোষণা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. শাখাওয়াত হোসেন, রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মহড়া দেয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। আগামী ২১ জুন এ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিকের মো. সিদ্দিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকে মো. নুরুল ইসলাম। তবে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে লড়াই চলছে নৌকা প্রতিকে সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু এবং আনারস প্রতিকের মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতাকর্মীদের মধ্যে। আনারস প্রতিকের সমর্থক মুজিবুর রহমান বাদশা জানান, শুক্রবার বিকেলে হালদারখালী থেকে আসরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সামনে একটি নৌকার মিছিল আসে। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মিছিলটি দেখা অবস্থায় তিনি সিদ্দিক চেয়ারম্যানের লোক বলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করতে শুরু করে। দৌড়ে ধান ক্ষেতে পড়লে সেখানে ৬/৭জন গিয়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। ওদের কাছ থেকে দৌড়ে জীবন রক্ষার চেষ্টা করলে পুনরায় মারধর করে ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করে জানান, প্রচারনার শুরু থেকেই প্রতিপক্ষরা তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর- উচ্ছেদ, সমর্থকদের মারধর ও প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে। সাতুরিয়া দিঘির পাড় এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে সদস্য প্রার্থী ফয়সাল হোসেন হিমেলের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসলে কিছুক্ষণ পরে প্রতিপক্ষের লোকজন গিয়ে ভাংচুর করে চেয়ার নিয়ে যায়। হালদারখালী এলাকায় নৌকার মিছিল থেকে সমর্থক মুজিবুর রহমান বাদশার উপর হামলা, লেবুবুনিয়া বাজারে শিক্ষক লুৎফর রহমানকে আহত, ইদুর বাড়ি এলাকায় পান্নু নামের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিগত ১০বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে যেসব দাগি, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী এলাকায় ঢুকতে পারেনি সেসব লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ নির্বাচনী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এতে সাধারন মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি ইউএনও ও ওসির কাছে আবদেন করলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুই আশ^াস দিচ্ছেন। নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু জানান, তার ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষদের সাথে তার ঝামেলা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ নির্বাচনী অপকৌশল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার নামে এসব অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করছেন। আমি তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিবো না। এসব অপপ্রচারের নিন্দা জানাই। রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙচুর বা মারধরের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ টহলে রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।