শুক্রবার ● ১৮ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » ঢাকা » ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তির বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তির বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে
ঢাকা :: আজ বিকাল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘বিদ্যমান সংকট ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত শীর্ষক আলোচনা সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্র-রাজনীতিতে দুববৃত্ত মাফিয়াদের প্রভাব যত বাড়ছে রাষ্ট্র ততই সহিংস ও গণবিচ্ছিন্ন হয়ে উঠছে, গণতান্ত্রিক ধারার জবাবদিহিমূলক রাজনীতিকে বিদায় দেয়া হচ্ছে। সরকারি দল ও জোটের রাজনীতিকদেরকে প্রায় বেকার করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় সামরিক- বেসামরিক আমলাতন্ত্রই মূল নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠেছে। ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা দুর্যোগে সরকার পরিচালনায় কর্তৃত্ববাদী শাসনকে আরো পাকাপোক্ত করে চলেছে। এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক সংকটকে গভীর থেকে গভীরতর করে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে এক গভীর অনিশ্চয়তার খাদে নিক্ষেপ করছে।
নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তির বৃহত্তর আন্দোলনের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং বলেন গণআন্দোলন-গণজাগরণের পথে বিদ্যমান দুঃশাসনকে বিদায় দিতে না পারলে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যাবে না।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দি, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুর নূর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ইফতেখার আহমেদ বাবু, হামিদুল হক।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এক গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন বন্ধ্যা সময় পার করছে। ক্ষমতাসীন লুটেরা শাসকগোষ্ঠি তাদের জনসম্মতিবিহীন অনৈতিক ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে দেশের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে; বিরোধী রাজনীতিকে শোকেসে তুলে রাখার ব্যবস্থা করেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একেবারে ন্যূনতম ইস্যুতে বিরোধী দলসমূহকে রাজপথে শক্তিশালী ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে, সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মারধর এক ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা হত্যা, গুম, নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদকে রুখতে হবে, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এই সরকারের শাসন- শোষণে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষসহ দেশের জনগণ আজ নিপীড়িত-নিস্পেষিত। এই মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বিদ্যমান দুঃশাসন বিদায় দেয়া যাবে না, জনগণের অধিকারও কায়েম করা যাবে না।
অধ্যাপক আবদুস সাত্তার ফ্যাসিবাদী শাসন মোকাবেলায় শ্রেণী ও গণসংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।
শেখ আবদুর নূর অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় জনগণের সংগ্রামী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।