বুধবার ● ১৬ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে খাল-বিলে অবাধে পোনা নিধন
বিশ্বনাথে খাল-বিলে অবাধে পোনা নিধন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে গেল ক’দিনের বৃষ্টিতে পানি জমেছে ধানি জমি ও খাল বিলে। নতুন পানিতে চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা। কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বড় হবে।
তবে এরই মধ্যে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি বেড় জাল, ছিটকি জাল, ঠেলা জাল, উড়াল জাল (ঝাঁকি জাল) ও বাঁশের তৈরী বিভিন্ন ফাঁদ ব্যবহার করে অবাধে পোনা নিধন করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন হাওর, নদী-খালে বর্ষার পানি প্রবেশের পর মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। ধানি জমি ও খাল-বিলের পাবি প্রবাহের পথে ফাঁদ ও জাল দিয়ে নিধন করা হচ্ছে। নিধন হচ্ছে ডিমওয়ালা মা মাছ ও বিভিন্ন জাতের পোনামাছ।
এছাড়াও উপজেলার হাবড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে প্রচুর ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ বিক্রি হয়।
খুব অল্প দামে গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে কেউ কেউ বিক্রি করেন এসব মাছ। কারণ মৎস্য শিকারিদের কাছে বড় বা ছোট মাছের কোনো পার্থক্য নেই। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে, নির্বিচারে পোনামাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর তোয়াক্কা করছেন না কেউ।
উপজেলার বাগিচা বাজার এলাকায় এক পোনামাছ শিকারি বলেন, ‘মাছ ধরেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। তাই পোনাও ধরতে হয়। ‘
অন্যদিকে, মৎস্য চাষি জাহিদ হাসান বলেন, ‘মাছের বেড়ে ওঠার মৌসুমে এ ভাবে নির্বিচারে মা ও পোনামাছ নিধন করলে একসময় হারিয়ে যাবে দেশীয় প্রজাতির অনেক সুস্বাদু মাছ। ‘
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘পোনামাছ নিধন বন্ধে ইতিপূর্বে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মা ও পোনামাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে চারটি গরু চুরি : থানায় অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে চারটি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের সরুয়ালা গ্রামের তবরিছ আলী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গরুর মালিক বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গরুর মালিক তবরিছ আলী বলেন, গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে চুরেরা গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি হওয়া চারটি গরুর মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা হবে। এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি।